ঢাকাশুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

লিফটের অভাবে চালু হচ্ছে না হাসপাতাল

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ১২ মে ২০২৫ , ০৭:৫৯ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

ভবন নির্মাণের এক বছরের বেশি সময় পার হলেও চালু হয়নি পিরোজপুরের ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালের লিফট। ফলে হাসপাতালের নতুন এ ভবনও চালু করতে পারেনি গণপূর্ত বিভাগ। এতে জেলার প্রায় ১৬ লাখ মানুষ কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। 

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১২ মে) হাসপাতালের ভবন চালু না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মতিউর রহমান।

এ দিকে বর্তমানে পিরোজপুরের ১০০ শয্যার জেলা হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে দুই শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন। অতিরিক্ত রোগীর কারণে অনেককে থাকতে হচ্ছে মেঝে ও বারান্দায়। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, পিরোজপুর মহাকুমা থেকে জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায় ১৯৮৬ সালে। তখন ৩১ শয্যার হাসপাতালের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৯৭ সালে নির্মিত হয় ৫০ শয্যার নতুন ভবন। ২০০৫ সালে সেটি ১০০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে ঘোষিত হয়। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এখানে আসতে চাইতেন না। ফলে রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যও খুলনা বা বরিশালে যেতে হতো। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ চাহিদা বিবেচনায় ২০১৭ সালে এটি ২৫০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করা হয়।
 
নতুন সাত তলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয় দরপত্রের মাধ্যমে, পরে আরও দুই তলা সম্প্রসারণ করা হয়। ২০২০ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তিন দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণ শেষ হয়। তবে লিফট না থাকায় ভবনটি এখনও হস্তান্তর করা যায়নি। এতে ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকায় বাড়ছে ভোগান্তি।

এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফাহিম আহমেদ বলেন, লিফট ও বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ভবন হস্তান্তরে কিছু জটিলতা হয়েছে। তবে খুব দ্রুতই এর সমাধান হবে। লিফটের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে মেসার্স খান বিল্ডার্স ও বঙ্গ বিল্ডার্স লিমিটেড নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করেছে। এটি চালু হলে পিরোজপুরসহ আশপাশের দুটি জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষ আধুনিক চিকিৎসাসেবার আওতায় আসবে।
 
সিভিল সার্জন ডা. মো. মতিউর রহমান বলেন, ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ রোগী প্রতিদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। সাধ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ভবনটি দ্রুত হস্তান্তর হলে সেবার মান বাড়বে এবং রোগীদের দুর্ভোগ কমবে।

আরটিভি/এমকে-টি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |