বিশ্বকাপে শতভাগ ব্যর্থ এক দলের নাম আফগানিস্তান। অনেক সম্ভাবনা জাগিয়েও একটা ম্যাচও জিততে পারেনি মোহাম্মদ নবী, রশিদ খানরা। তাই পয়েন্ট টেবিলে দশ নম্বরে থেকেই শেষ করতে হয়েছে দ্বাদশ বিশ্বকাপের আসর। আর এই ব্যর্থ দলের অধিনায়ক ছিলেন গুলবাদীন নাঈব।
যে কি না অধিনায়কের দায়িত্বটা আচমকাই পেয়েছেন বিশ্বকাপের আগে। শুনে নিজেই চমকে যান। দলের নিয়মিত অধিনায়ক আসগর আফগানকে সরিয়ে গুলবাদীনকে ওয়ানডে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়ায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ দেখিয়েছিলেন দলের সিনিয়র সদস্যরা।
শেষ পর্যন্ত এতসব ক্ষোভ মাথায় না নিয়ে গুলবাদীনের নেতৃত্বেই বিশ্বকাপে দল পাঠায় আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
বিশ্বকাপ চলাকালীন চন্নছড়া একটা দলে পরিণত হয়েছিল আফগানিস্তান। সেটা কম-বেশি সবার চোখেই পড়েছে। কিন্তু মখ খোলেনি দলের অধিনায়ক বা কোনও খেলোয়াড়।
বিশ্বকাপ শেষ হতে না হতেই বদল এসেছে দায়িত্বে। গুলবাদীনকে সরিয়ে অধিনায়ক করা হয়েছে মোহাম্মদ নবীকে।
এবার মুখ খুলছেন সদ্য এই সাবেক অধিনায়ক। তিনি হতাশ হয়েছেন বিশ্বকাপে দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের অ-খেলোয়াড়সুলভ আচরণে।
আফগানিস্তানের একটি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে উঠে আসে বিশ্বকাপ চলাকালীন দলের নানা কাণ্ড।
‘আমাদের দলটা কয়েকজন সিনিয়রের উপরই নির্ভর। আর তারাই যদি দলের অবস্থা অস্থিতিশীল করে তোলে তাহলে সেটা দলের জন্য ভয়ানক। দলের সিনিয়ররা ইচ্ছা করেই খারাপ খেলেছে। একের পর এক ম্যাচে হেরেও তাদের কোনও দায়িত্ববোধ থাকত না। তারা আমার কোনও কথাও শুনত না মাঠে।’
এমআর/