রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে বুধবার (১০ অক্টোবর) অতিরিক্ত ভাড়া বৃদ্ধি ও ওয়েবিল সিস্টেমের মাধ্যমে পরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে যাত্রী অধিকার আন্দোলন নামে একটি সংগঠন।
মানববন্ধনে সংগঠনটির আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল বলেন, সিটিং বাসের নামে হয়রানি বন্ধ, অযৌক্তিকভাবে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার ও গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিতের দাবিতে আজকের এই কর্মসূচি।
এই সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, গণপরিবহনগুলো সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে নানান অজুহাতে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। সিটিং সার্ভিস নাম দিয়ে এসব পরিবহন দাঁড় করিয়েও যাত্রী নিচ্ছে। ওয়েবিল দেখিয়ে কিলোমিটারপ্রতি নির্ধারিত ভাড়ার ধার ধারছে না। অথচ, শিক্ষার্থীরা হাফ ভাড়া দিতে চাইলে সিটিং সার্ভিসের অজুহাত দেখানো হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, নগর পরিবহনের ভাড়া গত নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময়ও বেড়েছে। সেই সময় অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হবে না বলা হলেও ঠিকই ঠাসাঠাসি করে যাত্রী নিচ্ছে কিন্তু দেখেও না দেখার ভান করছে বিআরটিএ। তাই সিটিং সার্ভিসের নামে চিটিংবাজি বন্ধ করতে হবে। সব বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া আদায় নিশ্চিত করতে হবে বলেও দাবি জানান তারা।
সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মাঈনুদ্দিন আরিফের সঞ্চালনায় মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক কেফায়েত শাকিল। এ সময় যাত্রী অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম সজীব, ঢাকা কলেজ শাখার নেতা নাজমুস শাহাদাত সাকিব, আসিফ ইয়ামিন, নাজিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পরে পরিবহন নৈরাজ্য বন্ধে সংগঠনের পক্ষে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়-
১. নগরী থেকে সিটিং সার্ভিস বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে।
২. ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাড়ানো পরিবহন ভাড়া পূনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
৩. তেলের দাম বৃদ্ধির সুযোগে ভাড়া বাড়ানো গ্যাসের গাড়িগুলো চিহ্নিত করে রুট পারমিট বাতিল করতে হবে। নগর ও দূরপাল্লার পরিবহনে বাড়তি ভাড়া নিয়ন্ত্রণে নজরদারি করতে হবে।
৪. চুক্তিতে গাড়ি চালানো এবং ওয়েবিলে ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে।
৫. সব নগর পরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নিশ্চিত করতে হবে।
এফএ/টিআই