স্বামীর ঋণের দায়ে ২ শিশুসহ স্ত্রী গ্রেপ্তার

আশুলিয়া প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ , ০৪:৪২ পিএম


স্বামীর ঋণের দায়ে ২ শিশুসহ স্ত্রী গ্রেপ্তার
ছবি : আরটিভি

সাভারের আশুলিয়ায় এনজিওর বকেয়া কিস্তির টাকা পরিশোধ না করার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই শিশুসহ এক নারীকে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়।  

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শিশুসহ মাকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জানতে চাইলে ওই নারী বলেন, আমি জানি না, কেন তারা আমাকে গ্রেফতার করেছে। শুধু শুনেছি আমার স্বামী নাকি কিস্তি দিতে পারেনাই। তাই তারা আমার নামে মামলা দিয়েছে। অথচ আমি কোনো এনজিও থেকে টাকাই তুলিনি। তারা আমার স্বামীকে কিছু না বলে আমাকে ধরে এনেছে।

বিজ্ঞাপন

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছর খানেক আগে দি ঢাকা মার্কেন্টাইল ব্যাংক কোঅপারেটিভ লি.’ নামের একটি এনজিওর পল্লীবিদ্যুৎ শাখা থেকে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেন ওই নারীর স্বামী মনির হোসেন। ঋণের ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও প্রায় এক লাখ টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হন। পরে এনজিও কর্তৃপক্ষ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ঋণগ্রহীতা মনির হোসেনের স্ত্রী হানিয়া বেগমকে আসামি করা হয়। পরে পুলিশ তাকে ও আড়াই বছরের ছেলে রায়হান এবং ১৪ মাস বয়সী ছেলে মাশরাফকে থানায় নিয়ে আসে। গভীর রাত পর্যন্ত থানার ভেতর একটি কক্ষে আটকে রাখায় ওই নারীর শিশু সন্তানরা ভয়ে কান্না করছিল।  

গ্রেপ্তারকৃত নারীর স্বামী মনির হোসেন বলেন, ঋণ নিয়েছি আমি, আমাকে গ্রেপ্তার না করে, তারা আমার স্ত্রী-সন্তানকে থানায় নিয়ে এসেছে। ছোট্ট ব্যবসা করতাম লোকসানের মুখে পড়ায় কিস্তি দিতে কিছুটা সময় নিচ্ছি।

গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পুলিশের উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, হানিয়া বেগমের নামে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাকে আটক করা হয়েছে। সঙ্গে তার দুই শিশু সন্তানও রয়েছে, তারা বুকের দুধ খায় তাই রেখে আসতে পারিনি।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি নিয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সুশাসনের জন্য নাগরিকের ঢাকা বিভাগের সমন্বয়কারী জিল্লুর রহমান বলেন, এই শীতে বাচ্চা দুটিকে থানায় রাখা অমানবিক। পুলিশ ইচ্ছা করলে বাচ্চা দুটিকে আরও ভালো সুরক্ষা দিতে পারতো। কারণ ওসির অনেক দায়িত্ব ছিল। ওই নারী তো আর হত্যা কিংবা বড় কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিকের কাছে জানার জন্য গেলে থানায় পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও মুঠোফোনের মাধ্যমে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি কলটি রিসিভ না করে কেটে দেন।

আরটিভি/এএএ/এআর 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission