ডায়াবেটিস রোগীরা কি কাঁঠাল খাবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

রোববার, ৩০ জুন ২০২৪ , ১১:৩৭ এএম


কাঁঠাল
ছবি : সংগৃহীত

গ্রীষ্মকাল মানেই রসালো ফলের সমাহার। এর মধ্যে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু অন্যতম। এই প্রতিটি ফলের স্বাদই অনন্য। তবে এসব ‘মিষ্টি’ ফল নিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের মনে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস এমন এক রোগ যা হলে অনেক খাবারই খাওয়া যায় না। এমন অনেক খাবারই  আছে এই রোগে আক্রান্তের শরীরে বিষ হিসাবে কাজ করে। এই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের কিছু খাবার থেকে দূরে থাকতে বলা হয়।

ডায়াবেটিসে কাঁঠাল খাবেন

বিজ্ঞাপন

পুষ্টিবিদরা বলেন, গরমের যে কোনও ফলই পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই তালিকায় কাঁঠালের নাম ওপরের দিকেই আসে। কাঁঠালে উচ্চ পরিমাণে কার্বেহাইড্রেট রয়েছে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফাইবার আছে এই খাবারে। এ কারণে এই ফল খেলে শরীরের বিভিন্ন উপকার হয়। এমনকী কিছু রোগও থাকে দূরে। এ কারণে মাঝেমাঝে এই ফল খাওয়া উচিত। এটি শরীরের জন্য উপকারী হয়।

কাঁঠাল এমন একটি ফল যার গ্লিসিমিক ইনডেক্স বা জিআই ৫০ থেকে ৬০-র মধ্যে। অন্যদিকে গ্লিসিমিক লোড বা জিএল ১৩-১৮এর মধ্যে। অর্থাৎ সাধারণত এই গ্লিসিমিক ইনডেক্সকে হাই গ্লিসিমিক ইনডেক্সের মধ্যে ধরা হয় না। ফলে এই ফলটি নিশ্চিন্তে খাওয়া যেতে পারে। তবে এখানে একটা কিন্তুও রয়েছে। কাঁঠাল হাই গ্লিসিমিক ইনডেক্সের ফল না হলেও এটি মডারেট গ্লিসিমিক ইনডেক্সের ফল। অর্থাৎ মাঝামাঝি স্থানে থাকায় খুব নিরাপদ ফলও বলা যায় না কাঁঠালকে। তাই খাওয়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ অবশ্যই থাকা উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

বিজ্ঞাপন

কতটা খাবেন কাঁঠাল

মডারেট গ্লিসিমিক ইনডেক্সের ফল কাঁঠাল একবারে বেশি খাওয়া ঠিক নয়। প্রতিবারে ৭৫ গ্রামের বেশি কাঁঠাল না খাওয়াই ভালো। এর দুই ঘন্টা পরে যদি খেতে ইচ্ছে করে, তখন আবার ৭৫ গ্রাম খাওয়া যেতে পারে। মাঝে গ্যাপ দিয়ে দিয়ে খেলে রক্তে সুগার স্পাইক করে না। একবারে খেলে রক্তে সুগার স্পাইক করে যেতে পারে।

কাঁঠালের কী কী গুণ

কাঁঠালের বেশ কিছু গুণ রয়েছে। শরীরে এই পুষ্টিগুণগুলো সরবরাহ করে কাঁঠাল। যেমন:

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: কাঁঠালের মধ্যে বিভিন্ন খনিজ পদার্থের মতোই পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেকটাই। এই পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 

হার্ট ভাল রাখে: হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে কাঁঠাল। কাঁঠাল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে কার্ডিয়োভাসকুলার ডিজিজের হার কমিয়ে দেয়। এর ফলে হার্টের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর: কাঁঠাল ফল বলে এর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। এর মধ্যে ভিটামিন সি-র পরিমাণও অনেকটাই বেশি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারাতে অনেকটা সাহায্য করে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission