চলতি কাতার বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে মাঠে নামার আগের ম্যাচগুলোতে প্রতিপক্ষের কোনো গোল হজম করেনি মরক্কো। কিন্তু ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নেমে শুরুতেই গোল হজম করে বসে আটালাস লায়নসরা। এরপর আক্রমণে ধার বাড়িয়ে একের পর এক আক্রমণ চালায় আশরাফ হাকিমিরা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সেই গোলের দেখা পায় আফ্রিকান সিংহরা। ফলে মরক্কোর বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করেছে দিদিয়ের দেশমের দল।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে নিজেদের শক্তিশালী একাদশ নিয়েই মাঠে নামে মরক্কো। তবে খেলা শুরু হতে না হতেই গোলের দেখা পেয়ে যায় ফরাসিরা। পঞ্চম মিনিটে মরক্কোর ডি-বক্সে বল পেয়ে বা পায়ের বুলেট গতির শটে গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে জালের টিকানা খুঁজে নেন থিও হার্নান্দেজ।
এরপর মরক্কোও পাল্টা আক্রমণে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ১১তম মিনিটে ফ্রান্সের ডি-বক্সের বাইরে থেকে উনাহির দূরপাল্লার শট বাম পাশে ঝাপিয়ে পড়ে রুখে দেন ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক হুগো লরিস। এর সাত মিনিট পর বৌফালের পাস থেকে ডি-বক্সে বল পেয়েও বা পায়ের দুর্বল শট নেওয়ায় গোল করতে ব্যর্থ হন হাকিম জিয়েচ৷ ফলে আক্রমণ চালিয়েও কাঙ্ক্ষিত গোল পায়নি মরক্কো।
পরের মিনিটে আবারও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্সও। মরক্কোর গোলরক্ষককে একা পেয়েও ডি-বক্সের ভেতর থেকে জেরার্ড বা পায়ের শট নিলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে বারে লেগে বল চলে যায় বাইরে। এরপর কিছুক্ষণ দুই দল একের পর এক চেষ্টা করেও তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেননি।
৩৬তম মিনিটে দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাকে মরক্কোর রক্ষণভাগে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল এমবাপ্পে ও জেরার্ড। এমবাপ্পের ভোঁ দৌড়ের কাছে পরাস্ত হন মরক্কোর ডিফেন্ডাররা। কিন্তু তার দুর্বল শট ক্লিয়ার করেন মরক্কোর ডিফেন্ডার। কিন্তু ফোফানার পাস থেকে দারুণ ভাবে ফাঁকা জায়গায় বল পান জেরার্ড। কিন্তু গোলবারের বাইরে দিয়ে শট নিলে গোলবঞ্চিত হয় ফ্রান্স।
৪১ নিনিটে গ্রিজম্যানের কর্নার থেকে ভারানের ডান পায়ের শট আবারো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পায় মরক্কো। কিন্তু এল ইয়ামিকের বাইসাইকেল শট বাঁধিয়ে দেন ফ্রান্সের গোলকিপার লরিস, ফলে গোলবঞ্চিত হয় মরক্কো।