ঢাকাবুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

পুষ্টিগুণে ভরপুর সয়া দুধ, কেন খাওয়া প্রয়োজন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

মঙ্গলবার, ০২ মার্চ ২০২১ , ০৫:২৩ পিএম


loading/img

গরুর দুধের বিকল্পের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সয়া দুধ। অনেকে সোয়া দুধও বলে থাকেন। সয়াবিনের নির্যাস থেকে তৈরি হওয়া এ দুধ বাজারে সচরাচর চিনিসহ, চিনিহীন, চকোলেট ও ভ্যানিলা ফ্লেভারযুক্তসহ বিভিন্ন রকমের পাওয়া পায়। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এ দুধে আইসোফ্লাভোনস নামের প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে। যা কিনা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

বিজ্ঞাপন

পুষ্টির দিকে সয়া দুধ উচ্চমানের প্রোটিন এবং আইসোফ্লাভোনস উপাদানে সমৃদ্ধ। এছাড়াও এতে ল্যাকটোজ থাকে, যারা ল্যাকটোজ পছন্দ করেন না তাদের জন্য বিকল্প ভালো একটি মাধ্যম। এবার তাহলে সয়া দুধের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-

কোলেস্টেরল হ্রাসে সহায়তা করে : ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএস) মতে, সয়া দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল খুবই কম পরিমাণে থাকে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিপরীতে গরুর দুধে থাকা এসব উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং শরীরে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে।

বিজ্ঞাপন

আইসোফ্লাভোনস সমৃদ্ধ : এটি এমন একটি উপাদান যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোলেস্টেরল হ্রাস, মেনোপজের লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি, অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ এবং ক্যানসার ঝুঁকি কমিয়ে থাকে। সাধারণত গরুর দুধে আইসোফ্লাভোনস থাকে না। কিন্তু সয়া দুধে এই উপাদান রয়েছে।

ওজন হ্রাস করে : যারা অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন কমাতে চান তাদের জন্য সয়া দুধের বিকল্প কিছু নেই। গরুর দুধের থেকে সয়া দুধ বেশি কার্যকর। নিয়মিত সয়া দুধ পানের ফলে ক্যালরি এবং চিনির পরিমাণ হ্রাস করে এই সয়া দুধ। দুধে ফ্যাট খুবই স্যাচুরেটেড এবং শরীরে জমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু সয়া দুধে ওজন হ্রাস হয়।

স্কিনের উপকারিতা : ব্রণের মতো ত্বক সম্পর্কিত সমস্যা রয়েছে যাদের তারা খাদ্য তালিকায় সয়া দুধ যুক্ত করতে পারেন। ত্বকের কালচে ভাব দূর করার জন্য খুবই কার্যকর এই সয়া দুধ। গবেষণার ফল অনুযায়ী সয়ায় অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সূত্র : ফিটডে ও এভরিডে হেলথ

বিজ্ঞাপন

এসআর/

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |