• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo
নিখোঁজের ৬ ঘণ্টা পর কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
মাদারীপুরে সাপের কামড়ে অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় সাপের কামড়ে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ওই গৃহবধূর নাম তানিয়া (২৫)।   রোববার (২৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের উত্তরবাঁশকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আজিজুল হক খান। নিহত তানিয়া একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী দিলু মল্লিকের স্ত্রী। তিনি এক সন্তানের জননী ও আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে তানিয়া তাদের বসতঘরের দরজা খুলে বাইরে বের হতে যান। দরজার সামনে পা ফেলতেই একটি সাপ তার পায়ে কামড় দেয়। তানিয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন দ্রুত এগিয়ে আসেন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় দাদন হাওলাদার নামে এক কবিরাজের কাছে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আজিজুল হক খান বলেন, ‘স্থানীয় ফকির বা কবিরাজের কাছে না নিয়ে প্রথমেই হাসপাতালে আনা হলে ওই গৃহবধূকে বাঁচানো সম্ভব হতো। হাসপাতালে আনার আগেই তানিয়ার মৃত্যু হয়।’  এ বিষয়ে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার বলেন, ‘সাপের কামড়ে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।’
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী / এখন মুক্তিযোদ্ধাদের আর নিজেদের কোনো কোটার প্রয়োজন নেই
দেশের প্রথম আইন বিশ্ববিদ্যালয় হবে শিবচরে: আইনমন্ত্রী
মুরগি ব্যবসায়ীর হাত ধরে পালালেন গরু ব্যবসায়ীর স্ত্রী
রাসেলস ভাইপার সন্দেহে ১২ বাচ্চাসহ সাপ পিটিয়ে হত্যা
‘নিজে বাঁচলেও মা-বোনকে বাঁচাতে পারলাম না, মইরা যাওয়া ভালো ছিল’
বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ৯ বরযাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে তিন জনই একই পরিবারের এবং অন্য ছয় জন তাদের নিকটাত্মীয়। তাদের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামে। শনিবার (২২ জুন) দুপুরে বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া হাট ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস ও অটো খালে ডুবে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন মাদারীপুরের শিবচরের সাবেক সেনাসদস্য মাহাবুবুর রহমান সবুজও। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন মাহাবুবের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি (৩০), মাহাবুবের মা ফরিদা বেগম (৪০), মামি মুন্নি বেগম (৪০), তার সন্তান তাহিয়া (৭), তাসদিয়া (১১), আরেক মামি ফাতেমা বেগম (৪০), রুমি বেগম (৪০)। এ ছাড়া আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং মেয়ে রিদি (৫)। এ ঘটনায় চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন- মাহবুব খান, সোহেল খান, সুমা আক্তার ও দীশা আক্তার।  জীবিত উদ্ধার হওয়া মাহবুব খান বলেন, ‘নিজে বাঁচলেও মা ও বোনকে বাঁচাতে পারলাম না। সব কপালের দোষ। তা নাহলে সবাই কেনো একই গাড়িতে থাকব। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এই বিজ্রের ওপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে ওঠা ঠিক হয়নি।’  তিনি আরও বলেন, ‘সব শ্যাষ অইয়া গ্যাছে। এর চাইতে আমারও মইর‌্যা যাওয়া ভালো ছিল।’ জানা গেছে, গত বুধবার (১৯ জুন) সকালে শিবচর থেকে মাহাবুব এবং তার পরিবারের সদস্যরা খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শুক্রবার বরপক্ষ এসে বিয়ে করে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরে তারা মাইক্রোবাসযোগে বউভাতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাহাবুব ও তার পরিবারের সদস্যদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি হলদিয়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ লোহার ব্রিজ পার হওয়ার সময় ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। এতে ওই ৯ জন নিহত হন। এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা।’
নিহত ৯ বরযাত্রীর মধ্যে ৩ জন এক পরিবারের, ৬ জন নিকটাত্মীয়
বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ৯ বরযাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে তিন জনই একই পরিবারের এবং অন্য ছয় জন তাদের নিকটাত্মীয়। তাদের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামে। শনিবার (২২ জুন) দুপুরে বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া হাট ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস ও অটো খালে ডুবে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন মাদারীপুরের শিবচরের সাবেক সেনাসদস্য মাহাবুবুর রহমান সবুজও।  এ ঘটনায় নিহতরা হলেন মাহাবুবের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি (৩০), মাহাবুবের মা ফরিদা বেগম (৪০), মামি মুন্নি বেগম (৪০), তার সন্তান তাহিয়া (৭), তাসদিয়া (১১), আরেক মামি ফাতেমা বেগম (৪০), রুমি বেগম (৪০)। এ ছাড়া আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং মেয়ে রিদি (৫)।  দূর্ঘটনার পর মাদারীপুরের শিবচরে মাহাবুবুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দুর্ঘটনার খবর শিবচরের ভদ্রাসন গ্রামে পৌঁছানোর পর থেকে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে এলাকা। স্বজন ও প্রতিবেশীরা ভিড় করছেন সবুজের বাড়িতে। পরিবারের কেউ বাড়িতে নেই। সবাই ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। এখন বাড়িতে কেউ নেই। জানা গেছে, গত বুধবার (১৯ জুন) সকালে শিবচর থেকে মাহাবুব এবং তার পরিবারের সদস্যরা খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শুক্রবার বরপক্ষ এসে বিয়ে করে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরে তাঁরা মাইক্রোবাসযোগে বউভাতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাহাবুব ও তার পরিবারের সদস্যদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি হলদিয়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ লোহার ব্রিজ পার হওয়ার সময় ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। এত ওই ৯ জন নিহত হন। আরাফ আলী নামের নিহতদের এক আত্মীয় বলেন, ‘বুধবার বিয়ের অনুষ্ঠানে তারা বরগুনা গেছিল। আজ দুপুরে ব্রিজ ভেঙে সেখানে খালে পড়ে যায় তাদের মাইক্রোবাসটি। মাহাবুবের মা, ভাইয়ের স্ত্রী ও মামার পরিবারের মোট ৭ সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে।’  ভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ব্যাপারী বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েই বাড়িতে এসেছি। আসলে এত বড় দুর্ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। এখন তাদের মরদেহ বাড়িতে আনার প্রস্তুতি চলছে বলে খবর পেয়েছি।’  শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা।’
শিবচরে সাপ আতঙ্ক, রাসেলস ভাইপার পিটিয়ে মারল এলাকাবাসী
সারাদেশে রাসেলস ভাইপার সাপ আতঙ্কে রয়েছে মানুষ। এরই মাঝে রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতি বেড়েছে মাদারীপুরের শিবচরে।   শনিবার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের হাজী কাইমুদ্দিন শিকদারের কান্দী গ্রামের ফজলু মালের ধানখেত থেকে একটি রাসেলস ভাইপার সাপ মানুষ চলাচলের আইল পথে বেরিয়ে আসে।  স্থানীয়রা জানান, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে ফসলের মাঠে কাজ করার সময় সাপটি দেখতে পান ফজলু মাল। পরে গ্রামবাসীকে খবর দিলে সাপটিকে পিটিয়ে হত্যা করেন তারা। সাপটি মেরে ফেললেও আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।  এ বিষয়ে কৃষক ফজলু মাল বলেন, ‘মানুষের উপস্থিতি টের পেলে যেকোনো সাপ সরে যায়। আর আজ দেখলাম এ সাপ আক্রমণ করতে আসে। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সাপটিকে মেরে ফেলেছি। রিপন শিকদার নামের একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের গ্রামে এর আগেও এরকম সাপ অনেকেই দেখেছেন। পাহাড়ি সাপ ভেবে বিষয়টি নিয়ে তেমন ভয় পাননি কেউ। তবে আজকে সাপটি মারার পরে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছি এটি রাসেলস ভাইপার সাপ। মেরে ফেলা সাপটি বাচ্চা বয়সের। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এখানে আরও অনেক রাসেলস ভাইপার সাপ থাকতে পারে। এখন সাপ আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসী।’
শিবচরে আদালতের নির্দেশে পলাতক আসামির মালামাল ক্রোক
মাদারীপুরের শিবচরে আদালতের নির্দেশে পলাতক আসামির বসতঘরের মালামাল ক্রোক করেছে পুলিশ।   বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের কাদির মুন্সীর চরকান্দি গ্রামের পলাতক আসামি মিলন বিবির (৪২) বসতবাড়ি থেকে মালামাল ক্রোক করা হয়।  আসামি মিলন বিবি ওই গ্রামের প্রবাসী শাজাহান শনির স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় করা চেক ডিজঅনারের এক মামলায় আসামি মিলন বিবি দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক রয়েছেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় ফরিদপুরে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাসিম মাহমুদ আসামির মালামাল ক্রোকের আদেশ প্রদান করে। আদালতের আদেশ পেয়ে আজ বিকেলে শিবচর থানার এসআই আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আসামির ঘরের মালামাল জব্দ তালিকা মূল্যে ক্রোক করে। ক্রোককৃত মালামালগুলো হলো- একটি পুরাতন স্টিলের আলমারি, একটি পারটেক্সের পুরাতন ড্রেসিং টেবিল,  একটি প্লাস্টিকের পুরাতন ডাইনিং টেবিল, একটি গ্যাসের চুলা, একটি প্লাস্টিকের পুরাতন স্ট্যান্ড ফ্যান, একটি পুরাতন রাইস কুকার, মাঝারি সাইজের পুরাতন পাতিল, একটি পুরাতন খালি গ্যাস সিলিন্ডার। প্রতিবেশীর মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে আসামি মিলন বিবি বলেন, আমি জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনসহ বেশ কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ এনেছিলাম। কোন এনজিও মামলা করেছে আমি কিছুই জানি না। শিবচর থানার এসআই আলমীর হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে আসামির মালামাল ক্রোক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষা সফরে স্কুলছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষকের মদ্যপান
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফেসবুক ও টিকটকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা একত্রে মদ্যপান করছেন। বিদেশি মদের বোতল থেকে শিক্ষককে মদ ঢেলে দিচ্ছেন শিক্ষার্থী। শিক্ষক ও  শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে মদ্যপান করে আনন্দ উল্লাস করছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা সফরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শিক্ষা সফরে যান বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৪১ জন শিক্ষার্থী, তাদের সঙ্গে কোন অভিভাবক ছিল না। শিক্ষা সফর থেকে এলাকায় ফেরার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মদ্যপানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওয়ালিদ মদের বোতল হাতে নিয়ে মদ ঢালছেন এবং শিক্ষার্থীদের হাতে মদের বোতল দিচ্ছেন। এমন ভিডিও দেখে অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমি ঢাকা থেকে শিক্ষা সফরে যোগ দিয়েছি। এর আগে বাসের মধ্যে কী হয়েছে তা আমি জানি না। আমি বাসে ওঠার পর এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মাকসুদুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে ব্যবস্থা নেবো। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য। এটা নিয়ে তদন্ত কমিটি করে দেবো। যদি শিক্ষকরা এর সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রেমের টানে মাদারীপুরে ইন্দোনেশীয় তরুণী, জাঁকজমক বিয়ে
সিঙ্গাপুরে কাজের সুবাদে পরিচয় হয় বাংলাদেশি তরুণ শামীম মাদবর (৩০) ও ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহার (৩০)। সেখানে থাকা অবস্থাতেই  প্রথমে টিকটকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শামীমের। প্রেমের দুই বছর পর ইন্দোনেশীয় তরুণী শামীমকে বিয়ে করতে চলে আসে তার বাংলাদেশের গ্রামের বাড়িতে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কেশবপুর গ্রামে তাদের বিয়ে হয়। জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি সিঙ্গাপুর থেকে বাড়ি আসেন শামীম মাদবর। বাড়িতে এসেই তিনি ইফহার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা পরিবারকে বলেন। পরে তার পরিবার মত দিলে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশীয় তরুণী। শামীমের পরিবার তাকে সানন্দে গ্রহণ করেন। শুক্রবার জাঁকজমকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। বিদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মেয়েকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করছে। শামীমের আত্মীয়রা জানান, ইফহার সঙ্গে আমরা ফোনে বিভিন্ন সময় কথা বলেছি। মেয়ে খুবই ভালো। বাড়িতে ছেলের পরিবার প্রথমে বিয়েতে মত না দিলেও পরে সবাই রাজি হয়। মেয়ের পরিবারের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। তারাও রাজি। শামীম বলেন, ইফহা ইন্দোনেশীয় হলেও সিঙ্গাপুর থাকে। ওখানে থাকা অবস্থাতে প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। আমাদের কারও পরিবারই রাজি ছিল না। আমরা পরস্পরের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হয়। ইফহা বলেন, আমি খুবই খুশি শামীমকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ। আমরা সিঙ্গাপুর যাবো। ওখান থেকে ইন্দোনেশিয়া বেড়াতে যাবো বাবা-মায়ের কাছে।