পটুয়াখালীর মহিপুরের লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা সস্ত্রীক হামলার শিকার হয়েছেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে আলীপুর অগ্রণী ব্যাংক সংলগ্ন রাস্তায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হাতুড়ি দিয়ে তার দুই পায়ের হাটু পর্যন্ত থেতলে দিয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ সময় আনসার উদ্দিনের স্ত্রীর ওপরও হামলা চালানো হয়েছে।
হামলার পর গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তার পরিবারের দাবি করেছেন।
আহত আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, ওই ইউনিয়নের তাহেরপুর থেকে আলীপুরস্থ বাসায় ফেরার পথে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে। যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম ফকিরের নেতৃত্বে আলম ফকির, সোহেল ফকির, সেলিম ফকির, শাহীন, সুমন, রাজু ও হেলেন কিলার বিউটিসহ আরও কয়েকজন হামলা চালিয়েছে।
কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক মুমশাদ সায়েম পুনাম বলেন, তার দুই পা ও কাঁধসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আনসার উদ্দিন মোল্লার বড় ভাই কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল বারেক মোল্লা জানান, পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে। তিনিসহ তার পরিবারকে আওয়ামী রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই বিএনপিসহ বিভিন্ন দল থেকে আগত নব্য আওয়ামী লীগার দাবিদার নির্বাচনের পর এ পর্যন্ত ২৫-৩০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বারেক মোল্লা সহিংসতা বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।