স্ত্রীসহ তিনজনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালালেন যুবক
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে হাসান আলী (৩৫) নামে এক যুবক তার স্ত্রীসহ তিনজনের শরীরে কেরাসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সাটুরিয়া উপজেলার গওলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন, হাসান আলীর স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৮), তার চাচী শিরিন আক্তার (৫৫) ও চাচাতো ভাই রুবেল হোসেন (৩২)।
পুলিশ, ভুক্তভোগীদের স্বজন ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে ধামরাইয়ের হাসান আলীর সঙ্গে সাটুরিয়ার শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়। কয়েক বছর ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এ নিয়ে হাসান তার স্ত্রী শারমিনকে মারধরও করতেন। সবশেষ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) কলহের জেরে অভিমান করে ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান শারমিন।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্বশুরবাড়ি যান হাসান। সেখানেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে শারমিন তার পাশের চাচার বাড়ি যান। সকাল ১০টার দিকে সেই বাড়ি গিয়ে শারমিনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন তার স্বামী। এসময় শারমিনের চাচী শিরিন ও চাচাতো ভাই রুবেল তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের শরীরেও কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগান তিনি। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা আগুন নেভাতে গেলে সেখান থেকে পালিয়ে যান হাসান। তিনজনের শরীরই গুরুতরভাবে ঝলসে গেছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে তাদের।
শারমিনের মামা মো. বাসু জানান, শারমিনকে তার স্বামী হাসান প্রায়ই মারধর করতেন। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশও হয়েছে। শুক্রবার সকালে হত্যার উদ্দেশে তার ভাগ্নির শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন হাসান। ঘটনার পর থেকে পলাতক তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাটুরিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালো জানান, খবর পয়ে ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এসএইচএম
মন্তব্য করুন