বিস্ময় বালক সূবর্ণ আইজাক বারী। বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ৮ বছর বয়সে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুবর্ণকে অধ্যাপকের স্বীকৃতি দেয়। নিউইয়র্ক গভর্নরের স্বীকৃতির পাশাপাশি, মর্যাদাপূর্ণ ‘গ্লোবাল চাইল্ড প্রোডিজি’ পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছে, ক্ষুদে আইনস্টাইন সূবর্ণ। সূবর্ণ বাংলাদেশের হয়ে অবদান রাখতে চায়। বিশ্বের এক বিস্ময়ের নাম সূবর্ণ আইজাক বারী। অভাবনীয় মেধা ও প্রতিভা দিয়ে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে।
সুবর্ণর বয়স যখন মাত্র দু’বছর, তখনই বাবা দেখেন গণিতের প্রতি তার আগ্রহ। তিন বছর বয়সেই অঙ্ক করতে পারে সূবর্ণ। এবং স্কুল শুরুর পর থেকে পদার্থবিদ্যা, গণিত ও রসায়নের জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে।
মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সে, ভয়েস অব আমেরিকায় সাক্ষাতকার দেয় শিশুটি। তার মেধা যাচাই করতে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন অধ্যাপক জ্যামিতি, বীজগণিতসহ রসায়নের জটিল বিষয়ের পরীক্ষা নিয়েছেন। এরপর একের পর এক কৃতিত্ব দেখিয়ে বিস্ময় তৈরি করেছে সুবর্ণ। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই বিস্ময় বালককে বিশ্বের খ্যাতনামা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৮ সালে একজন বিজ্ঞানী এবং ২০২০ সালে অধ্যাপক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নরের কাছে থেকে পুরস্কার পেয়েছে সূবর্ণ। স্বীকৃতিপত্রে বলা হয় “সুবর্ণ এমন একজন যিনি খুব অল্প বয়সেই বিশ্বে একটি ইতিবাচক পার্থক্য তৈরি করেছেন। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে আপনার অর্জন প্রশংসার যোগ্য। বিশ্বশান্তি প্রচারে সেই সচেতনতা ব্যবহার করার ইচ্ছা আমাকে মুগ্ধ করেছে।”
নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী বিজ্ঞানী হিসেবে তাকে দিল্লিতে ‘গ্লোবাল চাইল্ড প্রোডিজি অ্যাওয়ার্ড’ দেন। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় তাকে পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে ভিজিটিং অধ্যাপক পদে নিয়োগ দিয়েছে। সূবর্ণ বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী অধ্যাপক।
নিউইয়র্ক সিটি কলেজের প্রেসিডেন্ট ড. লিসা কোইকো সুবর্ণকে ‘আমাদের সময়ের আইনস্টাইন’ উপাধি দেন।
অধ্যাপক সূবর্ণ আরটিভিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, বিজ্ঞানের প্রতি তার ভালোবাসার কথা এবং নামীদামি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা।
সূবর্ণ জানান, অঙ্ক ভীষণ ভালো লাগে তার। সবার উৎসাহ পেয়ে সে উন্নতি করতে চায়।
সুবর্ণর লেখা ‘দ্য লাভ’ গ্রন্থ ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে। সূবর্ণ সব ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভালোবাসার পৃথিবী গড়তে চায়।
সূবর্ণ ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও সে সব সময় বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও মমত্ববোধ অনুভব করেন।
সুবর্ণর বাবা রাশিদুল বারী নিউইয়র্কের একটি কলেজে গণিতের শিক্ষক। এক ভাই ও মাসহ সূবর্ণ নিউইয়র্কে বাস করেন।
এই ক্ষুধে বিজ্ঞানী তার মেধার স্ফুরণ ঘটিয়ে দেশকে গর্বিত করবে আলোকিত করবে বিশ্বকে, এমনটিই প্রত্যাশা।
ইজে/এসএস