• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
শ্বাসরোধ করে হত্যার পর গৃহবধূকে মাটিচাপা
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রডবোঝাই ট্রাক খাদে, নিহত ১
যশোর-মাগুরা সড়কের সাদীপুরে রডবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত ও অন্য একজন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৫ মে) ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, যশোর-মাগুরা সড়কের সাদীপুরে ভোর ৫টার দিকে লোহার রডবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাকটি যে ব্যক্তি চালাচ্ছিলেন তিনি নিহত হন। গুরুতর আহত অন্যজনকে যশোর ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে যশোর মেডিকেলে পাঠিয়েছে। নিহত চালক আরিজুল ইসলাম (৩০) সাতক্ষীরা কালীগঞ্জের ফটিক হোসেনের ছেলে। তিনি সাধারণত হেলপারের দায়িত্বে থাকলেও তখন ট্রাকটি নিজেই চালাচ্ছিলেন। আহত ট্রাকের মূল ড্রাইভার রবিউল ইসলামের গ্রামের বাড়ি দেবহাটা একাকায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন খাজুরা ক্যাম্প ইনচার্জ অভিজিৎ সিংহ রায়। তিনি বলেন, ‘ভোর ৫টার আগে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন।’
সীমান্তে ফের বিএসএফের গুলি
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ফের যশোরে, ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে যশোর 
যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি
কেক কাটার পর চলন্ত ট্রেনের নিচে মা-মেয়ের ঝাঁপ
যশোরের চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের পুলতাডাঙ্গা রেললাইন থেকে ট্রেনে কাটা মা এবং মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- মা লাকি বেগম (৩৫) এবং মেয়ে মিম খাতুন (১২)।  তারা খুলনার বাসিন্দা হলেও যশোরের বড় হৈবতপুর গ্রামে ভাড়া থাকতেন। এলাকাবাসী জানান, প্রথম স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর ফের বিয়ে করেছিলেন লাকি বেগম। কিছুদিন আগে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গেও ডিভোর্স হয়ে যায় তার। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন রাখাল জানান, তারা মাঠে গরু চরাচ্ছিলেন। এ সময় দেখতে পান, রেললাইনে বসে লাকি বেগম ও তার মেয়ে কেক কেটে খাচ্ছেন। কিন্তু ট্রেন আসার মুহূর্তে লাকি বেগম তার মেয়েকে হাত ধরে টেনে রেললাইনের ওপর ওঠানোর চেষ্টা করছিলেন। একপর্যায়ে ট্রেন কাছে এলে মা-মেয়ে একসঙ্গে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন যশোর ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিকেল ৩টার দিকে জানতে পারি এই পুলতাডাঙা রেললাইনে মা-মেয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে আমরা ভ্যানিটি ব্যাগ, মোবাইল পাই। মোবাইলের মাধ্যমে আমরা পরিচয় শনাক্ত করি। তিনি আরও বলেন, কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। এ ব্যাপারে রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করছে।
যশোরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
যশোরে জিল্লুর রহমান শিমুল (৪৮) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা সদরের চূড়ামনকাটি ইউনিয়নের গোবিলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিমুল গোবিলা গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে। সে চূড়ামনকাটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। নিহতের ভাই রাকিব হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নোংরা রাজনীতির শিকার তার ভাই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্যরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিমুল মারা যান। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুজায়েত হোসেন বলেন, শিমুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানোর পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কী কারণে, কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা উদঘাটন ও জড়িতদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।
ভিডিওকলে ‘বাঁচার আকুতি’ জানান রকি, হয়নি শেষরক্ষা
পরিবারের হাল ধরতে মাত্র ২ মাস আগে যশোরের ছেলে কামরুল হাবিব রকি (২১) কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে চাকরি নিয়েছিলেন। কর্মরত ছিলেন ঢাকার বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে। ওই রেস্টুরেন্টে আগুন লেগে যে ৪৬ জন মারা যান তাদের মধ্যে একজন কামরুল হাবিব রকি। ভিডিওকলে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি মারা যান। শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা ১১টায় তার মরদেহ পৌঁছায় গ্রামের বাড়িতে। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে রকির বাড়ির পরিবেশ। নিহত রকি যশোর সদর উপজেলার ধোপাখোলা গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে।  নিহত রকির মামা জিহাদ হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে রকির মেসেঞ্জারে ভিডিওকল দিয়েছি, সে রিসিভ করেনি। পরে আমাকে কল ব্যাক করে বাঁচার আকুতি জানায়। কিছুক্ষণ পর কল কেটে যায়। আমি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানাই। তারা জানান, উদ্ধারকাজ চলছে, ধৈর্য্য ধরুন। এরপর আমি ঢাকায় রওনা হই। সেখানে হাসপাতালে পাই রকিকে। ততক্ষণে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আমিই রকিকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। ওর চাকরির পর আমিই ঢাকা চিনিয়েছি। গত ডিসেম্বরে সে চাকরিতে ঢুকেছে। আজ ওর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।’ নিহত রকির ভাই কামরান হোসেন সাজিম জানান, তার ভাই আলিম পাস করে গত ডিসেম্বরে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ক্যাশিয়ার পদে চাকরি নেন। বৃহস্পতিবার সেখানে কর্মরত অবস্থায় আগুন লাগে। রকি ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান রকি। আগুনের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ বাড়িতে এসেছে।
যশোরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজন খুন 
যশোর সদর উপজেলার কচুয়া দিয়াপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কাজী নাইমুর রহমান হিমেল নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিবাদের সময় খুন হন তিনি। নাইমুরের স্ত্রী তামান্না রহমানের দাবি, তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। নিহতের মা লুৎফুন নাহার জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষ হিমেলকে এর আগেও কয়েকবার মারপিট করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ বিচার দাবি করেন তিনি। যশোর কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে পুলিশ।  তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। 
চোর সন্দেহে রড-হাতুড়ি দিয়ে পিটুনি, যুবক নিহত 
যশোরে চোর সন্দেহে রড-হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এক যুবককে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় যশোর সদর উপজেলার রামনগরের সতীঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত ফয়েজুল গাজী (২৭) যশোর সদর উপজেলার সতীঘাটা গোলদারপাড়া এলাকার জালাল উদ্দিন গাজীর ছেলে। পুলিশ জানায়, রোববার সকালে রামনগরের সতীঘাটা এলাকায় চোর সন্দেহে ফয়েজুল গাজীকে মারপিট করেন স্থানীয় একদল লোক। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফয়েজুলকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যু হয়।  হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নিহত ফয়েজুলের ভাতিজা মো. বাদল গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, আমার চাচা একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। ভাটা থেকে কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধরে নিয়ে একটি কারখানার মধ্যে দড়ি দিয়ে বেঁধে হাতুড়ি, রড দিয়ে মারপিট করা হয়েছে।  চুরির অপবাদ দিয়ে মারপিট করা হলেও তার চাচা কোনো ধরনের খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত নয় বলেও জানান নিহত ফয়েজুলের ভাতিজা। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। চোর সন্দেহে তাকে স্থানীয় জনতা মারপিট করে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য মিলেছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।