• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পোড়া বনের জন্য বৃষ্টি যেন আশীর্বাদ
ফরিদপুরে বজ্রপাতে ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১
ফরিদপুরের নগরকান্দায় বজ্রপাতে মাদ্রাসার ২১ ছাত্র আহত হওয়ার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরে মদিনাতুল উলুম মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। এদের মধ্যে ১১ ছাত্রকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির মোহতামিম মাওলানা কেরামত আলী। তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বৃষ্টির সময় শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসা ভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়েছিল। তখন মাদ্রাসার মাঠে বজ্রপাত হয়। এতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা ২১ শিক্ষার্থী আহত হয়।  তিনি আরও জানান, মাদ্রাসার শিক্ষক, অন্য শিক্ষার্থীরা আহতদের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ১০ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।  বাকিদের মধ্যে- মুজাহিদ, ছামিউল, ওলিউল্লাহ, রেজাউল, মুস্তাকিম, সাজিম, আব্দুর রহমান, মারুফ, হোসাইন, বায়েজিদ ও রিয়াদসহ ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমাবেশ
উপজেলা নির্বাচন / গোপন বৈঠকের অভিযোগে ৫ প্রিজাইডিং অফিসারসহ গ্রেপ্তার ৬
টেকনাফে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা নিহত
বিভিন্ন অভিযোগে ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার
‘ক্যাসিনো’ সেলিমের প্রার্থিতা স্থগিত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানের নির্বাচনে অংশগ্রহণ আদালতে আটকে গেল।  সোমবার (৬ মে) সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশের ওপর এই আদেশ জারি করেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান জানান, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সেলিম প্রধান।  গত ২৩ এপ্রিল যাচাই বাছাই শেষে মানি লন্ডারিং ও দুদকের মামলায় সাজার কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে মনোনয়নের বৈধতা চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর সেলিম প্রধান আপিল করলে গত ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক আপিল খারিজ করে মনোনয়ন বাতিল বহাল রাখেন। ৩০ এপ্রিল উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের প্রার্থিতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে রিট করেন সেলিম প্রধান। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সেলিম প্রধানের প্রার্থিতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেয় উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। গত ২ মে বৃহস্পতিবার সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান। তার আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এ বিষয়ে শুনানি হয়। পরে বিচারক এম. এনায়েতুর রহিমের আদালত সেলিম প্রধানের করা রিটের বিষয়বস্তুর ওপর স্থিতাবস্থা জারি করে। হাবিবুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। এ সময় তার সহকারী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহিন এম. রহমান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক উচ্চ আদালতের আদেশের ওপর স্থায়ীভাবে স্থিতাবস্থা জারি করেন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডগামী উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে এনে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তার বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছিল, সেলিম প্রধান বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনো বা অনলাইন জুয়ার মূলহোতা। তিনি প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এ ঘটনায় তখন তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।  
ধামরাইয়ে কালবৈশাখীতে দেয়ালচাপায় ২ জনের মৃত্যু
ঢাকার ধামরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের দেয়াল চাপা পরে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। সোমবার (৬ মে) দুপুর ২টার দিকে দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম।  এর আগে রোববার রাতে আহত চারজনকে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিহতরা হলেন, নওগাঁ জেলার মান্দা থানার কুরুগ্রামের ফকির উদ্দিন সরকারের ছেলে আনিছুর রহমান (৫৩) ও গাইবান্ধার পলাশবাড়ী থানার মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে শাহারুল আলম (৫২)। তারা ওই প্রজেক্টের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। আহত তিনজনের মধ্যে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং আহত হামিদ আলী ও আল-মানুন চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানায়, রোববার মধ্যরাতে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এ সময় ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের এসএস  অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেডের ভেতরের একটি কক্ষে সাতজন নিরাপত্তাকর্মী অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে প্রথমে ওই কক্ষের চাল উড়ে নিরাপত্তাকর্মীদের ওপরে পরে। পরে দেয়ালও তাদের ওপর ধসে পরে।  এ সময় তাদের মধ্যে পাঁচজন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজনের চিকিৎসা চলছে। আহত একজন সামান্য আহত হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।  এসএস অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স লিমিটেডের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কৃষ্ণ বলেন, তারা এখানে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। রাতে ঝড়বৃষ্টি হলে টিনের চালা পড়ে তারা আহত হন। এরমধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দুজন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ডিউটি ইনচার্জ মো. ইউসুফ আলী বলেন, রাতে ৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন। বাকি দু’জনের চিকিৎসা চলছে। সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বলেন, দুজন মৃত্যুর খবর পেয়ে আজ সকালে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে। তারা শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া   / কক্সবাজারে জরুরি অবতরণ করল ইউএস-বাংলার ফ্লাইট
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামে নামতে না পেরে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট। সোমবার (৬ মে) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ইউএস বাংলার ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে। তবে বিমানের কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা যান্ত্রিক ত্রুটি হয়নি বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএস-বাংলার কক্সবাজার বিমানবন্দরের ইনচার্জ মুছা আহমেদ।  তিনি বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামে নামতে না পেরে কক্সবাজারে অতরণ করেছে ফ্লাইটটি। অন্য কোনো সমস্যা হয়নি। ইউএস-বাংলা সূত্রে জানা গেছে, কলাকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সোমবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ইউএস-বাংলার বিএস ২০৪ নম্বর ফ্লাইটটি উড়াল দেয়। যেটি ২ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবওয়ার কারণে দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে পারেনি ফ্লাইটটি। পরে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা হয়।  পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে ফ্লাইটটি কক্সবাজারে অবস্থান করবে বলে জানা গেছে। তবে ওই ফ্লাইটে কতজন যাত্রী রয়েছে এবং তাদেরকে নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেই বিষয়ে মন্তব্য করেনি ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ। এ দিকে সোমবার বিকেল ৫টা থেকে কক্সবাজারেও কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের গতিও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টিও হচ্ছে থেমে থেমে। এর ফলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে পুরো শহর।
নারী নেত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল, ৬ জনকে আসামি করে মামলা
ময়মনসিংহে এক যুব মহিলা লীগ নেত্রীর গোপন ভিডিও ভাইরাল করার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী রানী ইসলাম। এ ঘটনায় জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র যুগ্মআহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারসহ ৬ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন তিনি।    সোমবার (৬ মে) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রানী ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন।      রানী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা যুব মহিলা লীগের সদস‍্য।   মামলার অন‍্য আসামিরা হলেন কাজী বাবু, হীরা, মশিউর রহমান রানা, মোহাম্মদ রাকিবুল ও জাওয়াদ নির্ঝর।  সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনায় জেলা যুব মহিলা লীগের ১নং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারকে দায়ী করে করে রানী ইসলাম বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার। আমার নেত্রী স্বপ্না খন্দকার তার সহযোগীদের নিয়ে জোরপূর্বক আমাকে বাধ‍্য করে এই ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এতে আমি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।’   ভুক্তভোগী রানী আরও বলেন, ‘আমার মতো অনেক নারী স্বপ্না খন্দকারের ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার। কিন্তু ভয়ে কেউ স্বপ্নার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না। মূলত রাজনীতির আঁড়ালে এ ধরনের অপরাধের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই স্বপ্না খন্দকারের পেশা ও নেশা। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’  সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও জেলা যুব মহিলা লীগের ১নং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, আদালতে মামলা হয়েছে। আদেশের কপি হাতে পেয়ে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে। 
চাঁদপুরে পৃথক ঘটনায় নববধূসহ ২ মরদেহ উদ্ধার
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় নববধূ ও এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  সোমবার (৬ মে) হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ আলী হাজী বাড়ি থেকে মাহফুজুর রহমান (১৯) ও দুপুরে উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের নমসূত্র বাড়ি থেকে নববধূ নুসরাত জাহান মাহির (২০) মরদেহ উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোপিনাথ অধিকারী।  মাহফুজুর রহমান হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ আলী হাজী বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে। প্রেমঘটিত কারণে মাহফুজ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে পরিবারের কোনো সদস্যই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। অপরদিকে উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের নমসূত্র বাড়ি থেকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও শাহরাস্তির শোরশাক চেড়িয়ারা স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা প্রভাষক জাকির হোসেন ফরিদের স্ত্রী নববধূ নুসরাত জাহান মাহির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  গত ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) ফরিদ ও মাহির সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। মাত্র ২৪ দিনের মাথায় নুসরাত জাহান মাহি আত্মহত্যা করলেন। নুসরাত জাহান মাহি শোরশাক চেড়িয়ারা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। শিক্ষক-ছাত্রী প্রেম করেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বলে পারিবারিকভাবে জানা গেছে। জাকির হোসেন ফরিদ জানান, সে সকালে নাস্তা করে কলেজে চলে যায়। কলেজ যাওয়ার পর তার ভাগনে তাহসিন স্ত্রী নুসরাত মাহির আত্মহত্যার ঘটনা মোবাইলে জানায়। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি কলেজ থেকে দ্রুত বাড়িতে আসেন। হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় একজন তরুণ ও আরেকজন গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিকেলে উভয় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 
সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে: ফায়ার সার্ভিস
বন বিভাগের পর এবার সুন্দরবনের আমরবুনিয়ার লতিফের সিলা এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস।   সোমবার (৬ মে) ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের কথা ঘোষণা করেন।  তিনি বলেন, ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। রোববার থেকে টানা ৪৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বনবিভাগ, বিমানবাহিনী ও স্থানীয় শতশত স্বেচ্ছাসেবক।   ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আরও বলেন, আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। কোথাও আগুনের ফুলকি বা ধোঁয়া নেই। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আরও ২ দিন কাজ করবেন কালো ছাই সাদা করার জন্য। এরপর তারা বন ত্যাগ করবেন।  অবশ্য রোববার বিকেলে সুন্দরবন আগুন নিয়ন্ত্রণ এসেছে বলে সাংবাদিকদের জানান খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষণ মিহির কুমার দো। আর এ দিন সন্ধ্যায় প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী খুলনায় প্রেস ব্রিফিং এ আগুন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেন। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল তাজুল ইসলামের সঙ্গে এ সময় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কমান্ডার মো. বাশারুল ইসলাম, চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব, মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান, মোংলা থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে আমরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্পের অধীনে লতিফের সিলা এলাকায় আগুন লাগার খবর পান বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
শ্বাসরোধে সন্তান হত্যার পর নাটক সাজান মা
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ৭ বছর বয়সী শিশু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। ৭ বছরের সন্তান মাইশাকে হত্যার পর নিজেকে বাঁচাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিজের মেয়ে মারা গেছে এমন নাটক সাজিয়ে মোবাইলফোনের চার্জার গলায় জড়িয়ে রাখেন এক মা। ১৬৪ ধারায় আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দোষ স্বীকার করে নিজের শিশু সন্তান মাইশাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পৈশাচিক বর্ণনা দিয়েছেন মা পপি খাতুন। হত্যাকারী মা পপি খাতুন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইল বগাদি গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।  তিনি বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইল বগাদী গ্রামের মাইশা খাতুন নামে ৭ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়। মোবাইল চার্জার নিয়ে খেলতে গিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় বলে ধারণা করা হয়। তার মায়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওইদিন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। অপমৃত্যু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল রানা মামলার তদন্ত করার সময় দুর্ঘটনামূলক স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ হলে শিশুটিকে ময়নাতদন্ত করা হয়।  তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, শিশু মাইশাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। বিদ্যুতস্পৃষ্টে মৃত্যুর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এরই ভিত্তিতে গত ৩ মে নিহত মাইশার নানা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি আরও বলেন, মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। সেখানে মা পপি খাতুনের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বেচ্ছায় এই হত্যার দায় স্বীকার করেন। তিনি তার পারিবারিক কারণে নিজেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানান। হত্যাকারী পপি খাতুন আগের পারিবারিক ব্যক্তি জীবন, একাধিক বৈবাহিক জীবন আবার বিবাহ বিচ্ছেদ এবং বিবাহ বিচ্ছেদ পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে যা এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে বলে জানান আরএম ফয়জুর রহমান।  উল্লেখ্য, শিশু মাইশা খাতুন ভোগাইল বগাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। মা-বাবার বিয়ে বিচ্ছেদ হলে মায়ের সঙ্গে মাইশা নানা বাড়িতেই থাকতো।