ঢাকা

গরম পানি দিয়ে শরীর ঝলসে দিলো স্বামী-সতীন, এলাকার গৃহবধূদের বিক্ষোভ 

স্টাফ রিপোর্টার (চাঁদপুর), আরটিভি নিউজ 

সোমবার, ১২ মে ২০২৫ , ০৯:২৯ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে স্বামী ও সতীন মিলে গরম পানি দিয়ে ঝলসে দিয়েছে গৃহবধূ শাহানারার শরীর। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন স্বজনরা। সেখানে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন শাহানারা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৯ মে) উপজেলার চরদুঃখিয়া গ্রামের দিঘিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মায়ের ওপর অমানবিক নির্যাতনের বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে ছেলে।

এদিকে গৃহবধূর ওপর অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় পাষণ্ড স্বামীসহ অপরাধীদের বিচারের দাবিতে রোববার (১১ মে) বিক্ষোভ করেছে ওই এলাকার গৃহবধূরা।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শী, গৃহবধূর স্বজন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৯ বছর পূর্বে ইসলামি শরিয়াহ মতে ওই গ্রামের আব্দুল খালেক রাজার সঙ্গে শাহানারা বেগমের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে ২ সন্তানের জন্ম নিলেও আবদুল খালেক রাজা সমাজে নানান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় পারিবারিক অশান্তি বিরাজ করছিল। এ কারণে দুই পক্ষ মিলে খালেককে দুবাই পাঠানো হয়। ঘটনার দিন দুপুরে আব্দুল খালেক রাজা দুবাই থেকে রাবেয়া বেগম নামে আরেক নারীকে বিয়ে করে নিয়ে আসেন। এতে সৃষ্ট পারিবারিক কলহের ঘটনায় আব্দুল খালেক রাজা, তার ২য় স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মিলে প্রথম স্ত্রী শাহানারা বেগমকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। এ সময় আহত অবস্থায় স্বামীর বসতঘরের সামনে পড়ে থাকা ভুক্তভোগী শাহানারা বেগমের শরীরে গরম পানি ঢেলে দেওয়া হয়।

মায়ের ওপর এমন অমানবিক নির্যাতনের বিচার চেয়ে কলেজ পড়ুয়া ছেলে মো. সিফাত বলেন, আমার বাবা বিদেশ থাকলেও আমাদের বরণ পোষণ দিতেন না। আমি পড়ালেখার পাশাপাশি শ্রমিকের কাজ করে আমাদের পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করেছি। বাবা দেশে আসার খবরে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু তিনি এমন কাজ করবেন ভাবতেও পারিনি। বাবা ও সৎ মা ও ফুফুরা মিলে আমার মাকে মারধরের পর শরীরে গরম পানি ঢেলে দিয়ে যে অন্যায় করেছে তা কোন সন্তানই মেনে নিতে পারে না।

হাউমাউ করে কেঁদে কেঁদে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমার আম্মুকে আব্বু, ছোট আম্মু, ফুফুরা মিলে অনেক মেরেছে। গ্যাসের চুলায় গরম পানি করে আম্মুর শরীরে ঢেলে দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন
Advertisement

এ ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অপরাধীদের সঠিক বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে গৃহবধূরা।

বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন, গৃহবধূ কাকলী আক্তার, পাখী বেগম, রিমা আক্তার, অহিদেন নেছা, আয়েশা আক্তার, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী আসমা আক্তারসহ অন্যান্যরা।

এদিকে অভিযুক্ত আব্দুল খালেক রাজা গংদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি, তার বোন নুরজাহান বেগম বলেন, আমার ভাইসহ আমাদের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমার বড় ভাবীকে অনেক আগেই ভাই ডিভোর্স পেপার পাঠিয়েছেন তিনি রাখেননি।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

আরটিভি/এমএ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |