• ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
আন্দরকিল্লা মসজিদকে গড়ে তোলা হবে মসজিদে নববীর আদলে: ধর্ম উপদেষ্টা
শুরু হচ্ছে আরটিভি আলোকিত কোরআন ইউএসএ-সিজন-২
বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মাঝে পবিত্র কোরআন নিয়ে রয়েছে এক অকৃত্রিম অনুভূতি। প্রবাসী বাঙালি মুসলিমরাও এর ব্যতিক্রম নয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের সব বয়সী মানুষই কোরআন চর্চা করে থাকেন। তাদের সে কোরআন চর্চা ও তেলাওয়াতকে আরও প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ‌'সুন্দর জীবনের জন্য কোরআন' এই শিরোনামে গত বছর নর্থ আমেরিকায় বসবাসরতদের নিয়ে প্রথমবারের আয়োজিত পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা ‌‌‌‌‌‌‌'আর টিভি আলোকিত কোরআন ইউএসএ-২০২৪'  এর ব্যাপক সাফল্যের পর দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে- আরটিভি আলোকিত কোরআন ইউএসএ সেশন-২।  পবিত্র রমজান মাস জুড়ে ইফতারের পূর্বে মোট ২৭টি পর্বে জনপ্রিয় চ্যানেল আরটিভিতে প্রচারিত হবে এই প্রতিযোগিতা। রিয়েলিটি শোটির আয়োজনে রয়েছে প্রিয়ন্তি ইউএসএ ইনকরপোরেশন এবং ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে মেডসিস ম্যানেজমেন্ট। এ উপলক্ষে গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কে আবদুল্লাহ বেংকোয়েট হলে মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আরটিভির সিইও সৈয়দ আশিক রহমান, প্রিয়ন্তি ইউএসএ ইনকরপোরেশনের সিইও মনোয়ার হোসেন পাঠান এবং মেডসিজ ম্যানেজম্যান্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান।  অতিথিদের মধ্যে আলোকিত কোরাআন ইউএসএ সিজন-২-এর টাইটেল স্পন্সর গোল্ডেন এইজ হোম কেয়ার ও সাপ্তাহিক আজকাল'র সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ, ফাহাদ সোলায়মান, কমিউনিটি লিডার আহসান হাবিব, মিজবাহ আবদিন, মাওলানা আবদুল মুকিত, আলমগীর আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সামসুল আবদিন, রোহিন মিয়া, আবদুল্লা আল আহাদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক মনির হায়দার, বেলাল আহমেদসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।  নর্থ আমেরিকায় বসবাসরত মুসলিম কমিউনিটির যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবেন এই প্রতিযোগিতায়।  প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান জানিয়েছেন আয়োজকরা। রেজিস্ট্রেশন চলবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত।  রেজিস্ট্রেশন করার নিয়মাবলী:  •    প্রতিযোগিকে ২-৩ মিনিটের একটি তেলাওয়াতের  ভিডিও মোবাইলে রেকর্ড করতে হবে  •    ধারণকৃত ভিডিওটি প্রতিযোগির নাম, মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানাসহ পাঠিয়ে দিন উল্লেখিত যেকোনো একটি মাধ্যমে। Whatsapp +1(404) 916 5251, +880 1552 322 040, +880 1878184116 Rtvonline.com/alokitoquranusa [email protected] বিস্তারিত জানতে: Facebook.com/rtvrealityshowa Facebook.com/RtvAlokitoQuran আরটিভি/এআর
জাহান্নামের সামান্য শাস্তিও যতটা ভয়ংকর হবে
সবচেয়ে ভয়াবহ ৪ কবিরা গুনাহ 
জুমার দিন সবার আগে মসজিদে প্রবেশের ফজিলত
৭৪ দেশের হাফেজদের হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের আনাস
রাজধানীতে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন ২৯ নভেম্বর
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম চত্বরে ‘আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থা (ইক্বরা)’-এর উদ্যোগে ও পিএইচপি ফ্যামিলির পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন ‘২৩তম ইক্বরা আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন বাংলাদেশ-২০২৪’ । আগামী ২৯ নভেম্বর  শুক্রবার, সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন মিসরের শাইখ ক্বারী ইয়াসির শারক্বউঈ, ইরানের ক্বারী হামীদ রেজা আহমাদী ওয়াফা, পাকিস্তানের ক্বারী হাম্মাদ আনোয়ার নাফীসী, এবং মরক্কোর ক্বারী ইলিয়াস আল-মিহয়াউঈ।  সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান, একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী, সুফী মো. মিজানুর রহমান। আরও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রেরাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকবৃন্দ।  সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থা (ইক্বরা)’র সভাপতি শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আল-আযহারী।  ১৯৬৬ সাল থেকে শুরু হওয়া ঐতিহ্যবাহী এই সম্মেলনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ কুরআন তিলাওয়াতের প্রচলন উপমহাদেশে শুরু হয়েছিল ইমামুল কুররা মাওলানা ক্বারী মো. ইউসুফ (রহ.) সহ তৎকালীন বিশ্বের খ্যাতিমান ক্বারীদের হাত ধরে। ক্বারী মো. ইউসুফ (রহ.) আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থা (ইক্বরা)-এর প্রতিষ্ঠাতা, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধান ক্বারী।  এ বছর সম্মেলন আরম্ভ হবে সকাল ৮টায়। আসরের পূর্ব পর্যন্ত তিলাওয়াত করবেন আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থা (ইক্বরা) এর সদস্য এদেশের শীর্ষস্থানীয় ক্বারীগণ এবং মা'হাদুল ক্বিরাত বাংলাদেশের দেশি ও বিদেশি শিক্ষার্থীরা । আসরের পর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মেলনের মূল পর্ব আরম্ভ হবে। এবছর দেশের ১৪টি জেলায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আরটিভি/ডিসিএনই  
ফজরের জামাত চলাকালে সুন্নত পড়ার বিধান
ফজরের নামাজের সময় মসজিদে গিয়ে অনেক সময় দেখা যায়, জামাত শুরু হয়ে গেছে। অথবা মুয়াজ্জিন নামাজের ইকামত দিচ্ছেন। এমন অবস্থায় অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান, সুন্নত পড়া যাবে কি না। এ সময় দেখতে হবে যে, সুন্নত পড়ার পর ইমামকে কমপক্ষে দ্বিতীয় রাকাতে পাওয়া যায় কি না। যদি এমন সম্ভাবনা থাকে তাহলে সুন্নত পড়ে তারপর জামাতে শরিক হতে পারবেন। অথবা ইমামের সঙ্গে জামাতে শরিক হয়ে নামাজ শেষ করতে হবে। এরপর সূর্যোদয় হলে সুন্নত আদায় করা যাবে। আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি একদা লোকদের নিকট এমন সময় আসি যে, তারা কাতারবদ্ধ হয়ে ফজর নামাজ আদায় করছিলেন। আমি তখন ফজরের দু’রাকাত সুন্নত আদায় করি তার‍পর তাদের সঙ্গে নামাজে শরীক হই। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, হাদিস ৬৪৮২) নাফে (রহ.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ইবনে ওমর (রা.) একদা ফজর নামাজের জন্য পোশাক পরিধান করছিলেন। ইতোমধ্যে তিনি ইকামত শুনতে পেলেন, তিনি তখন কামরায় ফজরের দুই রাকাত সুন্নত আদায় করলেন তারপর বের হয়ে লোকদের সঙ্গে ফরজ আদায় করলেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস ৪০১৯) আবু উবায়দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, আবু দারদা (রা.) কখনো মসজিদে এসে দেখতেন, ফজরের জামাত চলছে। তিনি মসজিদের এক কোণায় (ফজরের) দুই রাকাত (সুন্নত) পড়ে নিতেন। তারপর জামাতে শরীক হতেন। (শরহু মাআনিল আসার : ১/৬২১) আবু উসমান নাহদী (রাহ.) বলেন আমরা ওমরের (রা.) নিকট ফজরের সুন্নত না পড়ে এসে যদি দেখতাম যে তিনি ফজরের জামাতে আছেন তাহলে আমরা মসজিদের শেষ দিকে এসে সুন্নত পড়ে নিতাম তারপর জামাতে শরীক হতাম। (শরহু মাআনীল আছার ১/২৫৬) আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, আবু মুসা আশআরী ও হুযায়ফা (রা.) একবার সাঈদ ইবনে আসের নিকট থেকে বের হলেন। ইতিমধ্যে ফজর নামাজের ইকামত হয়ে গেল। তখন ইবনে মাসউদ (রা.) দু’রাকাত সুন্নত পড়ে লোকদের সঙ্গে নামাজে শরীক হলেন, আর আবু মুসা আশআরী ও হুযায়ফা (রা.) কাতারে প্রবেশ করলেন। (শরহু মাআনীল আসার, ১/২৫৫) আবু মিজলায (রাহ.) বলেন, আমি ফজর নামাজে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) ও আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সঙ্গে মসজিদে এমন সময় প্রবেশ করলাম যে ইমাম নামাজ পড়াচ্ছিলেন, তখন ইবনে আব্বাস (রা.) দু’রাকাত সুন্নত পড়ে ইমামের সঙ্গে শরীক হলেন। আর ইবনে ওমর (রা.) ইমামের সঙ্গে নামাজে শরীক হয়ে গেলেন। ইমাম সালাম ফেরানোর পর তিনি সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে থাকলেন তারপর উঠে দুরাকাত নামাজ আদায় করলেন। (প্রাগুক্ত : ১/২৫৫) আরটিভি/এফএ
১ হাজার মুসল্লিকে ফ্রি ওমরাহ করাবে সৌদি
এক মাসে এক হাজার মুসল্লিকে ফ্রি ওমরাহ করাবে সৌদি সরকার। তবে এই মুসল্লিদের তালিকাভুক্ত ৬৬টি দেশের নাগরিক হতে হবে। সুযোগ পাওয়া মুসল্লিদের ওমরাহর সম্পূর্ণ ব্যয় সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সৌদির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এ-সংক্রান্ত একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন। দেশটির হজ এবং ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, মক্কার কাবা শরিফ, মদিনার মসজিদে নববি এবং সৌদি সরকারের অতিথি হিসেবে তারা ২০২৪ সাল শেষ হওয়ার আগেই ওমরাহ পালন করতে পারবেন। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মনোনীত সব ওমরাহ যাত্রীকে ইতোমধ্যে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে তাদের আহ্বান করা হবে। সৌদির ইসলামিক অ্যাফেয়ার্সবিষয়ক মন্ত্রী এবং সরকারি এই কর্মসূচির সুপারভাইজার শেখ আবদুল লতিফ আল শেখ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ইসলামিক স্কলার, শেখ এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্ব ও সম্পর্ক স্থাপনই এ উদ্যোগ বা কর্মসূচির মূল লক্ষ্য। বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মুসল্লিকে অতিথি হিসেবে ওমরাহ করিয়ে আসছে সৌদি।  সূত্র: গালফ নিউজ আরটিভি/এএইচ-টি
কৃপণতা ও ভয় থেকে বাঁচার দোয়া
কৃপণতা কোনো ভালো স্বভাব নয়। কেননা, হাদিসে কৃপণকে আল্লাহর শত্রু এবং দানকারীকে আল্লাহর বন্ধু বলা হয়েছে। আর ভয় মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। কৃপণতা ও ভয় থেকে বাঁচতে দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে হয়। একদা রাসুল (সা.) ভাষণে বলেন, তোমরা কৃপণতার ব্যাপারে সাবধান হও। কেননা তোমাদের পূর্ববর্তীরা কৃপণতার কারণে ধ্বংস হয়েছে। অর্থলোভ তাদের কৃপণতার নির্দেশ দিয়েছে, ফলে তারা কৃপণতা করেছে, তাদের আত্মীয়তা ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে, তখন তারা তা-ই করেছে। তাদের পাপাচারে প্ররোচিত করেছে, তখন তারা তাতে লিপ্ত হয়েছে। কৃপণতা ও ভয় থেকে বাঁচার দোয়া উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আঝযি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল ঝুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া আউজুবিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি ওয়া কাহরির রিঝালি। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে আশ্রয় চাই, অপারগতা ও অলসতা থেকে আশ্রয় চাই, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে আশ্রয় চাই এবং ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত) উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়াল আঝযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল ঝুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া দালায়িদ দাইনি ওয়া গলাবাতির রিজাল। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাইছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।’ (বুখারি) আরটিভি/এফএ
ভয়াবহ ৪ কবিরা গুনাহ
ইসলামে অসংখ্য কবিরা গুনাহের ব্যাপারে বলা হয়েছে। এর মধ্যে ভয়াবহ হলো চারটি গুনাহ। ত হলো- আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা; কোনো ব্যক্তিকে (অন্যায়ভাবে) হত্যা করা; পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া এবং মিথ্যা বলা অথবা মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। (সহিহ বোখারি: ৬৮৭১) হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, কবিরা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ গুনাহ চারটি। সেগুলো হলো- ১. আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা; ২. কোনো ব্যক্তিকে (অন্যায়ভাবে) হত্যা করা; ৩. পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া; ৪. মিথ্যা বলা অথবা তিনি বলেছেন মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। (সহিহ বোখারি: ৬৮৭১)  ভয়াবহ ৪ কবিরা গুনাহ আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণ্য ও জঘন্যতম পাপ হলো শিরক করা। কোরআনে শিরকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জুলুম বলা হয়েছে এবং বিভিন্ন আয়াতে বারবার শিরক থেকে বেঁচে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করলেও শিরক ক্ষমা করবেন না।  এ প্রসঙ্গে কোরআনে বলা হয়েছে, নিশ্চয় আল্লাহ তার সঙ্গে শরিক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। যে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করে সে এক মহাপাপ করে। (সুরা নিসা : ৪৮) কোরআনে আরও বলা হয়েছে, আর যে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। (সুরা মায়েদা: ৭২) অন্যায়ভাবে মানুষকে হত্যা করা ইসলামে মানুষ হত্যা দণ্ডণীয় অপরাধ। দুনিয়াতে ও আখেরাতেও এর শাস্তি ভোগ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, যে ব্যক্তি মানুষ হত্যা কিংবা জমিনে সন্ত্রাস সৃষ্টির কারণ ছাড়া কাউকে হত্যা করলো সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করল। আর যে একজন মানুষের প্রাণ বাঁচালো, সে যেন সব মানুষকে বাঁচালো। (সুরা মায়েদা: ৩২) আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, যে ব্যক্তি কোন মুমিনকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম; যাতে সে স্থায়ীভাবে থাকবে, তার ওপর আল্লাহর ক্রোধ ও অভিশাপ এবং আল্লাহ তার জন্য ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। (সুরা নিসা: ৯৩)  আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মুসলিমকে গালি দেয়া গুনাহের কাজ এবং তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা কুফুরি। (সহিহ মুসলিম:  ১২৪) বাবা-মাকে কষ্ট দেওয়া আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং বাবা-মায়ের সঙ্গে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সঙ্গে সম্মানজনক কথা বল। তাদের জন্য দয়াপরবশ হয়ে বিনয়ের ডানা নত করে দাও এবং বল, ‘হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন’। (সুরা ইসরা: ২৩, ২৪) আয়াতটিতে বাবা-মায়ের আচরণে বিরক্ত হয়ে ‘উফ’ শব্দটি বলতেও নিষেধ করা হয়েছে। কেননা তারা কষ্ট পান এমন ছোট বড় যেকোনো কথা, কাজ বা আচরণ করা নিষিদ্ধ।  মিথ্যা বলা বা মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ,তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাক। (সুরা তাওবা: ১১৯)  আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি; কথা বললে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে তা খেলাপ করে এবং আমানত রাখা হলে তাতে খেয়ানত করে। (সহিহ বুখারি: ৩৩) আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি মানুষকে হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে, তার জন্য ধ্বংস অনিবার্য, ধ্বংস অনিবার্য, ধ্বংস অনিবার্য। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৯০) আরটিভি/এফএ
প্রতারণা নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার পরিচয়ে হাজিদের হজের টাকা ফেরতের নামে একাধিক প্রতারক চক্র মাঠে সক্রিয় থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়। শনিবার (১৬ নভেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র হজের রিফান্ডের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে হাজি, হজ এজেন্সির মালিক বা প্রতিনিধি ও হজ গাইডদেরকে ফোন করে তাদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ কিংবা নগদ ইত্যাদির তথ্য চাচ্ছে। এভাবে দুয়েকটা প্রতারণার ঘটনাও ঘটেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হাজি, হজ এজেন্সি ও হজ গাইডদের রিফান্ডের টাকা সরাসরি ব্যাংক হিসাবে বিইএফটিএন বা চেকের মাধ্যমে পাঠানো হয়। এ জন্য কোনো ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ কিংবা নগদের তথ্য চাওয়া হয় না। প্রতারক চক্র ফোন করে টাকা ফেরতের কথা বলে এরূপ কোনো তথ্য চাইলে, না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের ফোন আসলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এর আগে, ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। অরটিভি/এসএপি-টি
রাসূল (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতে নতুন নির্দেশনা
মহানবি মুহাম্মদ (সা.)-এর সমাধি পবিত্র রওজা শরিফ জিয়ারতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি আরব। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে এখন থেকে মহানবি মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। সেই সঙ্গে বছরে একবারের বেশি রওজা শরিফ পরিদর্শন করা যাবে না। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এক্স পোস্টে এ তথ্য জানায়। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় বলা হয়, রওজা শরিফে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও অনিয়ম কমানোর লক্ষ্যে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া রওজা শরিফে প্রবেশ করা যাবে না। আগের মতো অনুমতি ছাড়া প্রবেশের বিষয়টি আর বৈধ থাকবে না। এ ছাড়া জিয়ারতের সময় এক ঘণ্টায় সীমিত রাখা হবে। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো অপেক্ষার সময় কমানো এবং ভিড় এড়িয়ে জিয়ারতকারীদের জন্য একটি সহজ ও সুশৃঙ্খল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা। নতুন নির্দেশনার আওতায় রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য বছরে একবারের বেশি সুযোগ পাবেন না মুসল্লিরা। এই নিয়মটির মাধ্যমে বৃহত্তর সংখ্যক মুসলিমকে রওজা শরিফ জিয়ারতের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রায় ১ কোটি মুসলিম রওজা শরিফ জিয়ারত করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মতে, বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও ভ্রমণ সহজলভ্য হওয়ায় রওজা শরিফ জিয়ারতকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের জন্য রওজা শরিফ জিয়ারত একটি পবিত্র আকাঙ্ক্ষা। তবে অতিরিক্ত ভিড় এবং প্রশাসনিক জটিলতা মোকাবিলা করতে গিয়ে সৌদি সরকার বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনা সেই সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।   হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলছে, আমরা চাই প্রত্যেক মুসলিম যেন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে রওজা শরিফ জিয়ারত করতে পারেন। এই নিয়ম শুধু ভিড় কমানো নয়, বরং জিয়ারতের অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করার জন্য।   সৌদি সরকারের এই নতুন নির্দেশনা মুসলিম বিশ্বের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অনেকে এ নিয়মকে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে কেন বছরে একবারের বেশি জিয়ারতের সুযোগ সীমিত করা হলো। বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের জন্য রওজা শরিফ জিয়ারত এক অনন্য অনুভূতির জায়গা। এই নতুন নিয়ম নিয়ে যেকোনো সমন্বয় ও পরিবর্তন যেন তাদের জন্য সহজ এবং গ্রহণযোগ্য হয়, সেদিকে সৌদি সরকারের নজর থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সৌদি সরকারের হিসাবে চলতি বছর এক কোটির বেশি মুসলিম রওজা জিয়ারত করেছেন, যা গত বছরের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি। আরটিভি/এফআই