বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এবং জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রশাসনের প্রধান লি কুউন। ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলসহ নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও জাদুঘর এবং কুসুম্বা মসজিদ পরিদর্শন করেছেন তিনি। চীনা প্রতিনিধিরা এ সফরকে দুদেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি পাহাড়পুর আসেন।
এ সময় তাকে স্বাগত জানান নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান ছনি, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শাহজাহান আলী, পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম আর্জু। চীনের প্রতিনিধি দল বৌদ্ধ বিহার ঘুরে দেখেন এবং জাদুঘর পরিদর্শন করে পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।
চীনা উপমন্ত্রী লি কুউন ও প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের পুরাকীর্তির উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণকে তার দেশে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চীনে পুরাকীর্তির সংরক্ষণ ব্যবস্থা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বিনিময় বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পরিদর্শনকালে চীনা প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে চীন-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে প্রত্নতাত্ত্বিক সংরক্ষণ ও গবেষণার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়বে।
চীনা উপমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। চীন এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে গবেষণা ও সংরক্ষণের মাধ্যমে এই ঐতিহ্যকে আরও বিশ্বদরবারে তুলে ধরতে পারে।’
এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা সংরক্ষণে চীনের সহযোগিতা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের সংরক্ষণ ও গবেষণার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনা প্রতিনিধি দলের এই সফর আমাদের প্রত্নতাত্ত্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এ সময় বদলগাছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান ছনি, পাহাড়পুর জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মুহাম্মদ ফজলুল করিম আরজু এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/এমকে