ঢাকামঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

‘জুলাই যোদ্ধার’ অনুদান পেলেন যুবলীগ নেতা

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ , ০৩:২৯ এএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সময় আহত হওয়া যুবলীগ নেতা মিনারুল ইসলাম ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে এক লাখ টাকার অনুদান পেয়েছেন- এমন অভিযোগে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গত ১৪ মে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আহত জুলাই যোদ্ধা হিসেবে ‘সি ক্যাটাগরিতে’ এক লাখ টাকার চেক গ্রহণ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ওই যুবলীগ নেতাকে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে এক লাখ টাকা অনুদান প্রদানের ঘটনা‌ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

রোববার (১৮ মে) রাতে খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মণ্ডলকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

কমিটির সদস্যরা হলেন- পুলিশ সুপার‌ ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, ইউএনও (তেরখাদা), ২ জন ছাত্র প্রতিনিধি।‌ কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন সহকারী কমিশনার (সাধারণ শাখা)।

কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, যুবলীগ নেতা মিনারুল ইসলাম খুলনার তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে খুলনার আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় ছাত্রদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় কার্যালয় থেকে পালাতে গিয়ে আহত হন তিনি।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, আহত জুলাই যোদ্ধা সি ক্যাটাগরিতে খুলনায় ৬৩ জনের নামে চেক এসেছে। তাদের মধ্যে ৫০ জন এক লাখ টাকার চেক নিয়েছেন। গত ১৪ মে খুলনার জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের হাত থেকে চেক গ্রহণ করেন মিনারুল।

বিজ্ঞাপন

এদিকে তার চেক প্রাপ্তির ছবি ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

1

তেরখাদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এফ এম মফিজুর রহমান বলেন, তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মিনারুল ইসলাম। ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিলে তাকে বহিষ্কার করা হয়। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি মধুপুরের বাড়িতেই ছিলেন। ৪ আগস্ট খুলনায় দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশে যোগ দিতে যান। সেখানে পালাতে গিয়ে টিনের চালে ঝাপ দিলে তিনি পায়ে আঘাত পেয়েছেন বলে জানতে পারি।

খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকেদের বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী চেক বিতরণ করা হয়েছে। আলোচিত মিনারুল ইসলামের নামটিও মন্ত্রণালয় থেকে সুপারিশ করা। তারপরও ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরটিভি/একে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |