বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ঘরের মধ্যে মাটিতে পুঁতে রাখা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় নিহতের মাকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২২ জুলাই) বিকেল ৩টায় উপজেলার চান্দারপাড়া গ্রামে মায়ের ঘরের মেঝে খুঁড়ে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তি চান্দারপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল লতিফের মেয়ে মর্জিনা খাতুন (৩৪)। আটককৃত ব্যক্তি নিহতের মা রওশনারা বেগম (৫৫)।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত মা রওশনারা, ছেলে রাব্বি ইসলাম ও ছেলে বউ নুপুরকে নিয়ে মর্জিনার অভাব-অনটনের সংসার। এ কারণে জীবিকার তাগিদে পরিবারের সবাই নানা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু সম্প্রতি মর্জিনা অসুস্থতার কারণে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে। তার পক্ষে আর অনৈতিক কাজ করা সম্ভব হয় না। এতে পরিবারের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে মর্জিনাকে ফের অনৈতিক কাজের জন্য চাপ দেওয়া হয়। এ সময় রাজি না হলে প্রায় কয়েক মাস আগে মর্জিনাকে তারা মারধর করে। এরপরও পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার চাপ সৃষ্টি করলেও তাতে রাজি হননি তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৩০ জুন মর্জিনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার মা, ছেলে ও ছেলের বউ। এ সময় মর্জিনার মরদেহ রওশনারার ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২৩ দিন ধরে ঘরে তালা ঝুলিয়ে নিরুদ্দেশ হন রওশনারা, ছেলে রাব্বি ও ছেলে বউ নুপুর। হঠাৎ করে পরিবারের সবাই নিরুদ্দেশ হওয়ায় গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। এ সময় তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ হলে রওশনারাকে শনিবার (২২ জুলাই) সকালে ঢাকা থেকে আটক করে পুলিশ। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে রওশনারার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মর্জিনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, আটকের পর রওশনারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ‘পরিবারের অভাবের কারণে মর্জিনাকে অনৈতিক কাজ করতে বলা হয়। রাজী না হওয়ায় তাকে হত্যা করে মরদেহ ঘরের মধ্যে পুঁতে রাখে তারা।’