• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মেহেরপুরের ২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ বুধবার, প্রচার-প্রচারণা শেষ 
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষকের ২ হাত ভেঙে দিলো কিশোর গ্যাং
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের সময় প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষককে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে দিয়েছে কিশোর গ্যাং।   ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম মো. হাসান (৩৪)। তিনি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক।   রোববার (৫ মে) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মদিনা বাজারের পূর্বপাশে এ ঘটনা ঘটে।  এর আগে একই দিন বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করার সময় প্রতিবাদ করেন ওই শিক্ষক। হামলাকারী মো. রাজু (২৪) ও আবু নোমান (২৫) মুছাপুর ইউনিয়নের জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা এলাকার বাসিন্দা।     এ বিষয়ে জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক মো. শহীদ উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, বেলা পৌনে ১১টার দিকে বহিরাগত রাজু জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ক্যাম্পাসে আসে। এরপর সে মাদরাসার ছাত্র নোমানের সহযোগিতায় ষষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে ঢুকে এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করে। ওই সময় ছাত্রী তার ভয়ে শ্রেণি কক্ষে থাকা বেঞ্চের নিচে লুকিয়ে যায়। এরপর ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রীর অন্য সহপাঠীরা বাধা দিলেও রাজু তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। খবর পেয়ে মাদরাসার নুরানি বিভাগের শিক্ষক মো. সোহেল এগিয়ে এলে ইভটিজার রাজু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মাদরাসার ভেতরে ওই শিক্ষককে মারধর করে।  প্রভাষক মো. শহীদ উল্যাহ আরও বলেন, তাৎক্ষণিক একই মাদরাসার শিক্ষক হাসান এগিয়ে এসে সহকর্মী শিক্ষকের ওপর হামলা ও ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গেও ইভটিজারদের বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জের ধরে বিকেল ৫টার দিকে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রাজু ও নোমানের নেতৃত্বে ৭ থেকে ৮ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য তার গতিরোধ করে। পরে তারা শিক্ষক হাসানের ওপর হামলা চালায়। তখন হামলাকারীরা তাকে রাস্তায় দৌড়াতে দৌড়াতে বেধড়ক পেটায়। এতে তার দুই হাত ভেঙে যায়।     হামলার শিকার শিক্ষকের শাশুড়ি বিবি খাদিজা ও শ্বশুর মো. সাহাব উদ্দিন বলেন, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এ হামলা চালায়। বর্তমানে হাসানকে জেলা শহর মাইজদীর জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।   জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের অর্থোপেডিক ডাক্তার আবদুর রহমান বলেন, তার একটি হাতে অপারেশন করে পাত বসানো হয়েছে। অন্য একটি হাতে প্লাস্টার করা হয়েছে। তার দুটি হাতই ভেঙে গেছে।   নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, বিষয় শুনেছি। ভুক্তভোগী শিক্ষকের পরিবারকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
টাঙ্গাইলে কাভার্ডভ্যান-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালক নিহত
পাবনায় ২৩ লাখ টাকাসহ উপজেলা চেয়ারম্যান আটক
গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা
গাজীপুরে তিন উপজেলায় ১৫৪ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামীকাল বুধবার গাজীপুর সদর, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই তিনটি উপজেলায় নিরাপত্তার দিক থেকে পুলিশ কম গুরুত্বপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরিতে ভোটকেন্দ্র চিহ্নিত করেছে। এই তিনটি উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৫৮টি। এর মধ্যেও ১৫৪টি গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) আর কম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৪টি। গাজীপুর জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র এর তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে মোট ৪৯টি ভোটকেন্দ্রর মধ্যে ২০টি কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ ও ২৯টি কম গুরুত্বপূর্ণ।  কাপাসিয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে মোট ১১৯টি কেন্দ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ২৭টি, কম গুরুত্বপূর্ণ ৯২টি ভোটকেন্দ্র। কালিগঞ্জ উপজেলায় সাতটি ইউনিয়নে মোট ৯০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫টি গুরুত্বপূর্ণ ও কম গুরুত্বপূর্ণ ৪৫টি কেন্দ্র রয়েছে।  এসব ভোটকেন্দ্রে র‌্যাব, পুলিশ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হবে। এ বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া বিজিবি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ভোট কেন্দ্রসমূহে মোবাইল টিম কাজ করবে, থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।
বগুড়ায় আ.লীগ নেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 
বগুড়ার আদমদীঘিতে নিজ ঘরে এক আওয়ামী লীগ নেতার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। তার নাম মোখলেছুর রহমান (৬০)। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় ওই আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।  এর আগে দুপুরে আদমদীঘি বাজার এলাকায় তার ভাড়া বাসার শোয়ার কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।    স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, মোখলেছুর রহমান উপজেলার বিনাহালী গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেন মন্ডলের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। মোখলেছুর রহমান তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ওই ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার প্রথম স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকেন।  মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদমদীঘি থানার ওসি রাজেশ কুমার চক্রবর্তী। ওসি রাজেশ বলেন, সোমবার দুপুরে ভাড়া বাসার শোয়ার কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। ওসি রাজেশ আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণ করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে সঠিক তথ্য জানা যাবে। এ জন্য নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গাইবান্ধায় ১৭৯ অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে রুল
গাইবান্ধার লাইসেন্সবিহীন ১৭৯টি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে কেন পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রনণ আইন-২০১৩ অনুযায়ী ১৭৯টি ইটভাটা উচ্ছেদ করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালযের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালযের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও গাইবান্ধার জেলা প্রসাশকসহ (ডিসি) সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।  এ বিষয়ে দায়ের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৬ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি এ কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে সোমবার রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবি আবদুর রাজ্জাক। গত সপ্তাহে এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক।  এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গাইবান্ধা জেলার কৃষি ও পরিবেশ রক্ষার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ে গাইবান্ধা জেলার অবৈধ ইটভাটার তথ্য ও তালিকা চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর গত ১৮ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় অফিস এ আইনজীবীকে লিখিত তথ্য সরবরাহ করে।  সেখানে উল্লেখ করা হয়, গাইবান্ধা জেলার আওতাধীন অবৈধ ইটভাটা রয়েছে ১৭৯টি। এ তথ্য অনুযায়ী বসতবাড়ি ও ফসলি জমির পাশ থেকে ইটভাটা উচ্ছেদসহ ফসলি জমি উদ্ধারের জন্য গত ২ এপ্রিল জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বরাবর আবেদন করেন। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবেদন অনুসারে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এ বিষয়ে পরবর্তিতে সংশ্লিষ্টদের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান রিটকারী আবদুর রাজ্জাক। তারপরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। রিট আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
ঘোড়াঘাটে ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৫ জন গ্রেপ্তার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ট্রান্সফরমার চোরচক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। তাদের হেফাজত থেকে জব্দ করা হয়েছে একটি ট্রান্সফরমারের অংশ বিশেষসহ বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মালামাল। উদ্ধার করা মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ লাখ টাকা জানিয়ে সোমবার (৬ মে) বিকেল ৫টায় সংবাদ সম্মেলনে হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে কাউসার ইসলাম (২২), কশিগাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আনারুল ইসলাম (৩৫), কশিগাড়ী গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২০), গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ছোট শিমুলতলা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে রতন মিয়া (৩৫) এবং গাইবান্ধা সদর উপজেলার ডেভিট কোম্পানী পাড়া গ্রামের শাহারুল ইসলামের ছেলে রিয়াজ আকন্দ (২৮)। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলার হাটশ্যামগঞ্জ গ্রামে বিদ্যুতিক খুঁটি থেকে একটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। এ নিয়ে ঘোড়াঘাট সাব জোনাল অফিসে অভিযোগ দেন ওই গ্রামের গ্রাহক আল আমিন মিয়া। পরে সোমবার (৬ মে) সকালে ঘোড়াঘাট থানায় এজাহার দাখিল করেন দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ঘোড়াঘাট সাব জোনাল অফিসের এজিএম মেহেদী হাসান। এরপর চুরি যাওয়া বিদ্যুতিক সরঞ্জাম উদ্ধার এবং চোর শনাক্তে মাঠে নামে পুলিশ। দিনভর পৃথক কয়েকটি অভিযানে গ্রেপ্তার হয় চক্রের ৫ সদস্য এবং তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গাইবান্ধা সদর উপজেলা থেকে চোরাই মালামালগুলো জব্দ করে পুলিশ। এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম বলেন, দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার স্যারের সার্বিক দিক নির্দেশনায় আমরা ট্রান্সফরমার ও মিটার চোর চক্র নিধনে কাজ করছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছেন। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা আদালতে রিমাণ্ডের আবেদন করব।
সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সাভারে অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় নাহিদ মাহমুদ (২১) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার করে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ। সোমবার (৬ মে) ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দেওয়া পরিবহনটি শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। নিহত নাদিম মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানার জামির্তা এলাকার মোহসীন আলীর ছেলে। তিনি মোটরসাইকেলে করে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেন দিয়ে নাহিদ মাহমুদ যাচ্ছিলেন। তিনি মহাসড়কের পুলিশ টাউনের সামনে গেলে অজ্ঞাত পরিবহন তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দেওয়া পরিবহনটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে হাফেজ নিহত 
বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুকুয়া গ্রামে বজ্রপাতে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) রাত পৌনে ৮টার সময় বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান তিনি। আব্দুল্লাহ ওই গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে।  জানা গেছে, আব্দুল্লাহ মাছ ধরার জন্য সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের বিলে যান। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে  তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।  খবর পেয়ে স্বজনরা তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।  নিহত আব্দুল্লাহর শিক্ষক এরশাদ উল উলুম মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মো. ফয়জুল্লাহ জানান, হাফেজ আব্দুল্লাহ তার মাদরাসা থেকেই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কোরআনে হাফেজ হয়। 
‘পেশাগত নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অনুশীলন আইন পেশার মূল ভিত্তি’
পেশাগত নৈতিকতা ও মূল্যবোধের যথাযথ অনুশীলন আইন পেশার মূল ভিত্তি বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, পেশাগত মূল্যবোধের অনুশীলন ছাড়া আইন চর্চা করা হলে বিচারাঙ্গন নিছক কাঠপাথরের কিছু স্থাপনায় পরিণত হবে। এ জন্য দায়িত্ব পালনে আমাদের সবাইকে মানবিক হতে হবে। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ‘আইন পেশার আদর্শ ও নৈতিকতা এবং বিচারিক পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনজীবীরা পেশা পরিচালনায় নৈতিক মানদণ্ড রক্ষায় যদি যথাযথ গুরুত্ব না দেন, তাহলে মানুষের অধিকার রক্ষার মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে না। যে মহান উদ্দেশ্য নিয়ে বিচারালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই উদ্দেশ্য সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, একজন আইনজীবীর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব মক্কেলের গোপনীয়তা রক্ষা করা। উন্নত রাষ্ট্রগুলোর মতো এ বিষয়টা আমরা ততটা গুরুত্ব দেই না। এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন, আইনজীবীরা নির্দিষ্ট একটি পরিসরে পেশাগত কাজ করেন বিধায় এখানে প্রতিযোগিতা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু এই প্রতিযোগিতা যেন হয় সুস্থ আইনি প্রতিযোগিতা। আইন অঙ্গনে কেউ কদর্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবেন না। সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।