ঢাকাশনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

টায়ার পুড়িয়ে জ্বালানি তেল তৈরি, হুমকির মুখে পরিবেশ

মোঃ আব্দুল আজিজ

শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ০৭:২৯ পিএম


loading/img
ছবি : আরটিভি

দিনাজপুরের হিলিতে গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার পুড়িয়ে জ্বালানি তেল ও কার্বন তৈরি করা হচ্ছে কারখানায়। আইনের তোয়াক্কা না করে কারখানায় অবাধে কাঠ ও লাকড়ি পোড়ানো হচ্ছে। সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে এসব কাঠ সংগ্রহ করায় হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। ফলে এলাকায় বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে কার্বন মনো অক্সাইড, নাইট্রোজেন ও মিথেনসহ ১৬ ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক গ্যাস। 

বিজ্ঞাপন

গ্রামীণ এলাকার রাস্তার পাশে কৃষি জমিতে গড়ে তোলা এ কারখানার কালো ধোঁয়া, দুর্গন্ধ ও বিষাক্ত গ্যাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকায়। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন স্থানীয়রা। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস উপজেলা প্রশাসনের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আইনের তোয়াক্কা না করে কারখানায় অবাধে কাঠ ও লাকড়ি পোড়ানো হচ্ছে। সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে এসব কাঠ সংগ্রহ করায় হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। কারখানার চারপাশ কার্বনের রঙে ঢাকা। যেখানে পরিত্যক্ত টায়ার পুড়িয়ে তৈরি হয় ডিজেলের বিকল্প জ্বালানি তেল। কমপ্রেসর প্রায় ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলিয়ে প্রতি ১০ টন টায়ার থেকে বের হয় ছয় টন তেল, দুই টন কার্বন এবং বাকিটা লোহার কাঁচামাল। 

বিজ্ঞাপন

মাটির উর্বরতার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর পরিত্যক্ত টায়ার। তাই রিসাইক্লিংয়ের করাটা আপাতত দৃষ্টিতে শুভ কাজ বটে। কিন্তু বায়ুদূষণের প্রশ্নে তা কতটুকু পরিবেশ সম্মত। বাংলাদেশে এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা না থাকলেও থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিডা-এর এক গবেষণা বলছে, টায়ার পাইরোলাইসিস কারখানা ১৬ ধরনের বায়বীয় রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে। যার মধ্যে মিথেন ৩৩ দশমিক ২ শতাংশ, হাইড্রোজেন ১৫ দশমিক ৬, নাইট্রোজেন ১২ দশমিক ২ এবং কার্বন মনোঅক্সাইড ৪ শতাংশ। যা বাতাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করে ক্যানসারসহ, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত নানা জটিল রোগ সৃষ্টি করছে।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, কারখানার কারণে তাদের ফসলসহ বিভিন্ন গাছের ফল নষ্ট হয়ে যায়। প্রশাসনকে বলেও কোন সমাধান পাওয়া যায়নি। মাঝে মাঝে অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণে কারখানার পাশ দিয়ে চলাচল করতে কষ্ট হয়। সেই সঙ্গে অনেক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা এই কারখানা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। 

বিজ্ঞাপন

এদিকে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত কারখানাটি পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আরটিভি/এএএ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |