বাকশক্তি লোপ ও অসুস্থতার কারণে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরে হাজিরা দিতে পারবেন না মুসা বিন শমসের। পাশাপাশি তিন মাসের সময় চেয়ে চিকিৎসা সনদ এবং চিঠি দিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।
বুধবার শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে এ চিঠি দেয়া হয়। শুল্ক ফাঁকি, মানি লন্ডারিং ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য মুসাকে ২০ এপ্রিল বিকেলে শুল্ক গোয়েন্দা এবং তদন্ত অধিদপ্তরের কাকরাইলের সদরদপ্তরে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছিল। বিলাসবহুল রেঞ্জ রোভার মডেল গাড়ির শুল্ক ফাঁকি ও মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনায় ওই দিন শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরে হাজির হবার কথা ছিল তার।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে জানানো হয়, মুসা বর্তমানে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত। তার মুখের ডান পাশটি আংশিক পক্ষাঘাতে জর্জরিত। তার বাকশক্তিও লোপ পেয়েছে। তিনি সঠিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা নিতে তাকে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসক কাজী দীন মোহাম্মদ ও অধ্যাপক এম এ আজহারের সনদ চিঠিতে সংযুক্ত করা হয়।
গেলো ২১ মার্চ শুল্ক ফাঁকি ও ভুয়া কাগজ ব্যবহারের দায়ে ধানমন্ডির একটি বাড়ি থেকে মুসা বিন শমসেরের বিলাসবহুল রেঞ্জ রোভার গাড়িটি আটক করে গোয়েন্দারা। ভোলা ঘ ১১-০০৩৫ নম্বরের গাড়িটি পাবনার ফারুকুজ্জামান নামের ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রেশন নেয়া।
২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের কাস্টমস হাউজের বিল অব এন্ট্রি ১০৪৫৯১১ নম্বরের ১৩০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে ভোলা থেকে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। রেজিস্ট্রেশনে রঙ সাদা বলা হলেও উদ্ধার গাড়ির রঙ কালো।
পরে চিঠির মাধ্যমে মুসা বিন শমসেরকে তলব করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর মহাপরিচালকের পক্ষে তাকে চিঠি দেন সহকারি পরিচালক দিপা রানী হালদার। পাশাপাশি ফারুকুজ্জামান চৌধুরীকেও হাজির থাকতে বলা হয়। তার নামেই গাড়িটি নিবন্ধিত।
এমসি/ডিএইচ