ঘণ্টাব্যাপী অবস্থানের পর শাহবাগ ছেড়ে দিয়েছেন সাবেক বিডিআরের চাকরিচ্যুত সদস্যরা। এতে ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুর ২টার পর আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় ছাড়েন। এরপর সেখান থেকে তারা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে, দুপুরে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকা থেকে একটি মিছিল নিয়ে বের হন বিডিআরের চাকরিচ্যুত সদস্যরা। এরপর মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে শাহবাগ মোড়ে আসে। সেখানে পুলিশ তাদের আটকের চেষ্টা করলে তারা ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন।
৩ দফা হলো-
১. পিলখানাসহ সারা দেশের বিডিআর ইউনিটগুলোর বিশেষ আদালত এবং মহাপরিচালক ও অধিনায়কের সামারি কোর্টের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত (৭৬ ব্যাচ সহ) সব বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাসহ পূর্ণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
২. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে গঠিত শর্তযুক্ত তদন্ত কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন তদন্ত কমিশনে রূপান্তরের লক্ষ্যে এর সার্বিক পূর্ণ কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত করছে এমন সব বিধিনিষেধ, বিশেষ করে এর প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ‘ব্যতীত’ শব্দ এবং কার্যপরিধি ২এর (ঙ) ধারাটি বাতিল করে কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
৩. ২০০৯ সালে পিলখানায় সৃষ্ট ঘটনার আলোকে যেসব ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছেন, তাদের সবাইকে পুনর্বাসন করতে হবে এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ তথা ‘বিডিআর’ নামটি পুনঃস্থাপন করতে হবে।
আরটিভি/আরএ/এআর