• ঢাকা সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১
logo
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মাজারে গিয়ে দুধ দিয়ে যুবকের গোসল
রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন গ্রেপ্তার
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার নজরপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় জোড়া খুনের অভিযোগে হারুন-অর-রশিদ (৫৮) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।  হারুন রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ জানান, রায়পুরা উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে ইউপি সদস্য মানিক মিয়া ও তার ভাগনি কল্পনা বেগমকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় গত ১১ ডিসেম্বর নিহতদের পরিবার উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেম্বার বাছেদ মিয়া এবং রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন অর রশিদকে প্রধান আসামি করে ৫৪ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে রায়পুরা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। আসামিদের গ্রেপ্তার ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নানের দিকনির্দেশনায় থানার উপপরিদর্শক শফিউল্লাহ সিকদারের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রায়পরার আশারামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। শফিউল্লাহ সিকদার বলেন, রোববার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রায়পুরার আশারামপুর এলাকা থেকে দুটি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হারুন-অর-রশিদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তিনি আরও জানান, বাকি আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর শনিবার ভোরে রায়পুরা উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামে পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ বাছেদ মেম্বার গংদের হামলায় চান্দেরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য মানিক মিয়া (৫৫) এবং একই গ্রামের আবু ছালেকের স্ত্রী কল্পনা বেগম (২৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল আবিদ হাসান রুবেল ও রায়পুরা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হারুন-অর-রশিদের মধ্যে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার হারুন-অর-রশিদ ও তার সমর্থকরা আবিদ হাসান রুবেলের বাড়ি ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর সহ লুটপাট করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। পূর্ববিরোধের জের ধরে শনিবার সকালে হারুন-অর-রশিদের সমর্থকরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আবিদ হাসান রুবেল সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলা থেকে বাঁচতে রুবেলের চাচা মানিক মেম্বার পার্শ্ববর্তী বশির উদ্দিন মেম্বারের বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেই হারুনের সমর্থকরা তাকে ঘর থেকে টেনে বাইরে এনে গুলি ও কুপিয়ে দেহ থেকে তার পা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তাদের এলোপাথাড়ি গুলি ও কোপে কল্পনা বেগম (২৫) নামেও আরেক গৃহবধূ প্রাণ হারান। এ ঘটনায় আহত হন কমপক্ষে ১০ জন। আরটিভি/এএএ  
লেখাপড়া না করে দেশ চালাতে গেলে আ.লীগের মতো ভুল করবে: মঈন খান
ছাত্রদল কর্মী হুমায়ুন হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, এসআই আহত
আসামি ছিনিয়ে নিতে থানায় হামলা ও ভাঙচুর
নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় উপসহকারী প্রকৌশলী নিহত
নরসিংদীর বেলাবোতে সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী ফয়সাল মোল্লা সুজন নিহত হয়েছেন। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার চান্দুরমোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেলাবো থানার ওসি মীর মাহবুবুর রহমান। উপসহকারী প্রকৌশলী ফয়সাল মোল্লা সুজন পাশের শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামের ফারুক মোল্লার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ঘটনার বিবরণীতে জানাজায় অন্যদিনের মতো তিনি উপজেলার বটেশ্বর এলাকায় সাইট দেখে মোটরসাইকেল যোগে ফেরার পথে চান্দুরমোড় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা লরি (ইছার মাথা) মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। এ বিষয়ে বেলাবো থানার ওসি মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা হাসপাতলে এসেছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আরটিভি/এমকে-টি
সংঘর্ষে আহত শ্রমিক দল নেতার মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ
নরসিংদীর পাঁচদোনায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হওয়ার ৭ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা আলম মিয়ার (৫৫) মৃত্যু হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম। এদিকে তার এ মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে নিহতের সমর্থক, এলাকাবাসী ও শ্রমিকদলের নেতাকর্মীরা। আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় বিক্ষুব্ধরা ঢাকা-সিলেট-মহাসড়কের পাঁচদোনা মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে হত্যার বিচারের দাবিতে স্লোগান দেয়।  এ ছাড়াও পাঁচদোনার সাকুরিয়া মোড়ে কয়েকটি দোকানে আগুন দিয়েছে বলেও খবর পাওয়া যায়। এ সময় মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশ, স্থানীয় বিএনপি নেতা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেওয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। নিহত আলম মিয়া নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের আলিমদ্দিনের ছেলে ও ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক।  এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে নরসিংদীর পাচঁদোনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি লাল মিয়া মেম্বার ও যুবদল নেতা মোসাদ্দেক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মোসাদ্দেক ও তার লোকজন লাল মিয়া মেম্বারের লোকজনের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়। দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত পাঁচদোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আলম মিয়াকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে ৭দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তার মৃত্যু হয়। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ১ ঘণ্টারও বেশি সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওসি আরও বলেন, এর আগে মারামারির ঘটনায় গত ১৯ ডিসেম্বর লাল মিয়া মেম্বারের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া বাদী হয়ে মোসাদ্দেককে ১ নম্বর আসামি করে আরও ১৯ জনের নামে মামলা করেছেন। মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে বলেও তিনি জানান। আরটিভি/এএএ/এস
নরসিংদীতে ছাত্রদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা 
নরসিংদীতে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় ছাত্রদলের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত হুমায়ূন কবির পাঁচদোনা গ্রামের একরামুল হকের ছেলে এবং মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, হুমায়ূন তার নিজ এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলছিল। এ সময় শাহ আলম ও টিটু নামে দুইজন তাকে মসজিদের পাশে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় ওই দুই যুবক। পরে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  এ বিষয়ে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ব্যাডমিন্টন খেলার এক পর্যায়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হুমায়ূনকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।  আরটিভি/আইএম
ছেলের দায়ের কোপে মা নিহত
নরসিংদীর বেলাবো উপজেলায় ছেলের দায়ের আঘাতে সাফিয়া বেগম (৭০) নামে এক মায়ের মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলাবো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের বটেশ্বর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাফিয়া বেগম উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের বটেশ্বর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে তৌহিদ হোসেন বাদী হয়ে তার ভাই তোফাজ্জল হোসেন সুজন, ভাইয়ের স্ত্রী রেখা আক্তার এবং ভাতিজা আসিফ মিয়াকে আসামি করে বেলাবো থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সুফিয়া খাতুন বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার করার সময় সুজন তার মাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এ সময় তার মা সুফিয়া খাতুন প্রতিবাদ করলে সুজন তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। তখন ধারালো দায়ের আঘাতে মাথা ফেটে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুফিয়া খাতুন। এ সময় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে বেলাবো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (বেলাবো-রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল আলম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ছোট ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে মারামারির মামলা হলেও, ওই নারী মারা যাওয়ার পর হত্যা মামলার ধারা সংযুক্ত করা হয়। ইতিমধ্যে আসামি তোফাজ্জল হোসেন সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরটিভি/এসএপি-টি
নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় রেস্তোরাঁ ম্যানেজার নিহত
নরসিংদীর বেলাবোতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক রেস্তোরাঁ ম্যানেজার নিহত হয়েছেন। তার নাম আব্দুল হালিম (৪২)। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বীর বাঘবের এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল হালিম বেলাবো উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের রায়েরগাঁও গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি আহনাফ ক্যাফের ম্যানেজার ছিলেন। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে মোটরসাইকেল দিয়ে আব্দুল হালিম তার কর্মস্থল বেলাবো বাজারের আহনাফ ক্যাফেতে যাচ্ছিলেন। হালিমের মোটরসাইকেল বীর বাঘবের ঈদগাহ মাঠের কাছে আসতেই বিপরীত দিক থেকে আসা টমটম ধাক্কা তাকে দেয়। এতে হালিম ছিটকে সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় আশেপাশের লোকজন বেলাবো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বেলাবো উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ তানজিনা আফরিন বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই হালিমের মৃত্যু হয়।’ আরটিভি/এমকে/এআর
নরসিংদীতে বিএনপির দুপক্ষের গোলাগুলি, আহত ৩
নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। একজন গুলিবিদ্ধসহ ৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা এলাকায় বিএনপি নেতা মো. লাল মিয়া মেম্বার ও মোসাদ্দেক হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা লাঠিসোটা ও দেশী-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান।  বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর মাধবদী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম। এ সময় দুর্বৃত্তরা টায়ারে আগুন দিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে প্রায় আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। মোসাদ্দেক পাঁচদোনা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি লালমিয়া মেম্বার এবং নরসিংদী সদর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান যুবদল নেতা। আহতরা হলেন, গুলিবিদ্ধ পাঁচদোনা এলাকার শাহীন মিয়ার ছেলে মো. রনি (৩২), একই এলাকার আজিমউদ্দিন মিয়ার ছেলে আলম মিয়া (৫৫) এবং মিজান মিয়ার ছেলে শুভ (১৯)। তারা মোসাদ্দেকের পক্ষের বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে মাধবদী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পাঁচদোনার বিএনপি নেতা মো. লাল মিয়া মেম্বার ও মোসাদ্দেক হোসেনের সমর্থকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। রাতে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে।’ ওসি নজরুল বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’ আরটিভি/এমকে