শুল্ক ফাঁকির চেষ্টার পাশাপাশি মামলাসহ নানা জটিলতায় আটকে থাকা ৮২ গাড়ি ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, চলাচল অনুপযোগী বলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে প্রতিবেদন পেয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি বলেন, সুপারিশ অনুযায়ী কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই গাড়িগুলোকে স্ক্র্যাপ করবে। তাছাড়া স্ক্র্যাপ করা পণ্য নিলামে বিক্রির জন্য কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে।
তবে কাস্টম কর্তৃপক্ষ ভারী যন্ত্র দিয়ে গাড়িগুলো ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিলেও নিলাম ব্যবসায়ীদের দাবি ভিন্ন। তারা সুপারিশ করেছেন গাড়ির পার্টস পৃথক করে কেটে বিক্রি করার।
এ নিয়ে কাস্টমস নিলাম ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফেরদৌস আলম বলেন, এই গাড়িগুলো নিয়ে কাস্টমসের কিছু অবহেলা আছে। চট্টগ্রাম বন্দরের কিছু অবহেলা আছে। তাদের অবহেলার কারণেই এই গাড়িগুলো দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।
বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী জানান, কাস্টমস এত দেরিতে অনুমতি দেয় যে গাড়িগুলো আর চালানোর মতো অবস্থায় থাকে না। এতে নিলামেও তেমন একটা দাম পাওয়া যায় না। এতে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় সরকার।
উল্লেখ্য, ধ্বংস করতে যাওয়া গাড়ির মধ্যে রয়েছে বিলাসবহুল বাস, ট্রাক, জিপ, পিকআপ, পাজেরো এবং প্রাইভেটকার।