• ঢাকা রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
logo

জুলাই গণঅভ্যুত্থান

চোখ মেলে তাকাচ্ছে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা   

আরটিভি নিউজ

  ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৫

সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ শিশু মুসাকে নিয়ে আশার আলো দেখছে তার পরিবার। গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রায় ৩ মাস পর শিশুটি এখন চোখ খুলেছে, নাড়তে শুরু করেছে হাত-পা।

এর আগে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর শুরুতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে ঢাকা মেডিকেল ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় তাকে গত ২২ অক্টোবর এয়ার এম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) শিশু মুসার অলৌকিকভাবে ফিরে আসার গল্পের কথা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য শাহরিয়ার মাহমুদ ইয়ামিন।

তিনি বলেন, শিশু মুসাকে বাঁচানো যাবে কিনা তা নিয়ে যখন উদ্বিগ্ন ছিল তার পরিবার ও চিকিৎসকরা, তখন সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পর শুরুতেই তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে, যা শুনে রীতিমতো কান্না চলে আসছিল আমার। পরে করোনা থেকে কিছুটা সুস্থ হয়ে পুরোদমে চিকিৎসা শুরু হয় এবং এখন আগের চেয়ে উন্নত।

ইয়ামিন বলেন, আজ সকালের আপডেট হলো মুসা হাত-পা নাড়ছে, চোখ খুলছে, বসতে পারছে। এটা আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য লাগছে। মুসাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর পেছনে দৌড়ঝাঁপ করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। এখন আমার চোখে-মুখে কী পরিমাণ আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। মুসা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সবচেয়ে ছোট যোদ্ধা। এক বুলেট তার দাদির পেটের এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে মুসার মাথায় লাগছিল। দাদি স্পট ডেড হলেও এখনো মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বেঁচে আছে মুসা। তার বেঁচে থাকাটা যেন এক অলৌকিক ঘটনা।

মুসার সঙ্গে রয়েছেন তার মা নিশামনি। তিনি বলেন, তার ছেলের এখন লাইফ সাপোর্ট লাগছে না। সে নিজে থেকে হাত-পা কিছুটা নাড়াতে পারছে। চোখ খুলে তাকাচ্ছে। আগে সে চোখের পাতা ফেলত না। তবে এখন ফেলছে। তবে তার দৃষ্টি অর্থপূর্ণ নয়। চোখের সামনে আলো ধরলে বা আঙুল নিয়ে গেলে সে সাড়া দেয় না।

চিকিৎসায় খরচ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির এই সদস্য বলেন, সরকার প্রথম ধাপে অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ ছাড়া মুসার জন্য এককালীন ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পাঠিয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরও ১ কোটি টাকা পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও, সরকারি খরচে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা চলছে আহত আরও ৩ জনের। বাংলাদেশে চিকিৎসাধীন আরও ১০-১২ জনকে বিদেশে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

প্রসঙ্গত, মুস্তাফিজুর রহমান ও নিশামণি দম্পতির একমাত্র সন্তান মুসা। গত ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরার মেরাদিয়া হাট এলাকার বাসার নিচে গুলিবিদ্ধ হয় মুসা ও তার দাদি মায়া ইসলাম (৬০)। তিনি মুসাকে আইসক্রিম কিনে দিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে বাসার নিচে নেমেছিলেন। তখন দুজনেই গুলিবিদ্ধ হয়।

আরটিভি/এআর

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়