১১ থেকে ২০ গ্রেডের চাকরিজীবীরা মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত সরকার নিয়ে থাকলে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সরকারি চাকুরিজীবী ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
এ সময় ফোরামের সভাপতি লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জিয়াউল হক, সহসভাপতি আশফাকুল আশেকীন, ১১ থেকে ২০ ফোরামের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, অর্থ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, সহসম্পাদক আনিসুর রহমান, মো. শাহআলম, ঢাকা বিভাগ সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি রবিউল ইসলাম সোহাগ, মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন, কেফায়েত হোসেন সোহাগ, সহসভাপতি ফজলুর রহমান প্রমুখ।
আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার নিশ্চয়তা না পেলে ৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়ে বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল প্রদানে পে-কমিশন গঠন ও যেসব কর্মচারী বেতন স্কেলের শেষ ধাপে চলে গেছেন তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি চলমান রাখার আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত ১০ বছর ধরে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাড়ানো হয় না। কিন্তু দেশের সকল সেক্টরের কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়েছে ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গত ৭ বছর ধরে বৈষম্যমুক্ত পে-স্কেলের দাবিতে আন্দোলনের পরে বৈষম্যবিরোধী সরকার মহার্ঘ ভাতা প্রদানের কমিটি গঠন করেছে, যার ফলে কর্মচারীরা আশার আলো দেখেছিল। কিন্তু কিছু সুশীল নামধারী লোক এর পেছনে লেগেছে। যেন সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ালেই দেশে যত সমস্যা। নিম্ন বেতনভোগীরা কত কষ্টে আছে তা বিবেচনা না করে তারা উপসচিবদের সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে তুলনা করে কর্মচারীদের বিপক্ষে কথা বলছেন।
১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও সমন্বয়ক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম, এখন মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে না। যদি এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রয়োজনে সারাদেশে কর্মবিরতির মত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আরটিভি/এমএ-টি