বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সিল ও বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে রিকল সরবরাহ করায় এক আইনজীবীর সহকারির বিরুদ্ধে বিচারক বাদী হয়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গতকাল সোমবার (২১ মার্চ) বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ বাদী হয়ে
অভিযুক্ত এক আইনজীবীর সহকারির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আরটিভি নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী চার্চিল।
অভিযুক্তরা হচ্ছেন, পিরোজপুরের নাজিরপুুর উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের ফারুক খানের ছেলে খোকন খান এবং আইনজীবী আহাদ আলী খানের সহকারি বরিশাল সদর উপজেলা শায়েস্তাবাদের মোল্লা বাড়ির বাসিন্দা শুক্কুর আলী মোল্লার ছেলে তরিকুল ইসলাম তপন।
অভিযোগে বিচারক উল্লেখ করে বলেন, ২০১৬ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের মামলায় প্রধান আসামি খোকনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই সময় থেকে খোকন পলাতক ছিল। সর্বশেষ ২০১৮ সালে আসামিকে গ্রেপ্তার করতে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে তাগিদ দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর পিরোজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে অবহিত করা হয় একই বছরের ২৫ আগস্ট আসামি খোকন বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছে। ওই পত্রের সঙ্গে জামিনের কাগজ রিকলের কপি প্রেরণ করা হয়।
তাতে দেখা যায় রিকলে ট্রাইব্যুনালের গোল সিল জাল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্থলে নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল লেখা রয়েছে। বিচারকের স্বাক্ষর জাল করা হয়। যার সঙ্গে অভিযোগকারী বিচারকের স্বাক্ষরের কোনো মিল নেই। এমনকি রিকলের হাতের লেখা তৎকালীন বেঞ্চ সহকারী গোলাম রসুলের নয়।
সে জামিননামা পর্যালোচনায় অভিযোগকারী দেখতে পান আইনজীবীর সহকারী তপন ও আসামি খোকন যোগসাজসে জাল রিকল তৈরি করেছে। এরপর পুনরায় আসামি খোকনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই নির্দেশ পাওয়ার পর এ বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি খোকনকে গ্রেপ্তার করে তার কাছ থেকে জাল রিকলের মূলকপি জব্দ করা হয়। এ সময় খোকন জানায় ওই রিকল আইনজীবী আহাদ আলী খানের সহকারি তপন দিয়েছে।