জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান
পদোন্নতিসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. মোখলেস উর রহমানের কক্ষের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। যা এখনও চলমান।
জানা গেছে, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই বারান্দার মেঝেতে বসে পড়েছেন। এমনকি একজনকে শুয়ে থাকতেও দেখা গেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, বঞ্চনা নিরসনে আজকের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছাড়বেন না।
পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো-
১. ফ্যাসিবাদী সরকার কর্তৃক পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সব স্তরের পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মচারীদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা ও জ্যেষ্ঠতাসহ ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির ‘প্রজ্ঞাপন’ অবিলম্বে জারি করতে হবে।
২. ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং বর্তমান সরকার কর্তৃক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত বির্তকিত কর্মকর্তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
৩. বর্তমানে কর্মরত সাবেক ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর, ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িত স্বেচ্ছাচারী, দুর্নীতিবাজ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ কাজে লিপ্ত কর্মকর্তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহারপূর্বক আইনের আওতায় আনতে হবে।
৪. দলবাজ, অদক্ষ ও সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের অপসারণ বা অব্যাহতি প্রদানপূর্বক ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখের পর দীর্ঘদিনের বঞ্চিত কর্মরত যে সব কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েও এখনও পদায়ন পাননি তাদের দ্রুত উপযুক্ত পদে পদায়ন করতে হবে।
৫. মাঠ প্রশাসনে কর্মরত বিতর্কিত জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার করে নিরপেক্ষ, সৎ, দক্ষ কর্মকর্তাকে পদায়ন করতে হবে। পূর্বের ফিট লিস্ট বাতিল করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুনরায় ফিট লিস্ট করতে হবে।
৬. বিগত সরকারের সময় যারা দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি পেয়েছে, তাদের পদোন্নতি আদেশ বাতিল এবং আর্থিক সুবিধা প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া বিদেশে ‘বেগম পাড়া’য় বাড়ি ক্রয়সহ অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরটিভি/আইএম
মন্তব্য করুন