ঢাকামঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২

স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড 

স্টাফ রিপোর্টার (চাঁদপুর), আরটিভি নিউজ

সোমবার, ১২ জুন ২০২৩ , ১১:৫৬ পিএম


loading/img

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার তেতৈয়া গ্রামে স্ত্রী নাজমা আক্তারকে যৌতুকের দাবীতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্বামী আব্দুস ছালামকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১২ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছালাম উপজেলার ৬ নম্বর কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামের মৃত আয়েত আলীর ছেলে। পেশায় তিনি সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক। হত্যার শিকার নাজমা একই উপজেলার একই ইউনিয়নের নাহারা গ্রামের মো. আবু তাহেরের মেয়ে।

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সালের (১০ এপ্রিল) নাজমা ও সালামের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় কনে পক্ষ সালামকে একলাখ টাকা মূল্যমানের জিনিপত্র দেয়। প্রায় একবছর তাদের দাম্পত্য জীবন ভালো চলছিল এবং তাদের কন্যা সন্তান জন্ম হয়। এরপর বিভিন্ন সময় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ক্রয় করার জন্য নাজমার কাছ থেকে তার স্বামী ছালাম আরও যৌতুকের টাকা দাবি করে। ঘটনার দিন ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছালাম নাজমার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৪দিন পর ১৪ অক্টোবর হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমার মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় ১২ অক্টোবর নাজমার বড় ভাই মো. সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে নাজমার স্বামী ছালামকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ছালামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলাটির তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় কচুয়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরল ইসলাম খানকে। তিনি তদন্ত শেষে ১০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

বিজ্ঞাপন

সরকার পক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) খোরশেদ আলম শাওন জানান, মামলাটি দীর্ঘ ১৩ বছর চলাকালীন সময়ে আদালত ৭ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করে। স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শাহজাহান মিয়া।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |