ঢাকাবুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২

সিইটিপি ডুবিয়েছে চামড়াশিল্পকে (ভিডিও)

জুলহাস কবীর

বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩ , ০২:৪৩ পিএম


কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার বা সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) ডুবিয়েছে চামড়াশিল্পকে। খাত সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, অনভিজ্ঞ চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আর বুয়েটের পরামর্শকদের ভুলের মাশুল গুনতে হচ্ছে চামড়াশিল্পকে। জরিমানা নিয়ে চীনা ঠিকাদারদের বিদায় করা হলেও তাদের দোষ দেখেন না বিসিক ও পরামর্শকরা। তবে রাষ্ট্রের এমন ক্ষতির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি শিল্প মালিক ও বিশেষজ্ঞদের।

বিজ্ঞাপন

তথ্যমতে, উন্নত পরিবেশ আর আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করে চামড়ার বড় বাজার ধরতে হাজারীবাগ থেকে চামড়াশিল্প সাভারের হেমায়েতপুরে সরিয়ে নেওয়া হলেও তা কাজে আসেনি। সিইটিপির পরিশোধন ক্ষমতা পিক সিজনে ট্যানারিগুলোর উৎপাদিত বর্জ্যের মাত্র অর্ধেক। তাই সিইটিপিতে বর্জ্য পুরো পরিশোধন না করেই ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ট্যানারির কঠিন বর্জ্য পরিশোধনের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি, যা দুষণ করছে নদী ও পরিবেশ। ফলে ইএসকিউ, আইএসও এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জরুরি হলেও তা সম্ভব হয়নি।

লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলছেন, চীনা যে কোম্পানিকে কনস্ট্রাকশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাদের সিইটিপি তো দূরের কথা ইটিপি করারও অভিজ্ঞতা ছিল না। পরীক্ষিত নয় এমন প্রযুক্তির ব্যবহার করে সিইটিপি করা হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

সিইটিপির ধারণক্ষমতার চেয়েও কারখানাগুলো থেকে বেশি বর্জ্য নির্গত হয়। ড্রেনেজ সিস্টেমও অপরিকল্পিত। সিইটিপি প্রকল্পের চীনা ঠিকদার ও বুয়েটের পরামর্শকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ট্যানারি মালিক ও বিশেষজ্ঞদের। 

ড. মিজানুর রহমান বলেন, চামড়া শিল্পটা আজ ধ্বংসের মুখে। এর মূল কারণই সিইটিপি’র ব্যর্থতা। এ ছাড়া দেশীয় কনসালট্যান্টের দায় সবচেয়ে বেশি। কারণ, তারা কনসালট্যান্সি করে সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা নিয়েছে। তারা আসলে কি কাজ করেছে সেটি অনুসন্ধান করা উচিত।

বিজ্ঞাপন

তবে বুয়েটের পরামর্শকরা এসব অভিযোগ মানতে নারাজ। সিইটিপি প্রকল্পের পরামর্শক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান আমাদের বিরুদ্ধে যা ইচ্ছে তাই বলতেছেন। এরসঙ্গে ট্যানারির মালিকরাও জড়িত। তবে, দক্ষকর্মী দিয়ে সিইপিটি পরিচালনা সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

কাজে অবহেলা ও অযোগ্যতার কারণে চীনা ঠিকাদারকে জরিমানা করে বিদায় করা হলেও তাদের বড় দোষ দেখছেন না বিসিক চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, চীনা প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ না করে চলে গেছে কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়। কিছু দ্রুটি ছিল, সেগুলো চিহ্নিত করে তাদের জরিমানা করা হয়েছিল।

পরিবেশ ও রাষ্ট্রের টাকার ক্ষতি করায় দায়িদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |