হিমাচলের মান্ডিতে বিজেপি থেকে ভোটে জয়ী হয়ে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত এখন সংসদ সদস্য। কিন্তু তার জয়কে চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন বাতিল চেয়ে মামলা করেছেন হিমাচলের কিন্নর জেলার বাসিন্দা লায়ক রাম নেগি।
তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি এমপি পদ হারাতে চলেছেন কঙ্গনা? এদিকে গত ২৪ জুলাই ওই মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে কঙ্গনাকে নোটিশ পাঠিয়েছে হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্ট।
ভারতীয় গণমাধ্যম টিভি নাইনের তথ্য অনুযায়ী, আবেদনকারী নেগি আদালতকে জানান, মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার অবৈধভাবে তার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন। তাই মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানিয়েছেন নেগি।
জানা গেছে, সাবেক সরকারি কর্মচারী ছিলেন নেগি। এ ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর থেকে তার কোনো বকেয়া নেই বলে শংসাপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। নেগির দাবি, নিয়ম মেনেই সব কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি।
এরপর এক দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ, পানি এবং টেলিফোন দপ্তরের ‘বকেয়া নেই’ সংক্রান্ত শংসাপত্র জমা দিতে বলা হয় নেগিকে। কিন্তু সেগুলো পেশের সময় না দিয়েই মনোনয়ন বাতিল করা হয় তার।
নেগি জানান, মনোনয়ন জমা দেওয়ার একদিন পরেই প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিযেছিলেন তিনি। তবে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার তা গ্রহণ করেননি।
প্রসঙ্গত, কঙ্গনাকে মান্ডি লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ছয় বারের নির্বাচিত কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের পুত্র বিক্রমাদিত্য। তাকে হারিয়ে সংসদের আসনে বসেন এই অভিনেত্রী।