• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
সোনাহাট স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি 
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শোভনের নামে চুরি ও ভাঙচুরের মামলা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মিছিলে হামলা, মোবাইলফোন চুরি ও ভাঙচুরের অভিযোগে সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, তার পিতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান সিরাজসহ আওয়ামী লীগের ৫২ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২২০ জনকে। এ মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ অক্টোবর) কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলাটি করেছেন ৪ আগস্ট সরকার পতনের মিছিলে হামলায় আহত ছাত্র রিয়াদের পিতা আব্দুল কুদ্দুস।  তিনি উত্তর তিলাই গ্রামের বাসিন্দা এবং জামায়াতে ইসলামীর একজন সক্রিয় সদস্য। মামলায় সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, তার পিতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান সিরাজ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাকিনুল হক চৌধুরী ছোটনসহ উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান আসাদ, মাইনুল ইসলাম লিটন, জাতীয় পার্টি সমর্থিত সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান রোজেন ও আসামির তালিকায় রয়েছে। এ মামলায় ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ আলী মুকুল (৫৫), আব্দুর রহিম (৬০), ছাত্রলীগের আশরাফুল (৩০) ও শাহীন আলমকে (২৭) গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।  মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিবাদীরা গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে আসার সময় দু’দফা হামলা চালিয়ে বাদীর ছেলে রিয়াদসহ কয়েকজন ছাত্রকে আহত করে এবং ৫টি মোবাইল ফোন চুরি ও মিছিলে ব্যবহৃত মাইক ভাঙচুর করে। এ ব্যাপারে মামলার বাদী আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে কয়েক-দফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি। জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির আনোয়ার হোসেন জানান, তার ছেলে আহত হবার কারণে অভিভাবক হিসাবে তিনি মামলা করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের আলোকে দলীয় ভূমিকা নির্ধারণ করা হবে।  ওসির দায়িত্বপ্রাপ্ত এস আই আশরাফুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।  আরটিভি/এএএ/এআর
মহানবি (সা.)-কে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি, কুড়িগ্রামে যুবক গ্রেপ্তার
সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
সোনাহাট সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক
কুড়িগ্রামে নেশার টাকা না পেয়ে যুবকের আত্মহত্যা 
নদের ভাঙনে কবর বিলীন, দাফনের ৮ বছর পর মিলল অক্ষত মরদেহ
কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের ভাঙনে দাফনের ৮ বছর পর এক ব্যক্তির কাফনের কাপড়সহ অক্ষত মরদেহ বের হয়েছে। বুধবার (২৬ জুন) ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, মৃত ব‍্যক্তির নাম মহেজ আলী। তিনি সোনাহাট ইউনিয়নের চর বলদিয়া গ্রামের কালিরহাট পাঁচ মাথা এলাকার মৃত জপির মন্ডলের ছেলে এবং সোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আকবর আলীর বাবা। এ বিষয়ে ইউপি সদস‍্য আকবর আলী বলেন, আমার বাবা ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান। আমাদের বাড়ির পাশেই বাবাকে দাফন করা হয়। চলতি বছরের জুলাইয়ে আমাদের বসতভিটা নদীতে চলে গেলে আমরা সপরিবারে কালিরহাট বাজারের পাশে নতুন করে বাড়ি করি। শুধু বাবার কবরটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়া বাকি ছিল। তিনি বলেন, আজ সকালে খবর পাই বাবার কবর নদে ভেঙে যাচ্ছে। এসে দেখি বাবার কবরের অর্ধেক ভেঙে গেছে এবং কবরের ভিতরে সাদা কাপড় দেখা যাচ্ছে। পরে আমরা কাফনের কাপড়সহ বাবার অক্ষত মরদেহ তুলে নিয়ে আসি। এরপর মসজিদের ইমামের পরামর্শে দাফন করি। আমার বাবা নিয়মিত জামাতের সঙ্গে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন এবং ইসলামি অনুশাসন মেনে চলতেন।  সোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম লিটন ঘটনার বলেন, আমি শোনামাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক পুনরায় মরদেহ মাটি দেওয়ার ব‍্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার আরবি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক ও কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মো. মাহবুবুল আলম জানান, আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন যারা আল্লাহর রাস্তায় মারা যান, তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত। কিন্তু তা তোমরা উপলব্ধি করতে পার না। তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহর খালেস বান্দাদের অক্ষত মরদেহ পাওয়ার বিষয়ে অনেক খবর আমরা পাই। তাই এটি অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। এসব মরদেহ জানাজা ছাড়াই দাফন করতে হয়। তবে কেউ যদি পুনরায় জানাজা করতে চায় তাতেও কোনো সমস‍্যা নেই।
দাফনের ৪৪ দিন পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন 
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে আদালতের নির্দেশে দাফনের ৪৪ দিন পর কবর থেকে ফয়জার রহমান নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।  রোববার (৯ জুন) সকালে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের উপস্থিতিতে উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের গনাইর কুটি গ্রাম থেকে মরদেহটি উত্তোলন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদুল ইসলাম।  পরে পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। জানা যায়, ১৮ এপ্রিল বানুর কুটি গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের আঘাতে ফয়জার রহমানসহ দুজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। ফয়জার রহমান দুদিন ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে ২০ এপ্রিল বাড়িতে ফিরে আসেন। বাড়িতে ফেরার পাঁচদিন পর গত ২৫ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করলে ওইদিন তাকে দাফন করা হয়। পরে ১ মে নিহতের ছেলে হাফিজুর রহমান ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত ১৫ এপ্রিল এক আদেশে দাফনকৃত মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেন।  এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কুড়িগ্রাম কর্তৃক আদেশপ্রাপ্ত হয়ে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহটি কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হবে।’ 
সোনাহাট স্থলবন্দরে ৯ দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি
পবিত্র শবেকদর, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে আগামী শনিবার (৬ এপ্রিল) থেকে কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি ৯ দিন বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এই সময় বন্দর দিয়ে সকল প্রকার পণ্য আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের একটি চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকিব আহমেদ জুয়েল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেনের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, চিঠিতে বলা হয়, শবেকদর, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফসংক্রান্ত যাবতীয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আগামী ৬ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ১৪ এপ্রিল (রোববার) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এবং ১৫ এপ্রিল (সোমবার) থেকে পূর্বের ন্যায় যথারীতি সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সোনাহাট স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামে একই পরিবারের ৭ জন অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকসহ তার পরিবারের সাত জন অচেতন হয়ে পড়লে শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য তাদের কুড়িগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।  অসুস্থ অন্যরা হলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মা মজিরন বেওয়া, স্ত্রী চায়না বেগম, কন্যা আখি ও তিন বোন শাহেদা, শাহেরা, ছকিনা বেগম। ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, বুধবার (৬ মার্চ) সকালে বাড়িতে খাবার খেয়ে চেয়ারম্যান ভূরুঙ্গামারীতে যান। সেখানে দুপুরের দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে কুড়িগ্রামে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে তাকে বাড়িতে আনা হয়। এ সময় বাড়ির সকলকে অসুস্থ অবস্থায় দেখা যায়। আজ সকাল থেকে সবার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কেউ সারাদিন ঘুমে অচেতন আবার কেউ চোখ খুলে তাকাতে পারছেন না। চেয়ারম্যানও আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি কথা বলতে পারলেও চোখ খুলে তাকাতে পারছেন না। একা হাটতেও পারছেন না। সন্ধ্যায় অসুস্থ সবাইকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   কেদার মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হাফিজুর মন্ডল জানান, খবর পেয়ে আমরা পরিস্থিতি দেখতে এসেছি। এখানে বাড়ির ভিতরে কেউ ১০ থেকে ১৫ মিনিট থাকলেই অসুস্থ্যবোধ করছেন। হয়তো কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে চেতনানাশক ছিটিয়েছেন। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এএসএম সায়েম জানান, খবর পাওয়া মাত্র তাদেরকে হাসপাতালে আনতে এম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসা দিলেই তারা সুস্থ হয়ে যাবেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে কেউ খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে থাকতে পারে অথবা ঘরে চেতনা নাশক ছিটাতে পারে।  কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বদেব রায় জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে চুরির উদ্দেশ্যে কেউ খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
মাদরাসা পড়ুয়া ছেলেকে খাবার দিতে গিয়ে প্রাণ গেল বাবার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মাদরাসা পড়ুয়া ছেলেকে খাবার দিতে গিয়ে বাসচাপায় মারা গেছেন মফিজ উদ্দিন (৪০) নামের এক ব্যক্তি। ঘটনার পর পরই রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবরোধকারীদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাগেশ্বরী উপজেলার ভুরুঙ্গামারী-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের পাথারি মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মফিজ উদ্দিন উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের ধরকার কুটি গ্রামের বাসিন্দা।   স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মাদিনাতুল উলুম ক্যাডেট মাদরাসাছাত্র নিহত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। সকালে মফিজ উদ্দিন ছেলের জন্য খাবার দিতে মাদরাসাতে যান। পরে বাড়ি ফেরার পথে ভুরুঙ্গামারী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি বাসের চাপায় তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ দিকে দুর্ঘটনার পরপরই বেলা ১১টা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে প্রতিবাদ করেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে নাগেশ্বরী থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।  নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রামে ভটভটির ধাক্কায় নিহত ২
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ভূরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কে ভটভটির ধাক্কায় বৃদ্ধসহ ২ জন নিহত হয়েছেন।  বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৪টার দিকে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের কোম্পানি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন__পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা গ্রামের মৃত নাদু তেলির ছেলে আলহাজ্ব আইজুদ্দিন (৮০) ও ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে রুবেল মিয়া (১৭)। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে আইজুদ্দিন নামের ওই বয়স্ক ব্যক্তি ভূরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর গামী সড়কের একপাশ থেকে অপর-পাশে পার হওয়ার সময় ভূরুঙ্গামারী থেকে ছেড়ে আসা একটি তিন চাকার ভটভটির সাথে ধাক্কা লাগে। এসময় তিনি মারাত্মক ভাবে আহত হন। এ ঘটনায় ভটভটিতে থাকা চালকের ছেলে রুবেল মিয়া ভটভটি থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যান। ভটভটির চাকায় তার দুপা থেতলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত দুজনকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী সদর হাসপাতালে পাঠান। আহতদের অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়। পৃথক পৃথক এ্যাম্বুলেন্সে রংপুর যাওয়ার পথে রাত ৮ টার দিকে তাদের মৃত্যু হয়। ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।