নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী আজগর হোসেনর (৩৫) ওপর হামলা হয়েছে। এতে ওই প্রবাসীর ছোট ভাই নুর হোসেন (৩৬) গুরুত্বর আহত হওয়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রবাসী কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে, একই দিন সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চরকালী গ্রামের এমরাত আলী সারেং বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে প্রবাসীর ওপর হামলার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী প্রবাসী আজগর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, এক বছর আগে নিজ বাড়িতে পাকা দালান নির্মাণের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে ওই ঘরের প্রায় ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্ত তিন মাস যাবত আওয়ামী লীগ কর্মী মিলনের বাধার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে বেশ কিছু নির্মাণ সামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, কয়েক বস্তা সিমেন্ট ভালো থাকায় সিমেন্ট গুলো আমার বোনের বাড়িতে পাঠানোর জন্য সোমবার সকালে বাড়ির উঠানে একটি ট্রাক্টর আনা হয়। ট্রাক্টর দেখে প্রতিপক্ষের লোকজন বেজায় গালামন্দ শুরু করে। এরপর ট্রাক্টরে সিমেন্ট উঠাতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফিরোজ আলম রিপন, আব্দুর রব ধনী, মোশাহিদুর রহমান মিলন, সফিকুল ইসলাম রতন, এয়ার হোসেন সুজন তাদের ওপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এ সময় তারা আমাকে ও আমার ছোট ভাই নুর হোসেনকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
হামলাকারী পাঁচজনের মধ্যে ৪ জনই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। মিলন আত্মগোপনে থাকা সাবেক বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী গের সভাপতি আব্দুল কাদের মির্জার অনুসারী।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোশাহিদুর রহমান মিলন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ও আমার পরিবারের কেউ হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। আমি পেশায় একজন শিক্ষক, ঘটনার সময় আমি স্কুলে ছিলাম। আওয়ামী লীগের কোন পদ-পদবীতে আমি নেই। ভোট আসলে যে কোন একটা মার্কায় ভোট দিতে হয়। এজন্য দলের হিসেব চলে। এ ঘটনায় একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। বিষয়টি স্থানীয় ভাবেও মীমাংসার চেষ্টা চলছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এএএ