সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে উপজেলা জামায়াতের আমির হাবিবুর রহমান ও উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শেখ মো. তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার (৩১ জুলাই) গভীর রাতে জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের কামলাবাজ গ্রাম থেকে হাবিবুর রহমানকে এবং সাচনাবাজার থেকে তরিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জামালগঞ্জ থানার পুলিশ।
সোমবার ( ১ আগস্ট) দুপুরে দুজনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহানের আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের জেলাহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ বিষয়ে কোর্ট ইন্সপেক্টর বোরহান উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানায়, কামলাবাজ গ্রামের হাবিবুর রহমানের বাড়িতে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা ও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের বৈঠক করছে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই পালিয়ে যায়। পরে জামায়াতের আমির হাবিবুর রহমানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ সময় হাবিবুর রহমানের বাড়ি থেকে সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াত ইসলাম ও জেলা শিবিরের নানা কাগজপত্র, সরকারবিরোধী লিফলেট, ১৬ টি জিহাদি বই, একটি রাম দা ও একটি কিরিছ উদ্ধার করা হয়। পরে রাতেই উপজেলার সাচনাবাজার থেকে উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সম্পাদক শেখ মো. তরিকুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
সোমবার সকালে পুলিশ বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত দুজনসহ শাহপুর গ্রামের ফখরুল আলম চৌধুরী, মানিগাঁও গ্রামের রুমেল মিয়া, ফেনারবাঁক গ্রামের খাইরুল ইসলাম, তেলিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মুহিত, তেলিয়া নতুনপাড়ার সফিক মিয়া, শাহপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের শেরু আলম, তেলিয়াপাড়ার লিয়াকত আলী, শুকদেবপুর গ্রামের মাওলানা আব্দুল আওয়াল ও নোয়াগাঁও গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমসহ জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে।
জামালগঞ্জ থানার ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে হাবিবুর রহমান ও তারিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজনকেই সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়।