ডিভোর্সির সঙ্গে সংসার করতে চাইলে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতেই হবে
বর্তমান সময়ে বিচ্ছেদের পর নতুনভাবে ঘর বাঁধা খুব স্বাভাবিক ঘটনা। সন্তানসহ ডেটিং কথাটায় আপত্তি থাকলেও অহরহ এমন ঘটনা দেখা যায়।
আপনি যার প্রেমে পড়েছেন, তিনি হয়তো কারও মা কিংবা বাবা। সেটা ডিভোর্সি হতে পারেন আবার উইডোও হতে পারেন। সন্তান থাকা মানেই তাতে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে জীবনের লম্বা সফরে আপনি শান্তিতে থাকতে পারেন কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে সুখী হতে পারেন।
যাকে পছন্দ করেন সেই মানুষটি সন্তানের বাবা-মা হতে পারেন। এতে ডেট করতে বাধা কোথায়? প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে মাঝেমধ্যেই ইচ্ছে করবে। এটাই স্বাভাবিক। আপনাদের দেখা হতে পারে রেস্তরা, কফিশপ, লং ড্রাইভ…। আর এর মধ্যে সন্তানকে তো অগ্রাহ্য করলে চলবে না। তিনিও তা চাইবেন না। নিজেরা সময় কাটাতেই পারে। সেক্ষেত্রে আপনি তার সন্তানকে দুজনের মাঝে অপছন্দ করছেন এনন যেন না হয়।
যে আপনার সঙ্গী হতে চলেছে। তার সন্তানকে আপন করে নেয়াই প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত।
এছাড়া দীর্ঘদিন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চাইলে সঙ্গীর পাশাপাশি সন্তানেরও পছন্দ-অপছন্দ জানাটা প্রয়োজন। সঙ্গীর মতোই তার সন্তানের সঙ্গে দেখা করার জন্য উদগ্রীব হতে পারেন আপনি। এ ক্ষেত্রে খুব তাড়াহুড়ো করে ফেলবেন না। কারণ প্রথম দেখাতে সঙ্গীর সন্তান আপনাকে পছন্দ নাও করতে পারে। তাইতো আগে থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। জানেন কী প্রেমিক বা স্বামী নয়, সম্পর্ক গড়ালেই আপনাকে পিতৃত্ব বা মাতৃত্বও সামলাতে হবে। নিজেকে প্রশ্ন করুন সেই দায়িত্ব নিতে আপনি প্রস্তুত তো।
আপনার সঙ্গী যদি তার সাবেক স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য যোগাযোগ রাখেন, তাহলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন না।
আর যদি সন্তান চান সেক্ষেত্রে সঙ্গীর সঙ্গে আগেই আলোচনা করুন। এতে দুজনের জন্যই ভালো।
এম
মন্তব্য করুন