মার্কিন পার্লামেন্ট ক্যাপিটল হিলে নজিরবিহীন এক হামলা চালিয়েছে শত শত ট্রাম্প সমর্থক। নির্বাচনী ফলাফল বদলে দিতে বুধবার তারা কংগ্রেসের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে কংগ্রেসের অধিবেশন চলাকালেই ট্রাম্প সমর্থকরা জোর করে ক্যাপিটল হিলে ঢুকে যায়। খবর বিবিসির।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা আইনপ্রণেতাদের সেখান থেকে বের করে এনেছে। তবে ক্যাপিটল হিল থেকে ট্রাম্প সমর্থকদের বের করতে আরও সাড়ে ৩টার সময় সময় লাগে পুলিশের। এসময় ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলের জানালায় ভাঙচুর করে।
তবে ট্রাম্প সমর্থকদের বের করে দেয়ার পর বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ক্যাপিটল ভবন তাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানায় পুলিশ। ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায়। তবে রাত ৮টায় আবারও অধিবেশন শুরু হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনের জয়কে সার্টিফাই করতে বুধবার এই অধিবেশন চলছিল। এদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, যারা আজ আমাদের ক্যাপিটলে তাণ্ডব চালিয়েছে, আপনারা জয়ী হননি। চলুন আবার কাজ শুরু করি।
ওয়াশিংটন পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এফবিআই জানিয়েছে, তারা দুটি সন্দেহভাজন বিস্ফোরক ডিভাইস নিষ্ক্রিয় করেছে। এদিকে এই সংঘর্ষের পর ওয়াশিংটনে ১২ ঘণ্টার কারফিউ দেয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটনের মেয়র মুরিয়েল বাউসার এক টুইট বার্তায় এই কারফিউয়ের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত এই কারফিউ বলবৎ থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২০০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে ক্যাপিটল হিলে এই প্রথম এত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হলো। সবশেষ ১৮১৪ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ক্যাপিটল হিলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।
এ