বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ঢাকার ধামরাইয়ের হাবিব। শুধু ১২০ দিনের পরিশ্রমে এর মধ্যেই দুই বিঘা জমি থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি।
বিদেশি এই সবজির নাম ক্যাপসিকাম, যা একসময় তার নিজের গ্রামের মানুষজন চিনতোই না। কীভাবে খেতে হয়, কোথায় বিক্রি করা যায় এসব প্রশ্নই ছিল তাদের মনে। কিন্তু সেই গ্রামের ছেলে হাবিব ক্যাপসিকাম চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন পুরো ধামরাইয়ে।
হিসাববিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেও চাকরির পেছনে না ছুটে তিনি নিজের ১০ বিঘা জমিতে দেশি বিদেশি বিভিন্ন সবজির চাষ শুরু করেন। তবে তাকে সবাই চেনে ক্যাপসিকাম চাষী হিসেবে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাইকারদের কাছে ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে ক্যাপসিকাম বিক্রি করেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ছোট ছোট গাছ কিন্তু ফল যেন গাছে ঝুলে থাকা ছোট্ট সবুজ লাল বাতি। কোনটা লম্বাটে, কাঁচামরিচের মতো, আবার কোনোটা গোলাকার তিন চারটি একসঙ্গে ঝুলছে।
চাকরির ধরাবাঁধা নিয়ম ভেঙে, নিজেদের স্বপ্নের পথ তৈরি করছে তরুণরা। তাদেরই একজন হাবিব। তিনি কাগজ কলমের হিসাব না মিলিয়ে, বাস্তবের মাটিতে সাফল্যের বীজ বুনেছেন, ফল এসেছে ক্যাপসিকামের আকারে।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, মো. আরিফুর রহমান বলেন, আধুনিক কৃষিতে নতুন একটা মাত্রা ক্যাপসিকাম। বর্তমান কৃষি বাণিজ্যিক কৃষি। এখন আমরা কৃষক থেকে কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি করছি। একইভাবে আমরা চেষ্টা করছি নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে। ক্যাপসিকামের বহুমাত্রিক ব্যবহার রয়েছে আমাদের। হাবিবের দেখা আমাদের তরুণ উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছে এই ক্যাপসিকাম চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, হাবিবের সফলতা দেখে তার আশেপাশের কৃষকরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন। আমদানিকৃত ক্যাপসিকামের তুলনায় এখানকার ক্যাপসিকাম গুণগত মানে অনেক ভালো। তাই শুধু স্থানীয় বাজার নয়, ভবিষ্যতে এটি বিদেশেও রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরটিভি/এমএ