ত্রয়োদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ দখলের প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলো। ইতোমধ্যে নির্বাচনের প্রাক-প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিএনপি। তবে, সে লড়াইয়ে খানিকটা এগিয়েছে জামায়াত। দুঃসময়ে ছেড়ে যায়নি এমন জনপ্রিয়দের প্রার্থী করতে চায় বিএনপি। অন্যদিকে জনপ্রিয়তার লড়াইয়ে এগিয়ে থাকাদের নিয়ে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরি করে প্রার্থী তালিকা করছে জামায়াত।
ডিসেম্বরে নির্বাচনের আশ্বাস দিলেও কৌশলে সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বিএনপি। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ফ্যাসিবাদীদের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলার দাবিতে সারাদেশে ৬৭ সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশের করছে বিএনপি।
এবারের নির্বাচনে তরুণ, অভিজ্ঞ ও প্রবীণদের সমন্বয়ে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চায় বিএনপি। বিবেচনায় নেওয়া হবে দলের প্রতি আনুগত্য, জনপ্রিয়তা, দুঃসময় ও আন্দোলনে ভূমিকা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মেনে সংসদীয় এলাকায় নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূলের নেতারা।
নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগ না থাকলেও সে লড়াই সহজ হবে না বলে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তারেক রহমান। এমন বক্তব্য ধারণ করে শক্তভাবে সাংগঠনিক পুনর্গঠনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে বিএনপি। দুঃসময়ে যারা বিএনপির হয়ে কাজ করেছে প্রার্থী বাছাইয়ে তারা গুরুত্ব পাবে বলে জানান দলটির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু।
এদিকে, গুঞ্জন রয়েছে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিলেও শতাধিক আসনে শক্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় জামায়াত। সেই লক্ষ্যে প্রায় অর্ধশত সভা-সমাবেশে শেষ করেছে দলটি। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, প্রার্থী নির্বাচনে মেনে চলবে কঠোর নীতি।
ভোটার এবং নির্বাচনবিহীন যে সংস্কৃতি ফ্যাসিবাদি সরকার তৈরি করেছিল তার যেন পুরনাবৃত্তি যেন না ঘটে, সেজন্য নির্বাচন ব্যবস্থা এবং প্রশাসনের সংস্কার ভোটের আগেই চায় জামায়াত।
আরটিভি/আরএ-টি