চুয়াডাঙ্গায় এক বৃদ্ধার শরীরে এক ধরনের পক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে ওই নারী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে বিষয়টি চিকিৎসকের নজরে আসে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। অসুস্থ ওই বৃদ্ধার বাড়ি সদর উপজেলার ভাণ্ডারদহ গ্রামে।
এদিকে ওই বৃদ্ধার শরীরে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসকরা বলছেন, ওই বৃদ্ধা কোনো সময় বিদেশে ভ্রমণ করেননি। তাই এটিকে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ বলা যাবে না।
ওই বৃদ্ধার ছেলে জানান, গত মঙ্গলবার হঠাৎ করে আমার মায়ের হাতের তালুসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ফোসকা উঠতে শুরু করে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। মায়ের শরীরের ফোস্কাগুলো কোনো এক ধরনের পক্সের উপসর্গ হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, অসুস্থ অবস্থায় ওই বৃদ্ধা হাসপাতালে আসেন। তার হাতের তালু, আঙুল ও শরীরের বিভিন্ন অংশে বড় বড় ফোসকা রয়েছে। শরীরে জ্বরও ছিল। তার শরীরে মারবেলের মতো এক ধরনের পক্সের উপসর্গ থাকায় বিষয়টি সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে জানানো হয়। পরে তাদের পরামর্শে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওই নারীকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, আসলে ওই বৃদ্ধার শরীরে যে পক্সের উপসর্গ দেখা দিয়েছে তা এখনই মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ বলা যাবে না। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে আগামীকাল তার শরীর থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হাসান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ওই বৃদ্ধার শরীরে মাঙ্কিপক্স রোগের উপসর্গ আছে কিনা তা এখনই বলা যাবে না। কারণ ওই বৃদ্ধা কখনও বিদেশে ভ্রমণ করেননি। আপাতত তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বিষয়টি ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনকে জানানো হয়েছে। তারা এসে ওই বৃদ্ধার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করবে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পক্সের ধরন জানা যাবে।
এটা নিয়ে জেলাবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।