ঢাকারোববার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

সিরাজগঞ্জে ভুল গ্রুপের রক্ত সঞ্চালনে প্রাণ গেল প্রসূতির

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

রোববার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ০৩:২৪ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতালে সিজারের পর শরীরে ভুল গ্রুপের রক্ত সঞ্চালন করায় সবিতা খাতুন (২৪) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছ। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কিউর স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধূর মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞাপন

মৃত সবিতা সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মালসিন গ্রামের মুকুল হোসেনের স্ত্রী এবং একই উপজেলার ভাদাস গ্রামের সুজাব আলীর মেয়ে।

সুজাব আলী বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মাসে বাচ্চা প্রসবের জন্য সবিতাকে সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করানোর কথা বলেন চিকিৎসক ডা. রবিউল আলম ও তার স্ত্রী ডা. জান্নাতুল মাওয়া। অপারেশনের আগে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়সহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এ সময় সবিতার রক্তের গ্রুপ (এবি+) আসে। ওই গ্রুপের রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়। এরপর সফলভাবেই সিজার হয় এবং সুস্থ বাচ্চা প্রসব করেন সবিতা।

বিজ্ঞাপন

সজাব আলী আরও বলেন, কিন্তু পরদিন তাকে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হলে (এবি+) গ্রুপের রক্ত সঞ্চালন করা হয়। রক্ত দেওয়ার পর থেকেই রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে নেওয়ার পর রক্ত পরীক্ষা করলে তার রক্তের গ্রুপ ‘ও+’ শনাক্ত হয়। সেখানে পাঁচদিন চিকিৎসার পর তাকে ঢাকার কিউর স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করলে ‘ও+’ শনাক্ত হয়। ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চারদিন চিকিৎসার পর বুধবার ভোরে মারা যায় সবিতা। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ভুল রক্ত সঞ্চালনায় মৃত্যু হয়েছে বলে ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করেন কিউর হাসপাতালের চিকিৎসক।

সজাব আলীর অভিযোগ, আমার মেয়ের মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার চাইতে গেলে তারা ২০ হাজার টাকা দিয়ে সমঝোতা করে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়।

সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, ৯ ফেব্রুয়ারি বাচ্চা প্রসবের জন্যে সবিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রসবের পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ভুল রক্ত সঞ্চালনের বিষয়ে তিনি বলেন, কাজ করতে গেলে একটু ভুল হতেই পারে। এ বিষয়টি গতকাল রাতেই আমি হাসপাতালের এমডিকে জানিয়েছি। তিনি এসে প্রসূতির আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে কথা বলবেন। টাকা দিয়ে মীমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।

বিজ্ঞাপন

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |