জামালপুরে ধান আর সরিষার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভুট্টা চাষ। দেওয়ানগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আবাদ হয়েছে ভুট্টা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি। বিশেষ করে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচরের জমিতে এবার ভুট্টা চাষ করেছেন কৃষকরা। অনুকূল আবহাওয়ায় ফলনও হয়েছে বেশি। আর বাজারে ভালো দাম পেলে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।
কৃষকরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, এবার আমরা বাম্পার ফলন ফলাতে পারবো। তবে ইউরিয়া সারের সংকট আছে, তাই আমরা চাষিরা ভোগান্তিতে পড়েছি এবং বেশি দামে সার কিনতে হয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের বিঘা প্রতি ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। সার, কেরোসিনের মূল্য বাড়ায় আমাদের খরচ বেড়েছে।
চলতি মৌসুমে জামালপুরে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু চাষাবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। চাষিদের বিনামূল্যে সার বিতরণসহ নানান সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর জানান, আমরা ৯৫০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করেছি। মাঠে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি।
জামালপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকিয়া সুলতানা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভুট্টা ফসলের সার্বিক অবস্থা খুবই ভালো। কৃষি বিভাগের সব বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকদের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
ভুট্টার পাতা গোখাদ্য এবং গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কৃষকরা মনে করছেন, প্রশিক্ষণের পাশাপাশি স্বল্প খরচে সার-বীজ ও কীটনাশক পাওয়া গেলে, জামালপুরে চরাঞ্চলের লাভজনক ফসল হয়ে উঠতে পারে ভুট্টা।