• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo
মণিরামপুরে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
রাজশাহীর ডিআইজি আনিসসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা
যশোরের সাবেক পুলিশ সুপার ও বর্তমান রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি আনিসুর রহমানসহ ৮ জনকে বিচার বহির্ভূত হত্যার মামলার আসামি করা হয়েছে।     রোববার (১৮ আগস্ট) আবু সাঈদের স্ত্রী পারভীন খাতুন বাদী হয়ে মণিরামপুর আমলি আদালতে এ মামলা করেন।  সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহমেদ অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের খুলনা বিভাগীয় ডিআইজিকে আদেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী শহীদ ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের আবু সাঈদ নামে এক যুবককে আটকের পর ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।   মামলার আসামিরা হলেন, যশোরের মণিরামপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্যা খবির আহমেদ, এসআই তাসমীম আহমেদ, এসআই শাহীন, দুর্গাপুর গ্রামের মৃত দুর্গাপদ সিংহের ছেলে সুব্রত সিংহ, জিনার আলীর ছেলে মতিউর রহমান, জয়পুর গ্রামের মৃত নওশের আলী মেম্বারের ছেলে মোন্তাজ আলী, খোর্দগাংড়া গ্রামের মৃতা আব্দুল মান্নানের ছেলে ফিরোজ আহমেদ। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর উপজেলার জয়পুর বাজারের পল্লী চিকিৎসক বজলুর রহমানের দোকান থেকে আবু সাঈদকে আটক করে পুলিশ। এরপর পুলিশ তাকে মারধর করে গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন খোঁজ নিতে গেলে জানানো হয় পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাকে আটক করা হয়েছে। এরপর তাকে একটি পেন্ডিং মামলায় আটক দেখানো হয় এবং ওসি আওয়ামী লীগ নেতা মমতাজ আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। মমতাজ আলী তখন মোটা অংকের টাকা দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হলে তিনি জানান, আবু সাঈদ বিএনপি করে এবং সে ক্রসফায়ারের এক নম্বর লিস্টে আছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ওইদিন রাতে আবু সাঈদকে থানা অভ্যন্তরে মারধর করা হয়। এরপর গভীর রাতে তাকে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বেগারিতলা নামক স্থানে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। পরের দিন সকালে পরিবারকে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়। এরপর আসামিদের যোগসাজসে আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত করে মরদেহ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। অভিযোগে মামলার বাদী দাবি করেছেন, পুলিশ হেফাজতে আবু সাইদের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আসায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে তিনি আদালতে এই মামলা করেছেন। উল্লেখ্য, আনিসুর রহমান ২০১৪ সালের ২৪ মার্চ যশোর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। এবং ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
ধানখেত থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
পুকুরে জড়ানো অবস্থায় ছিল ভাই-বোনের মরদেহ
যশোরে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ২
দোকানের ভেতর পুড়ল প্রতিবন্ধী বাবা, বাঁচানোর চেষ্টায় আহত ছেলে
যশোরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শ্রমিক নিহত
যশোরের মণিরামপুরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী অজ্ঞাত একজন কৃষি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের চালক জাকির হোসেন (৪৫)।  সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে যশোর-চুকনগর সড়কের লাউড়ী মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, যশোরমুখী একটি ট্রাক লাউড়ী মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী অজ্ঞাত যুবক ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত জাকির হোসেনকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, আহত জাকির হোসেন কেশবপুর উপজেলার মূলগ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। জাকির জানান, তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান। নিহত যুবক একজন কৃষি শ্রমিক। তার বাড়ি চুকনগরে। যাত্রী হিসেবে তিনি ওই শ্রমিককে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তার নাম জানেন না বলে জানান জাকির। মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, ঘাতক ট্রাকটি পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে। তবে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ছাদ থেকে পড়ে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু
যশোরের মনিরামপুরে ৩ তলার ছাদ থেকে পড়ে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা মারা গেছেন।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম হারাধন কুণ্ডু (৬৪)। তিনি ভবানীপুর গ্রামের তারাপদ কুণ্ডুর ছেলে।  ২০১৬ সালে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পদে চাকরি থেকে অবসরে যান তিনি। স্বজনরা জানান, হারাধন কুণ্ডুর প্রথম স্ত্রীর ঘরে ২ মেয়ে রয়েছে। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন হারাধন। তিন মাস আগে তার দ্বিতীয় স্ত্রী মারা গেছেন। এরপর থেকে বাড়িতে একা থাকতেন তিনি।  হারাধন কুণ্ডুর বড় মেয়ে মাধুরী কুণ্ডু জানান, কয়েক দিন আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। তার বাবা বাড়ির তিনতলা ছাদের একটি কক্ষে থাকতেন। এক বছর আগে তিনি ব্রেন স্ট্রোক করেছিলেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার ভোরে বাড়ির খোলা ছাদে হাঁটাহাঁটি করছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, অসাবধানতাবশত পা পিছলে ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান। এতে মাথায় আঘাত লেগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মনিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান।  তিনি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে আমরা মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যশোরে স্কেভেটরচালকের মরদেহ উদ্ধার
যশোরে ফরিদুল ইসলাম নামে এক স্কেভেটরচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ জানুয়ারি) চাঁচড়া ইউনিয়নের সাড়াপোল গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফরিদুল ইসলাম মণিরামপুর উপজেলার মল্লিকপুর ঝাঁপা গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে। জানা যায়, গত কয়েক দিন যাবৎ স্কেভেটরচালক সাড়াপোল গ্রামে মাটি কাটছিলেন। তিনি রাতে স্কেভেটরের মধ্যেই ঘুমিয়ে থাকতেন। সকালে এলাকাবাসী স্কেভেটরের কাছে গিয়ে দেখতে পান তিনি ঘুমিয়ে রয়েছেন। অনেক ডাকাডাকি করেও তার সাড়া মিলছে না। এরপর তারা চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সেটা জানাতে পারেনি পুলিশ ও এলাকাবাসী। তার মৃত্যু রহস্যজনক বলে পুলিশ মন্তব্য করেছে। এ কারণে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।