জুলাই অভ্যুত্থানের ইতিহাস ধরে রাখতে দেশে জুলাই জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর জাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য জুলাইয়ের শহীদদের বাড়ি থেকে শুরু হয়েছে স্মৃতিস্মারক সংগ্রহের কাজ। কক্সবাজারের পেকুয়ায় শহীদ মোহাম্মদ ওয়াসিমের বাড়ি থেকে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। পর্যায়ক্রমে সব শহীদের স্মৃতিস্মারক সংগ্রহ করা হবে।
শনিবার (৩১ মে) বিকেল ৫টায় পেকুয়ার বাঘগুজারা গ্রামে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মোহাম্মদ ওয়াসিমের বাড়িতে গিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান। এ সময় তিনি মোহাম্মদ ওয়াসিমের মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। পরিবারের পক্ষ থেকে ওয়াসিমের স্মৃতিবিজড়িত জার্সি, ছবিসহ বিভিন্ন সামগ্রী সংস্কৃতি উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত বছরের ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুর এলাকায় নিহত হন ওয়াসিম। তিনি চট্টগ্রাম কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, সরকার জুলাই জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, জুলাই আন্দোলনের বীরত্ব এবং শোকগাথা তুলে ধরা। জুলাই একই সঙ্গে বীরত্বের গল্প, আবার একই সঙ্গে ভয়াবহ বেদনার গল্প। বেদনা এবং বীরত্ব, এ দুটিই ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
তিনি বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর পরে যখন আমরা থাকব না, পরের প্রজন্ম তখন যেন জানতে পারে দেশে কী হয়েছিল। জাদুঘরে জুলাইয়ের ইতিহাস ঠিকমতো তুলে ধরা গেলে দেশে এ রকম খুনির আর আবির্ভাব হবে না। এর মধ্য দিয়ে শহীদদেরও যথাযথ সম্মাননা জানানো হবে।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই জাদুঘরের জন্য শহীদ পরিবার থেকে স্মৃতিস্মারক সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি শহীদ পরিবারের বাসায় গিয়ে তাঁদের শূন্যতাকে আলোকচিত্র ও ভিডিওর মাধ্যমে ধারণ করা হবে। শহীদ ওয়াসিমের বাসার মধ্য দিয়ে এ কাজটা শুরু হলো। অনেকগুলো দল এ বিষয়ে কাজ করছে। আগামী এক থেকে দেড় মাস দেশব্যাপী চলবে এই কাজ।
এর আগে, দুপুর ৩টার দিকে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত পাঁচজন জুলাই যোদ্ধার কাছে চেক হস্তান্তর করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মইনুল হোসেন চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূর পেয়ারা বেগম, পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন এ সময়।
আরটিভি/এসএইচএম