নারায়ণগঞ্জে কাজী সেজে অপ্রাপ্ত কিশোর-কিশোরীকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে হেলেনা বেগম (৩২) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেলে তাকে আদালতে পাঠালে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালত আগামীকাল বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন। এর আগে, ওই দিন সকালে শহরের দুই নম্বর রেলগেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হেলেনা বেগম (৩২) হলো বন্দর উপজেলার রূপালী আবাসিক এলাকার মৃত নাজিম উদ্দিনের মেয়ে। মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, জেলা কাজী সমিতির সভাপতি ইসলাম মিয়া বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় গেলো দুই ফেব্রুয়ারি অপ্রাপ্ত কিশোর-কিশোরীকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে বিবাদী মোসা. হেলেনা বেগমের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরশনের ১৩ ও ১৪ নং ওয়ার্ডের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার ও কাজী হিসেবে নারায়ণগঞ্জের দায়িত্বে নিয়োজিত আছি।
আসামি হেলেনা বিভিন্ন অ্যাডভোকেটের মুহুরী হিসেবে নিয়োজিত আছে। বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি যে, আসামি নারায়ণগঞ্জ জেলার ডিসি অফিসের আশে-পাশের এলাকায় বসে বাল্যবিবাহ নিকাহ রেজিস্ট্রি করে থাকে। তারপর থেকে আমার সমিতির সকলে মিলে আসামিকে শনাক্ত করার জন্য তৎপর থাকি।
পরবর্তীতে গেলো ১৭ জানুয়ারি বিকেল চারটায় নারায়ণগঞ্জ সদন ধানার গলাচিপা সাকিনস্থ বি-হাফ ভিলার নিচতলায় অ্যাডভোকেট হাবিবুল্লাহ হাবিবের চেম্বারের আমিসহ আমার লোকজন গিয়ে দেখি ১৯ বছরের বর ও ১৪ বছরের কিশোরীর বাল্যবিয়ে কার্যক্রম কাজী সেজে শুরু করেছে হেলেনা। ওই সময় আসামির কাছে বর-কনের জন্ম সনদ নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় বর ও কনে উভয়ে নাবালক ও নাবালিকা।
সে সময় বাদী বাল্যবিবাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিবাদী বলেন, তিনি আড়াইহাজার হাইজাদী ইউনিয়নের কাজী ইউনুসের বই এনে কাজ করেন।
- আরো পড়ুন...
- বাসা বদলেও লাভ হয়নি; তার আগেই মেয়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা
- ডেটিংয়ে আসা বালিকা প্রেমিকাকে আটকের পর ফোন করে ধরা হয় প্রেমিককে
- খালি বাড়িতে ভাবিকে ডেকে এনে ধর্ষণ
- ‘কাওসার আমাকে বিভিন্ন বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেছে’
- মডেলিং করতে গিয়ে ৫ জনের ধর্ষণের শিকার অভিনয়শিল্পী
কোর্ট পুলিশের এএসআই মো. রোকনুজ্জামান আরটিভি নিউজকে বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন শুনানির দিন আগামীকাল ধার্য করেছেন। সেইসঙ্গে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জেবি