ফেনীর দাগনভূঞাতে মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় মোবারক আলী সজল (২২) নামে এক যুবককে ডেকে নিয়ে পিটুনি দিয়েছে একদল বখাটে। শনিবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাগনভূঞা কোরাইশমুন্সী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজমুল হাসান তানিম নয়া।
এর আগে, ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়নারায়নপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে স্বজন ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে পুলিশ এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি এনামুল হক প্রকাশ এমাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এনামের নেতৃত্বে কয়েকজন বখাটে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় মাদক ব্যবসা করছে। মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করেন সজল। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাড়ি ফেরার পর সজলকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় প্রতিবেশী রিয়াদ হোসেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফাচু ভূঁইয়া মসজিদের সামনে গেলে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা রিয়াদ ছাড়াও একই এলাকার এমাম, সাগর ও আবদুল হামিদ তাকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। তাদের এলোপাতাড়ি পিটুনিতে সজলের মাথা ফেটে যায় এবং পুরো শরীর থেতলে দিয়ে মৃত ভেবে ফেলে যায়। তার পকেটে থাকা নগদ টাকাও হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
সজলের ভগ্নিপতি নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সজলের মাথায় অপারেশন করা হয়েছে। পাঁচ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।’
স্থানীয়রা জানায়, তার নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন এলাকায় মাদক কারবারিরা নানা অপকর্ম করে আসছে।
দাগনভূঞা কোরাইশমুন্সী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজমুল হাসান তানিম নয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় সজলের মা জোছনা বেগম দাগনভূঞা থানায় মামলা দিয়েছেন। তিনি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর পল্টন থেকে এমামকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘এনামকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হবে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’
আরটিভি/এমকে