• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
আলাদা জীবন পেল জোড়া লাগানো দুই বোন নুহা ও নাবা
কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
কুড়িগ্রামে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে তিস্তা নদীর কাউনিয়া রেলসেতু পয়েন্টে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বাড়লেও সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে তা কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও গত ৩ ঘণ্টায় সন্ধ্যা ৬টায় তা ২ সেন্টিমিটার কমেছে। এ দিকে ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি কমে এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানির কারণে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলসমূহে পানি উঠে চলতি মৌসুমি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বন্যা বেড়ে গেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়ে পড়েছে তিস্তা নদীর তীরবর্তী রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা, বিদ্যানন্দ, উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া, বজরা, থেতরাই, গুনাইগাছ এবং চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের বেশ কিছু অংশ। রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নের খিতাব খার বাসিন্দা জলিল মিয়া বলেন, তিস্তা নদীর পানি যেভাবে বাড়ছে দুদিনের মধ্যেই নিচু এলাকার খেতের জমি সব তলিয়ে যাবে। আমরা খুবই চিন্তায় রয়েছি।      জেলার রাজারহ্টা ও নাগেশ্বরী উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলের শতাধিক পরিবার, গ্রামীণ কাঁচা সড়কসহ ১৫৯ হেক্টর জমির রোপা আমন এবং মৌসুমি ফসলের খেত নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। আরটিভি/এমকে-টি
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের
কুড়িগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
কুড়িগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
কুড়িগ্রামে একের পর এক ভেঙে যাচ্ছে বাঁধ, ডুবছে নতুন এলাকা 
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। শত শত ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এতে বন্যাদুর্গতরা উঁচু স্থানে ও ফ্লাড সেন্টারে অবস্থান নিয়েছেন। এ দিকে বন্যা আক্রান্ত হওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ মাদরাসার পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।  শুক্রবার (৫ জুলাই) ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ভোরে নুনখাওয়া পয়েন্টে ৭২, চিলমারী পয়েন্টে ৭৮ ও হাতিয়া পয়েন্টে ৮০ সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এ নদের প্রবাহ অববাহিকার ৬টি উপজেলার সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি কয়েক হাজার ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যার কারণে ৩৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২ হাজার ৩শ’ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত রয়েছে। বানভাসিদের সহায়তায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ৮৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন থেকে ৫শ’ টন চাল ও ২০ লাখ টাকা বিতরণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাতিয়া পয়েন্টে ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও ধরলা নদীর পানি ৪ সেন্টমিটার কমে ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমা চিলমারী নৌবন্দর পয়েন্টে ৭১ সেন্টমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির ফলে বিপাকে পরেছে বানভাসি মানুষ। তারা ছুটছে আশ্রয়ের খোঁজে। বেশিরভাগ বানভাসি মানুষ নৌকার মধ্যে রাত্রিযাপন করছে। সরকারি প্রশাসন থেকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেও এখনও সবার কাছে পৌঁছেনি সরকারি সহায়তা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত পাঁচ দিন ধরে নদনদীগুলোতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধির ফলে গরু-ছাগল, সহায়-সম্পদ ও সন্তানদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বানভাসি মানুষ। ঘরের ভেতর পানি প্রবেশ করায় যাদের নৌকা আছে তারা নৌকায় আশ্রয় নিয়েছে। যাদের নৌকা নেই তারা ঘরের ভেতর মাচা ও চৌকি উঁচু করে সেখানেই আশ্রয় নিয়েছেন। রান্নাবান্না করে সেখানেই থাকছেন। আশেপাশে যত উঁচু বাড়ি ও ফ্লাড শেল্টার রয়েছে, সেখানে আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন বানভাসি মানুষ।  কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের বালাডোবা গ্রামের হামিদা জানান, বাড়িঘরে পানি ওঠায় বাচ্চাদের নিয়ে খুব বিপদে আছি। অনেক কষ্টে চৌকির উপরে রান্না করছি। আনাজ তরকারি ডুবে যাওয়ায় বেশি কিছু রাঁধতে পারছি না। একই গ্রামের হামিদুল জানান, বন্যায় গরুবাছুর নিয়ে খুব বিপদে আছি। পানিতে রইছে গরু। ঠিকমতো খাবার দিতে পারছি না।  সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের কালির আলগা গ্রামের হাসনা বেগম বলেন, ‘পুরো ঘরের ভেতর পানি। থাকতে না পেরে ছোট নৌকায় আশ্রয় নিয়েছি। কিছু রান্নাও করতে পারছি না। ছেলেমেয়ে নিয়ে আমরা খুব বিপদে আছি।’   বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার, কচাকাটা, নারায়নপুর, বেরুবাড়ী, বামনডাঙ্গা, নুনখাওয়া, সদর উপজেলার যাত্রাপুর, ঘোগাদহ, পাঁচগাছী, মোগলবাসা, উলিপুর উপজেলার হাতিয়া, বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা, চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ, চিলমারী সদর, রমনা, অস্টমীরচর, রৌমারী উপজেলার বন্দবের, চর শৌলমারী, দাঁতভাঙ্গা, যাদুরচর এবং চর রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি, মোহনগঞ্জ ও চর রাজিবপুর ইউনিয়নে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। কুড়িগ্রাম খামারবাড়ীর উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘চলমান বন্যায় ২ হাজার ৩শ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। বিশেষ করে পাট, রোপা আমন বীজতলা, আউশ ধান, শাক সবজি, তিল, তিসি, চিনা, কাউন ফসল তলিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, ‘বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বন্যা আক্রান্ত মানুষের মাঝে শুকনো খাবারসহ চাল, ডাল, তেলসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা চলমান রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বানভাসিদের নৌকা, স্পিডবোট নিয়ে আসা হচ্ছে। একাধিক টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
কুড়িগ্রামে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ আহত ১০
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে একটি পাগলা কুকুর নারী- শিশুসহ দশজনকে কামড়িয়ে আহত করেছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটার মধ্যে উপজেলা সদরের পানিমাছকুটি ও পার্শ্ববর্তী চন্দ্রখানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- পানিমাছকুটি গ্রামের জালাল উদ্দীন (৩৬), মীম আক্তার (১১), মুবিন (৫), নুরনাহার বেগম (৩৬), মোহাম্মদ আলী (১৫), আশিক (৯), চন্দ্রখানা গ্রামের তৈয়ব আলী (৬৯) ও আনছার আলীসহ (৫১) অজ্ঞাত আরও দু’জন। আহতরা সবাই ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।  কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সকালে ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে পাগলা কুকুরটি উপজেলার পানিমাছকুটি গ্রামে প্রবেশ করে। কুকুরটির মুখ দিয়ে লালা পড়ছিল। পথচারীদের দু-একজন কুকুরটিকে দেখে পাগলা কুকুর, পাগলা কুকুর বলে চিৎকার করতে থাকে। কিন্তু লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই কুকুরটি যাকে সামনে পায় তাকেই কামড়াতে শুরু করে। পরে লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করলে উপজেলার ব্র্যাক মোড় হয়ে চন্দ্রখানা কদমতলা অভিমুখে যাওয়ার সময় কুকুরটি পশ্চিম পানিমাছকুটি কাশিয়াবাড়ী গ্রামের হাছেন বাবুর্চির দুটি গরুকে কামড়িয়ে আহত করে। এরপর কিছুদূর গিয়ে চন্দ্রখানা কদমতলা এলাকায় কয়েকজনকে কামড়িয়ে দেয়। এ সময় লোকজন ঘেরাও করে পিটিয়ে কুকুরটিকে মেরে ফেলেন। ওই এলাকার বেলাল মিয়া ও রফিকুল ইসলাম বলেন, পাগলা কুকুরটি এই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি বেওয়ারিশ কুকুরকেও কামড়িয়েছে। এখন তো সেগুলোও পাগল হয়ে মানুষসহ গরু-ছাগলকে কামড় দেবে। এ নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি। ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কান্তি সাহা জানান, পাগলা কুকুরের কামড়ে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আমাদের হাসপাতালে জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই। তাই তাদেরকে জরুরি ভিত্তিতে জেলা সদরে গিয়ে জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আ.লীগ নেতাকে হত্যা : ছাত্রলীগের ২ নেতা রিমান্ডে
কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম সোহানকে (৪০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ছাত্রলীগের স্থানীয় ২ নেতাকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কুড়িগ্রাম আমলি আদালত এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভীর কবির চৌধুরী বিন্দু ও কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি ঝিনুক মিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলাম। আদালত দুজনকে ৩ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তিনি আরও বলেন, শনিবার বিকেলে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে সোহানের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। সোহান জেলা শহরের ঘোষপাড়ার আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে। তিনি একই সঙ্গে কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য। উল্লেখ্য, শুক্রবার দিনগত রাত ১২টায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী বাদী হয়ে মারপিট করে হত্যার অভিযোগ করেন। তার অভিযোগটি শনিবার মামলা আকারে নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় মোট চারজনের নামোল্লেখ এবং ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ২ ছাত্রলীগ নেতা ছাড়াও অন্য দুজন পলাতক আসামি হলেন স্বাধীন ও সৌরভ।