টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের দিঘলকান্দি ইউনিয়নে কুরমুশি উত্তরপাড়া গ্রামে ফসলি জমি-সংলগ্ন একটি পুকুর থেকে দিনের পর দিন উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় ভাঙছে কৃষিজমি। ড্রেজার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় কোথাও লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না কৃষক।
কুরমুশি গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, পুুকরের দক্ষিণ-পূর্বপাশে তার ৬৫ শতাংশ জমি রয়েছে। সেই জমির একাংশ ভেঙে পড়েছে। ড্রেজার মালিকের পাওয়ার থাকায় প্রতিবাদও করা যায় না।
একই গ্রামের কৃষক নইম উদ্দিন বলেন, পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করে রাস্তাসহ ৫ থেকে ৬টা বসতভিটায় ফেলা হয়েছে। পাইপ লাগিয়ে বালু বিক্রিও করা হচ্ছে। পুকুরের উত্তরপাশে আমার ৫১ শতাংশ জমি রয়েছে। আশপাশের জমি ভেঙে পড়ছে।
অন্যান্য কৃষকরা জানান, কিছুদিন আগে থানা থেকে পুলিশ আসছিল। এরপর কিছু সময় বন্ধ ছিল। কিন্তু ড্রেজার মালিক পুলিশের সঙ্গে আলাপ করার পর পুলিশ চলে যাওয়ার পর ফের ড্রেজার চালু করা হয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা স্বীকার করে ঘাটাইল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, ড্রেজার আর চালাবেন না, এই মর্মে মালিক থানায় এসে মৌখিক মুচলেকা দিয়ে গেছেন।
এদিকে ঘটনাস্থলে ড্রেজার মালিক আবু বকর সিদ্দিকী তুলাকে পাওয়া যায়নি। তবে, তার মেয়ে হালিমা খাতুন (১৭) প্রতিবেদককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের জমি থেকে আমরা মাটি কাটব, কে কি করবে?
ড্রেজার স্থাপনের বিষয়ে মুঠোফোনে মালিক আবু বকর সিদ্দিকী তুলার সঙ্গে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে হুমকি দিয়ে বলেন, ড্রেজার নিয়ে যান, ভেঙে ফেলেন। সব জায়গা থেকে অনুমতি নিয়ে আসছি। আমি ঘটনাস্থলে আসতে পারিনি, এটা দুর্ভাগ্য। আপনারা ছবি তুলেছেন কেন?
দিঘলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মটু জানান, তিনি বিষয়টি অবগত আছেন। পুকুরের পাড় ভেঙে ফসলি জমির দিকে ভাঙন ধরছে। তাই ইট দিয়ে দেয়াল তুলে বালু উত্তোলনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিয়া চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।