রাজধানী কারওয়ান, জীবিকার তাগিদে অনেকেই মাছ কাটার কাজ করেন এখানে। সাধারণত ভোরবেলা এখানে মাছের বাজার বসে। প্রতিদিনই একটি মেয়ে ভোরবেলা মাছ কাটেন। বিনিময়ে কিছু টাকা পান। আর তা দিয়েই যান্ত্রিক এ শহরে সংসার চলে।
ঠিক এমননি একটি গল্প নিয়ে নির্মাণ হয়েছে ‘রঙিন আশা’ নাটক। নাটকে মাছ কাটার কাজ করা মেয়েটির চরিত্রে অভিনয় করেছেন তটিনী। কাজটি করতে গিয়ে দারুণ সব অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। বলেন, তিন দিন ভোরে আড়তে প্রায় দুই ঘণ্টা করে শুটিং করেছি। প্রতিদিনই ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠে কারওয়ান বাজারে যেতে হতো। বাজারের মধ্যে উৎসুক শত শত মানুষের ভিড়ের মধ্যে শুটিং চালিয়ে নেওয়া কঠিন ছিল। শুটিং দেখার জন্য সাধারণ মানুষের কৌতূহল বেশি। তাতে আবার লোকেশন কারওয়ান বাজারের মাছের আড়ত। বুঝতেই পারছেন, কী ধরনের ঝামেলা গেছে।
তটিনী আরও বলেন, দৃশ্যগুলোতে সত্যি সত্যি মাছ কেটেছি। আমার তো এ ধরনের কাজে অভিজ্ঞতা ছিল না। বাসায় মাছ কেটেছি কয়েক দিন। একদিন শুটিং করতে গিয়ে বিপদেও পড়েছিলাম। বাসায় ইলিশ মাছ কেটে প্র্যাকটিস করে গিয়ে শুটিংয়ের সময় আমাকে পাঁচ কেজি ওজনের মাছ কাটতে দিয়েছিল। হা হা হা...।
মাছ কাটা মেয়ের চরিত্রটিকে বাস্তবে তুলে আনতে সত্যিকারের কারওয়ান বাজারের মাছের আড়তকেই বেছে নিয়েছেন পরিচালক রাফাত মজুমদার। তবে কাজটি সহজ ছিল না তার কাছে। পরিচালক বলেন, যখন মাছের বাজার বসে, সেই ভোরবেলাকেই আমরা শুটিংয়ের জন্য বেছে নিয়েছিলাম। সত্যিকারের শত শত ক্রেতা–বিক্রেতার ভিড়ের মধ্যেই শুটিং করেছি। একটি সত্যিকারের মাছ কাটার দোকান ভাড়া করেছিলাম। ওই দোকানে বসেই তটিনী মাছ কাটার কাজ করে শুটিং করেছেন। আগে থেকে না জানতে পারলে তটিনীকে চেনা, জানার উপায় ছিল না। মনে হচ্ছিল সত্যিকারেরই মাছ কাটার কাজ করে মেয়েটি। মৎস্য আড়তের মধ্যে এত মানুষের ভিড় সামলে সঠিকভাবে কাজটি করতে অনেক কষ্ট হয়েছে।
নাটকের গল্পে তটিনীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার। দুজন স্বামী–স্ত্রী। চরিত্রে খায়রুল বাশার কারওয়ান বাজারে ভ্যান চালান।
পরিচালক জানিয়েছেন আগামী মাসের শুরুর দিকে একটি ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি প্রচারিত হবে। নাটকটির লিখেছেন অপূর্ণ রুবেল।