রাজধানীতে অপরাধীদের শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ক্লোজড সার্কিট বা সিসি ক্যামেরা। যার সাহায্যে অল্প সময়েই সনাক্ত হচ্ছে অপরাধীরা।
বছর কয়েক আগে রাজধানীর বনানীতে খুন করা হয় যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক মিল্কীকে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের শনাক্ত করতে একটুও বেগ পেতে হয়নি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজই চিনিয়ে দেয় ঘাতকদের।
সম্প্রতি রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর থেকে অপহরণ করা হয় শিশু সুমাইয়াকে। কয়েকদিনের মধ্যেই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ অপহরণের বিভিন্ন সূত্র (ক্লু) যখন খুঁজতে থাকে পুলিশ তখন সেখানকার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় এক যুবতী সুমাইয়াকে নিয়ে যাচ্ছে। এ অপরাধ শনাক্ত করার পেছনেও সাহায্য করে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ।
গেলো মার্চ মাসে রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসায় নারী ব্যাংক কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে রহস্য উদঘাটনের পেছনে সহায়ক ছিল সিসি ক্যামেরা। ক্যামেরায় ধরা পড়ে ঘটনার সময় তার সাবেক স্বামীর উপস্থিতি ও দৌড়ে পালিয়ে যাবার দৃশ্য। এ সূত্র ধরেই রবিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সিসি ক্যামেরা বসানোর ক্ষেত্রে ব্যক্তি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ধাপে ধাপে সড়কগুলোতে আরো পাঁচ হাজার সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, এমন সফলতায় গোটা রাজধানীকেই ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার অধীনে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এসএস