• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১
logo
মেডিকেল কলেজগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
এইচএমপিভি কখন প্রাণঘাতী হতে পারে, জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানিয়েছেন, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসে (এইচএমপিভি) সাধারণত মৃত্যু ঘটে না, কিন্তু ক্রমাগত রূপান্তর ঘটে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। এইচএমপি ভাইরাসে একজনের মৃত্যুর বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অসুস্থ ছিলেন সানজিদা। তিনি ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত হন এবং পরবর্তীতে তার মাল্টিঅর্গান ফেইলিউর হয়। এ ছাড়া তার স্থূলতা ছিল, থাইরয়েড ডিসফাংশন ছিল। নিউমোনিয়া ও মাল্টিঅর্গান ফেইলিউরের কারণে সানজিদার মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুসারে বলা যায়, এইচএমপি ভাইরাসের কারণে মৃত্যুর ঘটনা খুবই বিরল। এ ভাইরাসে সাধারণত মৃত্যু ঘটে না। আশপাশের দেশে এই ভাইরাসের বিস্তার ঘটছে। এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক এজেন্সিগুলোর স্বাস্থ্যবিষয়ক কিছু গাইডলাইন আছে। তিনি আরও বলেন, এ সময়ে যদি কেউ ফ্লুতে আক্রান্ত হন, তিনি যাতে জনসমক্ষে না আসেন। জনসমক্ষে এলেও মাস্ক পরতে হবে। আবার কেউ অসুস্থবোধ করলে তিনি যেন ঘরে থাকেন। অসুস্থ হলে হাত ধোয়া ও জনসমক্ষে মাস্ক পরলে এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ভাইরাসের যখন বিস্তার হতে থাকে, তখন সেটার প্রতিনিয়ত মিউটেশন বা রূপান্তর হতে থাকে। কোভিড ভাইরাসও অনেক পুরোনো ভাইরাস ছিল। মিউটেশনের কারণে এটাও ক্ষতিকর বা প্রাণঘাতী হয়ে যেতে পারে। এ কারণেই এইচএমপিভি ভাইরাসের বিস্তার রোধ করা দরকার। তিনি বলেন, তবে এখনো দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে না। কেউ যদি ফ্লুতে আক্রান্ত হন, তিনি যেন সাধারণ মানুষের সংস্পর্শে কম আসেন। অসুস্থ হলে তিনি যেন ঘরে থাকেন। সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, আইসিডিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/এসএপি-টি
বিএসএমএমইউ’য়ে নতুন পরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন
এইচএমপিভি / ৬ ধরনের রোগীকে বিশেষ সতর্কতার পরামর্শ
দেশে এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, যা জানা গেল
দেশে এইচএমপিভিতে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
আরও ৩৯ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৯ জন।  সোমবার (১৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চারজন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) সাতজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাতজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নয়জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিনজন ও রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩৭৫ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।   চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৬৬৯ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক এক শতাংশ পুরুষ ও ৩৯ দশমিক নয় শতাংশ নারী রয়েছেন।   চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আরটিভি/এফএ-টি
এইচএমপিভির পর আমেরিকায় ছড়াচ্ছে ‘র‌্যাবিট ফিভার’, কী এই রোগ?
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আতঙ্কের মধ্যেই আমেরিকায় নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ‘র‌্যাবিট ফিভার’। এই রোগের চিকিৎসা পরিভাষা টুলারেমিয়া। শিশু থেকে বয়স্ক— অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। টুলারেমিয়া বা র‌্যাবিট ফিভার কী? র‌্যাবিট ফিভার কোনো ভাইরাসজনিত রোগ নয়। এটি ফ্রান্সিসেল্লা টুলারেনসিস নামক এক অতি সংক্রামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’র (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, খরগোশ ও ইঁদুর জাতীয় প্রাণী থেকে এই ব্যাকটেরিয়া ছড়ায়। মাছি বা অন্যান্য পতঙ্গ, প্রাণীর দেহাবশেষ এবং মলমূত্র থেকেও এই জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। খামারে খরগোশ পালনকারীদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। পোষা খরগোশ থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সংক্রমণের পথ নোংরা ও অপরিষ্কার পানি, বাতাস এবং সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি বা থুতুর মাধ্যমেও এই ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে। বাতাসের পানিকণার মাধ্যমেও দূর-দূরান্তেও জীবাণু পৌঁছাতে পারে। উপসর্গ র‌্যাবিট ফিভারের উপসর্গ ভয়ংকর হতে পারে। এর উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, বমি, পেট খারাপ, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ত্বকে র‍্যাশ ও সংক্রমণ। গুরুতর অবস্থায় ত্বকে আলসার (আলসেরোগ্ল্যান্ডুলার টুলারেমিয়া), লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, চোখে সংক্রমণ (অকুলোগ্ল্যান্ডুলার টুলারেমিয়া) এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণও দেখা দিতে পারে। শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পেলে ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন হতে পারে। সতর্কতা ও প্রতিরোধ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা, ঘন ঘন হাত ধোয়া এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উচিত। উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রাস্তাঘাটের কাটা ফল, সালাদ ও ঠান্ডা পানীয় খাওয়া এড়ানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার আরটিভি/জেএম  
নতুন এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা
দেশে ইতোমধ্যে একজনের শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্ত হয়েছে। যদিও ভাইরাসটি নিয়ে আগেই সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর জানায়, চীনসহ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে এইচএমপি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং তীব্রতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন— হাঁপানি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গর্ভবতী মহিলা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উচ্চঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে।  পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এই রোগের সংক্রমণ দেখা যায়। সম্প্রতি চীন ও অন্যান্য দেশে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় বাংলাদেশে এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যক। যে জন্য সব যন্ত্র সেবাকেন্দ্র এবং পয়েন্টস অব এন্ট্রিসমূহে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা প্রয়োজন। এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করা এবং জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করা হলো। সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনাসমূহ— ১। শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগসমূহ হতে নিজেকে রক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন। ২। হাঁচি ও কাশির সময় গামছা বা টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। ৩। ব্যবহৃত টিস্যুটি অবিলম্বে ঢাকনাযুক্ত ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। ৪। আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন। ৫। ঘন ঘন সাবান ও পানি কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধৌত করুন (অন্তত ২০ সেকেন্ড)। ৬। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ ধরবেন না। ৭। আপনি জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে থাকুন। প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। প্রসঙ্গত, রোববার (১২ জানুয়ারি) দেশে একজনের শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্ত হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ নওশের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, এইচএমপিভি একটি সংক্রামক রোগ এবং যেভাবে এটি ছড়ায়, তার সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে করোনার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার মতোই হাঁচি, কাশি, আক্রান্ত রোগীর কাছাকাছি অবস্থান, করমর্দন এবং স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এ রোগটি। ২০০১ সালে চীনে ভাইরাসটির অস্তিত্বের প্রমাণ মিললেও এখন পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে তৈরি হয়নি কার্যকর কোনো প্রতিষেধক। চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে নতুন করে ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর জাপানেও ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এখন এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ও ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, ভাইরাসটিকে নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে অভিমত চিকিৎসক ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, রোগটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং এর প্রতিরোধের সঙ্গে করোনা বা কোভিডের প্রতিরোধ ব্যবস্থার সাদৃশ্যও রয়েছে।চীনের যেসব হাসপাতালে এইচএমপিভি রোগীরা ভর্তি হয়েছেন, তাদের চিকিৎসায় নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ ব্যবহার না করে প্রচলিত ওষুধই দেওয়া হচ্ছে। রোগটি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা যেসব পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলো হলো— নিয়মিত দিনে কয়েকবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং কোনো কিছু স্পর্শ করার পর হাত ভালোভাবে ধোয়া এবং শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে বাড়িতে অবস্থান করা। আরটিভি/এফএ
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৭
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৭ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের প্রথম ১২ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ জনে। আর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা হয়েছে ৬৩০ জন। রোববার (১২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, নতুন ৫৭ রোগীর মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৮ জন, ঢাকা বিভাগে ছয়জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে তিনজন, রাজশাহী বিভাগে চারজন এবং বরিশাল বিভাগে পাঁচজন ভর্তি হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩১১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আছেন ১৭০ জন, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে এই সংখ্যা ১৪১। দেশে গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন, এরমধ্যে মারা যান ৫৭৫ জন। এক বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির এ সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ আর মৃত্যুর হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর। আরটিভি/এমএ-টি
দেশে এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত, কতটা মারাত্মক এটি
করোনা, এমপক্স ও রিওভাইরাসের পরে দেশেও নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)। দেশে রোববার (১২ জানুয়ারি) এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। জানা গেছে, এইচএমপিভি শ্বাসতন্ত্রবাহিত সংক্রামক ব্যাধির জন্য দায়ী ভাইরাস। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, করোনাভাইরাসের মতো কাছাকাছি বৈশিষ্ট্য বা মিল রয়েছে এইচএমপিভি ভাইরাসের। ২০০১ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল নেদারল্যান্ডসে। বাংলাদেশেও ২০০১ সাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে। ২০০১ সালের আগে থেকেই এই ভাইরাসটি পৃথিবীতে ছিল। কিন্তু নতুন করে বিজ্ঞানীদের চোখে ধরা পড়ে ২০০১ সালে। যেভাবে ছড়াই এইচএমপিভি ইনফ্লুয়েঞ্জা সেটার মতোই এইচএমপিভি ছড়িয়ে পড়ে। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এইচএমপিভি ছড়ায়। এইচএমপিভি আক্রান্ত হাঁচি-কাশি লেগে থাকা ব্যক্তির ব্যবহৃত কাপড় বা কোনো বস্তু এমনকি কোনো জায়গা অন্য কেউ স্পর্শ করে সেই হাত নিজের নাক-মুখে স্পর্শে করলে সেখান থেকে এইচএমপিভি হতে পারে। সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শ ও হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই এইচএমপিভি ছড়ানোর ইতিহাস আছে। এইচএমপিভিতে আক্রান্তের লক্ষণ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্তের লক্ষণ অনেকটা একই রকম। এইচএমপিভি সংক্রমিত ব্যক্তির জ্বর হবে, হাঁচি-কাশি হতে পারে, কাশি থেকে কারো কারো গলা ব্যথা হতে পারে। এইচএমপিভি কতটা মারাত্বক শিশু, বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য এই রোগটি জটিলতা বাড়াতে পারে। এছাড়া যারা ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, ক্যানসার, কিডনিজনিত জটিলতা, অ্যাজমা ও অন্যান্য রোগে ভুগছেন, কোনো ওষুধ খাওয়ার কারণে যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে তাদের ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য মারাত্বক হতে পারে। এই ভাইরাসের যে রূপ সেটির বিভিন্ন রকম শ্রেণিবিন্যাস করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এইচএমপিভি ভাইরাসের মিউটেশন হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। গুরুতর ফর্মে যাওয়া এবং মানুষের খুব বেশি ক্ষতি করতে সক্ষম, মৃত্যুহার খুব উঁচু এমন পর্যায়ে যায়নি এইচএমপিভি।  এইচএমপিভি চিকিৎসা এই ভাইরাসের চিকিৎসায় সরাসরি কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই। অধিকাংশ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো ওষুধ নেই। এক্ষেত্রে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং এর পাশাপাশি রোগীর যত্ন নিশ্চিত করতে হবে। এটি এমনিতে সেরে যায় নির্দিষ্ট সময় পর। তবে রোগ যাতে গুরুতর পর্যায়ে না যায়, সেজন্য সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। শরীরে যদি অন্য কোনো সংক্রমণ থেকে থাকে, সেটার জন্য ওষুধ দেওয়া হয় রোগীকে। যাতে ওই সংক্রমণ এবং এইচএমপিভি ভাইরাসের সংক্রমণ যুক্ত হয়ে জটিল অবস্থা তৈরি করতে না পারে। করোনার মতো মহামারি পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে এমন অবস্থায় এখনো যায়নি এইচএমপিভি ভাইরাস। তবে রোগটি যত বেশি ছড়াবে, তত বেশি আশঙ্কা থাকে এই ভাইরাসটি তার ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটাতে পারে, খুব বৃদ্ধি হতে পারে, আবার কমেও যেতে পারে। এইচএমপিভি ভাইরাস প্রতিরোধ একইভাবে সচেতন হতে হবে। নিয়মিত বিরতিতে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় নাক-মুখে রুমাল, টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢেকে নিতে হবে, সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, এইচএমপিভি সংক্রমিত ব্যক্তিকে মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকা ব্যক্তিদেরও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। জ্বর হলে রোগীকে বিশ্রাম নিতে হবে নিজ অবস্থানে, অন্যান্য ভাইরাল জ্বরের মতো তিন দিনের ভেতর জ্বর কমে যাবে। যদি জ্বর না কমে তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে হবে। আরটিভি/এসএপি
দেশে এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
নতুন বছরের শুরু থেকেই পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে আতঙ্ক ছড়াচ্ছিল হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি)। চীনে আত্মপ্রকাশের পর জাপান, মালয়েশিয়া হয়ে ভারত পর্যন্ত ভাইরাসটির বিস্তৃতির খবর পাওয়া যায়। শেষ পর্যন্ত এবার দেশেও প্রথমবারের মতো পাওয়া গেল এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী।  রোববার (১২ জানুয়ারি) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আক্রান্ত রোগী একজন নারী। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায় বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, এইচএমপিভি একটি সংক্রামক রোগ এবং যেভাবে এটি ছড়ায়, তার সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে করোনার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার মতোই হাঁচি, কাশি, আক্রান্ত রোগীর কাছাকাছি অবস্থান, করমর্দন এবং স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এ রোগটি। ২০০১ সালে চীনে ভাইরাসটির অস্তিত্বের প্রমাণ মিললেও এখন পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে তৈরি হয়নি কার্যকর কোনো প্রতিষেধক। চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে নতুন করে ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর জাপানেও ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এখন এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ও ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, ভাইরাসটিকে নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে অভিমত চিকিৎসক ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের।  তারা বলছেন, রোগটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং এর প্রতিরোধের সঙ্গে করোনা বা কোভিডের প্রতিরোধ ব্যবস্থার সাদৃশ্যও রয়েছে।চীনের যেসব হাসপাতালে এইচএমপিভি রোগীরা ভর্তি হয়েছেন, তাদের চিকিৎসায় নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ ব্যবহার না করে প্রচলিত ওষুধই দেওয়া হচ্ছে। রোগটি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা যেসব পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলো হলো— নিয়মিত দিনে কয়েকবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং কোনো কিছু স্পর্শ করার পর হাত ভালোভাবে ধোয়া এবং শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে বাড়িতে অবস্থান করা। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
দেশে প্রথমবার ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস, কতটা মারাত্মক এটি
করোনা, এমপক্স ও এইচএমপি ভাইরাসের পর এবার নতুন রিওভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এরই মধ্যে দেশে পাঁচজনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।  রিওভাইরাসের লক্ষণ হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। এতে আক্রান্ত হলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, জ্বর, মাথাব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে। আর মারাত্মক হলে নিউমোনিয়া, এমনিক এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহও দেখা দিতে পারে। এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বয়স্করা। কতটা মারাত্মক এই ভাইরাস? রিওভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু দেখছেন না চিকিৎসকরা। কারণ, আক্রান্তদের শরীরে তেমন কোনো জটিলতা ধরা পড়েনি। এ বিষয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে প্রতিবছর নিপাহ ভাইরাসে অনেকে আক্রান্ত হন। তেমনই লক্ষণ দেখে সম্প্রতি ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে নিপাহ ভাইরাস না মিললেও পাঁচ জনের শরীরে পাওয়া গেছে ব্যাট রিওভাইরাস। দেশে অনেক এনকেফালাইটিস রোগী পাওয়া গেছে। কিন্তু কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই গবেষণা এসব রোগীর চিকিৎসায় কাজে দেবে।’   তিনি বলেন, ‘এই ভাইরাস সংক্রমণ কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিউমোনিয়া, এমনিক এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহও দেখা দিতে পারে। বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বয়স্করা। রিওভাইরাস সাধারণত মারাত্মক নয়। তবে শিশু ও বয়স্করা সঠিক চিকিৎসা না পেলে এটি তাদের জন্য জীবনহানির পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।’   প্রতিরোধের উপায় কী? রিওভাইরাসের প্রতিরোধের জন্য টিকা (রিওভাইরাস ভ্যাকসিন) আছে যা শিশুদের জন্য দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া হাত ধোয়া, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, মাস্ক ব্যবহার ও খাবারের সুরক্ষা এই ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সহায়ক। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এই প্রথম এর দেখা মিললেও রিওভাইরাস মোটেও নতুন কোনো রোগ নয়। ১৯৫০ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হয় এই ভাইরাস। শীতকালে এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। আরটিভি/এসএপি/এআর